Advertisement
E-Paper

গুন্ডাবস্তিতে টহল দিতে লাগলেন মাদার

চারপাশে জোড়ায় জোড়ায় সন্দেহজনক চোখ। তবু ভ্রুক্ষেপ নেই। টানা চল্লিশ বছর মাদার টেরিজার ছবি তোলার ঘটনাবহুল কাহিনি শোনাচ্ছেন আলোকচিত্রী সুনীল দত্ত শান্ত পায়ে এগিয়ে গিয়ে ছেলেটার হাতটা চেপে ধরে মুচড়ে দিলেন মাদার।চোখ দু’টো গনগনে গোলার মতো জ্বলছে। শক্ত চোয়াল। মুখে কোনও কথা নেই।আর ছেলেটি, যে কিনা, এতক্ষণ ফণা তুলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল, মুহূর্তে তার দশা দেখতে হয়! মরা ময়ালের মতো নেতিয়ে পড়ল যেন!

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৬ ০১:২৫
 বিষণ্ণ মাদার

বিষণ্ণ মাদার

শান্ত পায়ে এগিয়ে গিয়ে ছেলেটার হাতটা চেপে ধরে মুচড়ে দিলেন মাদার।

চোখ দু’টো গনগনে গোলার মতো জ্বলছে। শক্ত চোয়াল। মুখে কোনও কথা নেই।

আর ছেলেটি, যে কিনা, এতক্ষণ ফণা তুলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল, মুহূর্তে তার দশা দেখতে হয়! মরা ময়ালের মতো নেতিয়ে পড়ল যেন!

মাদার টেরিজার সঙ্গে আমার চল্লিশ বছরের সম্পর্কে কোনও দিন ওঁকে অতটা কঠিন, নির্মম হয়ে উঠতে দেখিনি

ঘটনার কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। আরও আছে।

গোড়া থেকেই শুরু করি।

কালীঘাট। ওঁর মরণপথযাত্রীদের সেবালয়। ‘নির্মল হৃদয়’।

তখন রবিবার-রবিবার করে ওখানে যান মাদার। আমি যাই ওঁর ছবি তুলতে।

সে দিনও তেমনই এক রবিবার। নির্মল হৃদয়-এ ঢোকার আগে থেকেই চিৎকার-চেঁচামেচি কানে আসছিল। প্রতি দিনই যেখানে পাতা পড়ারও শব্দ পাওয়া যায় না, ও দিন সেখানে ধুন্ধুমার অবস্থা।

থিতু হয়ে অল্পক্ষণ দাঁড়াতেই বুঝলাম, অশান্তি একটি ছেলেকে ঘিরে। পায়ে চটি, চাপা একটা প্যান্ট, ফুলহাতা টি-শার্ট পরা চোয়াড়ে রোগাটে একটা ছেলে সিস্টারদের প্রায় তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

কী ব্যাপার?

শুনলাম, এ-ছেলেকে নাকি এক সময় রাস্তা থেকে এনে মানুষ করেছেন মাদার। এখন আর হোমে থাকে না। কিন্তু মাঝে মধ্যেই এসে হানা দেয়। সিস্টারদের কাছ থেকে টাকা চায়। সিস্টাররাও ভয়ে বেশি ঘাঁটান না, অল্পবিস্তর যা পারেন, টাকা পয়সা দেনও।

সে দিন ছেলেটি হাজির বড় ‘দাঁও’-এর হুমকি নিয়ে। সে নাকি দুবাই যাবে। তাই টাকা চাই। না দেওয়াতে অশান্তির শুরু। চেঁচেমেচি। ধাক্কাধাক্কি। শেষে বচসা আরও মারাত্মক আকার নিল, যখন ছেলেটি নির্মল হৃদয়-এ রাখা রুপোর তৈরি যিশুর দামি বড় ক্রশটি হাতাতে গেল। বাধা দিতে যাওয়া সিস্টারদের তখন সে এই মারে তো সেই মারে।

তখনই মাদারের প্রবেশ। ভিড় সরিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন তিনি। ছেলেটির হাতটা মুচড়ে কঠিন ভাবে তাকালেন, তাতেই কাজ হল। তাকে বার করে দিল অন্যরা। আমি ক্যামেরায় ছবি ধরলাম।

কিছুক্ষণ পর আমায় ডেকে মাদার বললেন, ‘‘ভবানীপুর থানায় যেতে পারবে? একটা কমপ্লেন করবে ছেলেটির নামে।’’

খিদিরপুরে সেই বস্তিতে

একজন সিস্টারকে সঙ্গে দিলেন। গেলাম থানায়। তখনও মাদার নোবেল পাননি। কিন্তু দেশে-বিদেশে যথেষ্টই পরিচিত। তা সত্ত্বেও থানায় ‘তিনি কে’ বোঝাতে কালঘাম ছুটে গেল।

শেষে অনেক কষ্টে যখন ‘কমপ্লেন’ সেরে বেরচ্ছি, দেখি, মাদার নামছেন গাড়ি থেকে। কাছে যেতে গম্ভীর শুকনো গলায় বললেন, ‘‘কমপ্লেন কি করে দিয়েছ?’’

বললাম, ‘‘হ্যাঁ।’’

তখন বললেন, ‘‘কাজটা ঠিক করলাম না আমি। ওকে এ বারের মতো ক্ষমা করে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। চলো, আরেক বার। ওটা ক্যানসেল করে দিই।’’

শুনে আমরা তো হাঁ। অনেক বোঝালাম, শেষে বললাম, হোম-এর নিরাপত্তা নিয়ে কিন্তু সমস্যা হতে পারে।

কোনও কথাই শুনলেন না। নিজে গিয়ে কমপ্লেন তুলে নিয়ে তবে বেরোলেন থানা ছেড়ে।

দৃশ্যটা এখনও আমার চোখে ভাসে। থানার সিঁড়ি বেয়ে অদ্ভুত একটা কোমল চাউনি মেলে বেরিয়ে আসছেন মাদার টেরিজা। অমন দৃশ্য যে কোনও দিন দেখব, ভাবিনি। প্রায় নিজের অজান্তেই ক্যামেরার ‘শাটার’-এ হাত চলে গিয়েছিল।

এত ঘটনা ঘটল চোখের সামনে। সবাই বেশ উত্তেজিত। শরীরের কঠিন বাঁধুনিটা ছাড়া মাদারকে কিন্তু খুব যে বিচলিত লাগল, তা নয়।

আরেক বারের কথা মনে পড়ে।

সে বারও প্রকাশ্যে তেমন উত্তেজনা না থাকলেও ভেতরে ভেতরে একটা অস্বস্তি ছিল অনেকেরই। সেখানেও ওই একই রকমের স্থিতধী মাদারকে দেখেছিলাম।

খিদিরপুরের একটা বস্তি। সমাজবিরোধীদের আখড়া, গুন্ডাদের স্বর্গরাজ্য বললেও কম বলা হয়। দিনে-দুপুরে তখন সেখানে যা-তা সব কাণ্ড ঘটে। সাধারণ লোক কেন, পুলিশ ঢুকতেও ভয় পায়। অচেনা-অজানা লোকের পক্ষে সেখানে কাজেকম্মে যাওয়াও বেশ ঝকমারি।

সাতসকালে মাদার সেই বস্তিতে পৌঁছে গেলেন। এলাকার লোক পারতপক্ষে তাঁকে চেনে না। শুধু দেখে চলেছে, এক বৃদ্ধা নীল পাড়, সাদা শাড়ি পরা। এলাকা টহল দিয়ে চলেছেন। পিল পিল করে লোক জুটে গেল আশপাশে। তার মধ্যে সন্দেহজনক লোকের শেষ নেই। তাদের কৌতূহলেরও অন্ত নেই। যে কোনও মুহূর্তে প্রশ্নে-প্রশ্নে জেরবার করতে পারে। বিপদ আসতে কতক্ষণ!

মাদার কিন্তু অবিচল। পায়ে পায়ে ঘুরে চললেন বস্তির এ-ঘর, সে-ঘর। তাদের দুর্দশা দেখে বেড়ালেন। এক জায়গায় এসে দেখলাম, একটা কিশোর কেমন যেন বিস্ফারিত চোখে মাদারের ভাবভঙ্গি হাঁটাচলা নজর করে চলেছে।

আমার ক্যামেরায় ‘ক্লিক’ শব্দ হল।

এক্কেবারে অন্য স্বাদের একটা ছবি তোলার কথা মনে পড়ছে।

মাদারের সঙ্গে বিখ্যাত কোনও মানুষের ছবি আমি কোনও দিন তুলিনি। সেটা খানিকটা সচেতন ভাবেই। আমার কেবলই মনে হয়েছে, সাধারণ মানুষই মাদারকে ‘মাদার’ করেছে। তাই তাঁর পাশে ফ্রেমে কোনও ‘সেলেব’ থাকুক, আমি কোনও কালে চাইনি।

ব্যতিক্রম সুস্মিতা সেন।

‘আমার প্যান্টুটা খুঁজে দাও’

আমার সঙ্গে মাদারের আলাপের তখন তিন দশক পেরিয়ে গেছে। সময়টা ১৯৯৪। সুস্মিতা মিস ইউনিভার্স হলেন।

তারই কিছু কাল পরে হঠাৎই খবর পেলাম, সুস্মিতা আসবেন মাদারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর লোয়ার সার্কুলার রোডের ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র বাড়িতে।

খবরটা দিলেন সুস্মিতারই বাবা।

নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই লোক থই থই অবস্থা। মিডিয়া হামলে পড়েছে। এ দিকে সময় পেরিয়ে গেলেও সুস্মিতার দেখা নেই।

মাদার ঘর-বার করছেন। একটু যেন অসন্তুষ্ট। বলেও ফেললেন সে-কথা। —‘‘এত দেরি করলে চলে? কত কাজ পড়ে। আমার বেরোবার কথা। দেরি হয়ে যাচ্ছে।’’

মাঝে গিয়ে এক আধবার উপস্থিত সকলকে দেখে আসছেন। তার মাঝেই কোনও এক সাংবাদিক ওঁর শাড়ির খোঁচলাগা আচলটা দেখালেন। মাদার হেসে বললেন, ‘‘এই যে কাপড়গুলো দেখছেন, আমরা পরি, এগুলো সব কুষ্ঠ থেকে সেরে ওঠা মানুষদের তৈরি। এগুলো আমরা চট করে ফেলে দিই না। একটু ছিঁড়েখুঁড়ে গেলে সেলাই করে নিই। আপনারা তো আপনাদের পুরনো জামাকাপড় ফেলে না দিয়ে আমাদের দিয়ে দিতে পারেন।’’

আরেক বার বললেন, ‘‘আমাদের হোম-এ অনেকে প্রতি দিন খাওয়াদাওয়া করেন। আপনারা যদি আমাদের নিয়ম করে চাল-ডাল দেন, ভাল হয়।’’

তাতে আবার কেউ কেউ বললেন, দূর দূর থেকে চাল-ডাল আনার বদলে বরং অর্থসাহায্যটা অনেক বেশি সুবিধের।

উনি রাজি হলেন।

পাক্কা দেড় ঘণ্টা বাদে একটা সাদা লং গাউন পরে সুস্মিতা সেন এলেন। হাঁটু মুড়ে বসে মাদারের আশীর্বাদ নিলেন।

সেই প্রথম আর শেষ বার আমার ক্যামেরায় কোনও ‘সেলেব’ বন্দি হলেন মাদারের পাশে।

মাদারের নাকটা ধরে নাড়ানাড়ি করতে লাগল বাচ্চাটি

ছোটদের সঙ্গে মাদারের মোলাকাত বরাবরই বেশ মজার। ছবি তুলতে গিয়ে তেমন ঘটনা অসংখ্য বার দেখেছি।

দু’তিন বারের কথা বলি।

পার্কসার্কাস স্টেশনের পাশে চিলড্রেন ওয়ার্ডের কথা মনে পড়ছে। মাদার গিয়েছেন। বাচ্চাদের আদর করছেন। হঠাৎ দেখি একটা বাচ্চা মাদারকে কাছে পেয়ে সোজা ওঁর নাকটা ধরে নাড়ানাড়ি করতে লাগল। তাতেই কী মজা তার! খিল খিল করে হাসি। আশপাশের লোক তো ঘাবড়ে একশা। এ করে কী! মাদারের কিন্তু ভ্রুক্ষেপ নেই। একেবারে শিশুর মতো মিশে গেলেন ওর সঙ্গে।

ডনবক্স স্কুলের মাঠ। ক্রিসমাস। মাদার-এর হোম-এর বাচ্চাদের খেলাধুলো চলছে। গিজগিজে ভিড়। তাঁদের অনেকেই শুধু মাদারকে দেখতে এসেছেন।

হঠাৎ কোত্থেকে একটি বাচ্চা ছেলে ছুট্টে এল। পরনে জামাটি শুধু আছে। প্যান্ট উধাও। বাচ্চাটি মাদারের কাছাকাছি পৌঁছে ওঁর আঁচল ধরে টানাটানি শুরু করল। তার মুখে কেবল একটাই কথা, ‘‘আমার প্যান্টু হারিয়ে গেছে। এক্ষুনি খুঁজে দাও।’’

একজন সিস্টার দৌড়ে এলেন। স্পষ্টতই বিব্রত তিনি। বাচ্চাটিকে সরানোর চেষ্টা করলেন। কোথায় কী! সে কিছুতেই মাদারকে ছাড়বে না।

মাদার সিস্টারকে যতক্ষণ না বললেন, ‘ওর জন্য একটা কিছু ব্যবস্থা করো’ সে এক পা-ও নড়ল না।

শিশু ভবন। এজেসি বোস রোড। ক্রিসমাসের দিনে ও-বাড়িতে লোকজন খাওয়ানোর একটা রেওয়াজ ছিল। তার ঠিক আগের দিন টিকিট দেওয়া হত। টিকিট পিছু পাওয়া যেত একজনের খাবার প্যাকেট।

সে দিন টিকিট হাতে নিয়ে পর পর লোক দাঁড়িয়ে আছে লাইনে। মাদার নিজে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। দেখছেন লাইনে কোনও গোলমাল হচ্ছে কিনা। কেউ একবারের বেশি খাবার নিচ্ছে কিনা। মুখেও বলছেন সে কথা।— ‘‘কেউ কিন্তু একটার বেশি নেবে না।’’

হঠাৎ দেখি, এক কিশোর। চোখমুখ দুষ্টুমিতে ভরা। ধাঁ করে মাদারের সামনে উদয় হল। দুটো আঙুল দেখিয়ে বলল, ‘‘ম্যায় দো লিয়া,’’ বলেই দুদ্দাড়িয়ে দৌড়। ওর যাওয়ার পথের দিকে চেয়ে মাদার দেখলাম হেসে ফেললেন।

’৬৫ সাল থেকে ছবি তুলে গেছি মাদারের। একেবারে শেষ সময় অবধি, যখন প্রায়ই ওঁকে বিষণ্ণ দেখতাম। কিন্তু এখনও প্রথম দিনটার কথা ভুলিনি।

তখন আমার একটা YASIKA 35 ফিক্সড লেন্সের ক্যামেরা সম্বল। তাই দিয়েই ছবি তুলে বেড়াই। ফিল্ম পাওয়া সে কালে অত সহজ ছিল না। পেলেও দাম দেবার পয়সা কই! সিনেমা হলে গিয়ে বেঁচে যাওয়া বাড়তি স্পুলের খোঁজ করতাম।

কলকাতার এক ইংরেজি দৈনিকের এক বিখ্যাত বিভাগীয় সম্পাদকের সঙ্গে তখনই আমার যোগাযোগ। ভদ্রলোক ব্রিটিশ। তিনিই আমার হাতে ১০ রোল KODAK TRIX ফিল্ম ধরিয়ে মাদারের ওপর ছবি তুলতে পাঠিয়েছিলেন। সঙ্গে বলে দিয়েছিলেন, রবিবার করে মাদার ‘নির্মল হৃদয়’-এ যান। ওখানেই প্রথম যেন আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করি।

তো, গেলাম। দরজা পেরিয়ে দু’ধাপ সিঁড়ি উঠতেই বড়সড় একটা ঘর। সেখানে সার দিয়ে খাটের ওপর শুয়ে অনেক অনেক জীর্ণ, শীর্ণ মানুষ।

আমার এক জায়গায় চোখ আটকে গেল। হাড় জিরজিরে কঙ্কালসার চেহারার একজন শুয়ে। চিত হয়ে। সারাটা অঙ্গ তার পোড়া। কালচে বাদামি চামড়ার যতটুকু দেখা যায়, কুঁচকে সিটে মেরে গেছে। নয়তো ঘা। চোখ দুটো ঠেলে বেরিয়ে আসছে কোটর থেকে। কণ্ঠী, গালের হাড় উঁচিয়ে আছে ভোঁতা ছুঁচলো বাঁশের কঞ্চির মতো।

তার পাশে বসা একজন সিস্টার। পরে জেনেছিলাম ওঁর নাম। সিস্টার অ্যাগনেস। বাঙালি। পরম যত্নে ওই ক্ষয়াটে পো়ড়া মানুষটির হাতের নখ কেটে দিচ্ছেন।

পুরো দৃশ্যটা পাকড়ে ধরে কেমন যেন আমাকে মাটির ওপর গেঁথে দিল! দিক্শূন্য হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষণ।

সম্বিৎ ফিরলে ছবি তুললাম বটে, কিন্তু মনে মনে ভাবলাম, এ কম্ম দিনের পর দিন আমার পক্ষে সম্ভব না।

সে দিন মাদারের সঙ্গে দেখা হয়নি। উনি কোনও কারণে আসেননি। বাড়ি ফিরে বিছানার ওপর কুঁকড়ে পড়ে রইলাম। আমার শিক্ষক বাবা শ্রীগোপাল দত্ত মশাই যদি তখন আমার মনে জোর না দিতেন, আমি হয়তো আর দ্বিতীয় বার ছবি তুলতে যেতাম না।

গেলাম পরের রবিবার।

সে দিনই প্রথম মাদারকে দেখলাম। নির্মল হৃদয়-এ ঢুকে ডান দিকে একটা প্যাসেজ। ও দিকে ফিমেল ওয়ার্ড।

সে দিন সুস্মিতা সেন

প্যাসেজের মধ্যিখানে একটা জানলা। সেই জানলা গলে এক ফালি রোদ্দুর এসে পড়েছে মেঝেয়। ওখানেই দেখলাম রড ধরে দাঁড়িয়ে মাদার। আমাকে দেখে বুঝতে পারলেন। ঝকঝকে নিষ্পাপ স্বর্গীয় একটা হাসি দিয়ে কাছে ডাকলেন।

আমি ওঁর কাছে যাওয়ার আগে কেমন যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো শাটারে হাত দিলাম। ক্লিক।

সেই আমার প্রথম ছবি। মায়ের।

সাক্ষাৎকারভিত্তিক রচনা: দেবশঙ্কর মুখোপাধ্যায়

এই লেখার সব ছবি: সুনীল দত্ত

Mother teresa Children
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy