ফোনের রেডিয়েশন লেভেল বেশি হলে স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। শবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
ক্যামেরাটা কত মেগাপিক্সেলের, ইন্টারনাল মেমরি কত জিবি বা ব্যাটারি ব্যাকআপ কত ঘণ্টার— স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে এই সমস্ত তথ্য নিয়েই সাধারণত আমরা বেশি আগ্রহী থাকি। কিন্তু ফোনের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার থাকে, যে গুলি নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করি না বললেই চলে। কিন্তু ফোন কেনার পর নিত্যদিনের ব্যবহারে ওই বিষয়গুলির গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় থাকে না।
স্মার্টফোনের সে রকমই একটা প্যারামিটার হল রেডিয়েশন লেভেল। ফোনের মধ্যে থাকা ট্রান্সমিটিং ডিভাইস থেকে সব সময় নির্গত হয় অদৃশ্য রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ। সেই তরঙ্গ নিঃসরণের হার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা অবধি আমাদের শরীরের তেমন ক্ষতি করে না। কিন্তু এই রেডিয়েশন লেভেল মাত্রাতিরিক্ত হলে, মারাত্মক প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে।
সে জন্য নিজের ফোনে রেডিয়েশনের মাত্রাটা নিরাপদ কিনা সেটা জানাটাও কিন্তু জরুরি। ফোনের রেডিয়েশনের পরিমাপ করা হয় ‘এসএআর ভ্যালু’ দিয়ে। প্রত্যেক সংস্থা ইউজার ম্যানুয়ালে ফোনের এসএআর ভ্যালু উল্লেখ করে থাকে।
তবে নিজের স্মার্টফোনের মাধ্যমেও জেনে নেওয়া যায় এই এসএআর ভ্যালু। কী ভাবে জানেন? ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে ‘*#07#’ টাইপ করুন। তাহলেই আপনার স্ক্রিনে ফুটে উঠবে আপনার ফোনের রেডিয়েশনের মাত্রা।
কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিমন্ত্রক দফতরের নির্দেশিকা অনুসারে এই এসএআর ভ্যালু প্রতি কিলোগ্রামে ১.৬ ওয়াটের বেশি হলে চলবে না। আপনার ফোনের রেডিয়েশনের মাত্রা সরকারের নির্দেশিকায় উল্লেখিত মাত্রার মধ্যেই আছে তো? দেখে নিন কিন্তু।
আরও পড়ুন: চার দশক পর দেখা মিলল ‘ফ্লাইং বুলডগ’-এর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy