Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Chandrayaan2

লক্ষ্য থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিক্রম, বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্র

নাসা গত ২৬ সেপ্টেম্বর জানিয়ে দেয়, চাঁদের মাটিতে আছড়েই পড়ে বিক্রম। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে থেকে বিক্রম যখন ২.১ কিলোমিটার দূরে, তখন তার গতিবেগ ছিল ৫০ মিটার/সেকেন্ড অর্থাৎ ১৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এই গতিবেগ প্রোগ্রামড গতিবেগের তুলনায় বেশি হওয়ায় স্বপ্নপূরণ হয়নি ভারতবাসীর।

—ছবি সৌজন্য নাসার টুইটার।

—ছবি সৌজন্য নাসার টুইটার।

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:১৪
Share: Save:

চাঁদের বুকে আছড়েই পড়েছিল চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। ল্যান্ডিংয়ের মুখে ভারসাম্য রেখে গতিবেগ কমাতে পারেনি সে। তাই চন্দ্রপৃষ্ঠ যেখানে তার পা রাখার কথা ছিল, তার থেকে ৫০০ মিটার দূরে হার্ড ল্যান্ডিং হয় বিক্রমের। সরকারি বিবৃতিতে একথা স্বীকার করে নিল কেন্দ্র।

বুধবার লোকসভায় মহাকাশ দফতরের দায়িতেবপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ চন্দ্রযান বিষয়ক প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেন। সেখানে বলা হয়, বিক্রমের অবতরণের প্রথম পর্বে সব ঠিকঠাক চলছিল। চাঁদের মাটি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে ৭.৪ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত বিক্রম ধাপে ধাপে গতিবেগ ১৬৮৩ মিটার/সেকেন্ড থেকে ১৪৬ মিটার/সেকেন্ডে কমিয়ে আনে। বিপর্যয়টি ঘটে দ্বিতয় পর্বে।

জীতেন্দ্র সিংহের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘অবতরণের দ্বিতীয় ধাপে চন্দ্রযানের গতিবেগ আগে থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া প্রোগ্রামের তুলনায় বেশি ছিল। এর ফলেই ঘটে বিপত্তি।’’

তবে বিক্রমের ব্যর্থতাকে স্বপ্নভঙ্গ বলতে চান না মন্ত্রী। তাঁর দাবি, অবতরণ ব্যর্থ হলেও রোভার নামানো, ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো কাজগুলি বিক্রম করেছিল সফল ভাবেই। তা ছাড়া বিক্রম না থাকলেও সফল ভাবে কাজ করছে অরবিটার। প্রতি মুহূর্তে সে তথ্য পাঠাচ্ছে। অন্তত সাত বছর অরবিটার সক্রিয় থাকবে। সেই তথ্য প্রতি মুহূর্তেই সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও যাবে।

আরও পড়ুন:এই প্রথম উল্কাপিণ্ডে ‘সুগার’ আবিষ্কার, প্রাণ গবেষণায় নতুন প্রাণের আশা
আরও পড়ুন:অবিশ্বাসের আবহেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার প্রস্তুতি

গত ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উত্‌ক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ২। ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ‘সিম্পেলিয়াস এন’ এবং ‘ম্যানজিনাস সি’, এই দু’টি ক্রেটারের মাঝে সমতলভূমিতে অবতরণের কথা ছিল তার ল্যান্ডার বিক্রম-এর। কিন্তু চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরো-র পাঠানো ‘চন্দ্রযান-২-এ থাকা অরবিটার ও ইসরোর ‘গ্রাউন্ড স্টেশনে’র। তার পর থেকেই একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল বিজ্ঞানী মহলে, বিক্রম কি তা হলে হারিয়েই গেল?

নাসা গত ২৬ সেপ্টেম্বরই জানিয়ে দেয়, চাঁদের মাটিতে আছড়েই পড়ে বিক্রম। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে থেকে বিক্রম যখন ২.১ কিলোমিটার দূরে, তখন তার গতিবেগ ছিল ৫০ মিটার/সেকেন্ড অর্থাৎ ১৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এই গতিবেগ প্রোগ্রামড গতিবেগের তুলনায় বেশি হওয়ায় স্বপ্নপূরণ হয়নি ভারতবাসীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE