Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

রবি ও ছেলেবেলা

রবীন্দ্রসদনে গীতিআলেখ্য। শুধুই রবির ছেলেবেলা।সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত হল ‘ছেলেবেলা’ শীর্ষক রবীন্দ্রনাথের জীবন সম্পর্কিত গীতি আলেখ্য। রবীন্দ্রনাথের চোদ্দো বছর বয়স পর্যন্ত জীবনকে তাঁরই রচিত নানা গানের সূত্র ধরে তৈরি করেছেন কৃষ্ণা রায় ‘রবি জীবনী’। শিশু রবির একাকীত্ব, কল্পনা, দুঃখ। মা’র মৃত্যু সম্পর্কে ছোট ছোট গদ্যের সঙ্গে আলেখ্যতে ব্যবহার করা হয়েছে সাতটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। মৃত্যু ও দুঃখের আবাহনে সঙ্গীতের সহ-মর্মিতা। বড় কঠিন সেই মুহূর্ত।

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৫ ০০:০৩
Share: Save:

সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত হল ‘ছেলেবেলা’ শীর্ষক রবীন্দ্রনাথের জীবন সম্পর্কিত গীতি আলেখ্য। রবীন্দ্রনাথের চোদ্দো বছর বয়স পর্যন্ত জীবনকে তাঁরই রচিত নানা গানের সূত্র ধরে তৈরি করেছেন কৃষ্ণা রায় ‘রবি জীবনী’। শিশু রবির একাকীত্ব, কল্পনা, দুঃখ। মা’র মৃত্যু সম্পর্কে ছোট ছোট গদ্যের সঙ্গে আলেখ্যতে ব্যবহার করা হয়েছে সাতটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। মৃত্যু ও দুঃখের আবাহনে সঙ্গীতের সহ-মর্মিতা। বড় কঠিন সেই মুহূর্ত। যা এ দিন উপলব্ধি করেছেন শ্রোতারা। এই আলেখ্য পরিবেশনে ছিলেন অনিন্দিতা কাজী, শিঞ্জিনী আচার্য মজুমদার, মাধবী দত্ত ও সুছন্দা ঘোষ। মাধবী দত্তের ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ ও ‘গানের ভিতর দিয়ে’। সুছন্দার ‘আজ নবীন মেঘের’ গান বেশ মনোগ্রাহী। শিঞ্জিনী আচার্য মজুমদারের ‘দূরে কোথায়’ ও ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি’ সুগীত, তবে সুছন্দার ‘গ্রাম ছাড়া’ ও শিঞ্জিনীর উদাত্ত কণ্ঠে ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি’ দর্শক-শ্রোতাদের মনকে তৃপ্তিতে ভরিয়ে তুলেছিল।

সার্থক পরম্পরা

আইসিসিআর-এ গান ও নাচের অনুষ্ঠানে। লিখছেন শিখা বসু

রবি পরম্পরা’। বলা যায় রবীন্দ্রচর্চার পরম্পরা। সম্প্রতি আইসিসিআর মঞ্চে অনুষ্ঠানটি দুটি ভাগে বিন্যস্ত। প্রথম পর্বে স্বপ্নের স্বদেশী গানের নিবেদন। দ্বিতীয় পর্বে কৌতুকী রবীন্দ্রনাথ। বাল্মীকি প্রতিভা, চিরকুমার সভা ও তাসের দেশ-এর কিছু নির্বাচিত অংশ।

প্রথম পর্বে ‘কয়ার’ দলের মতো মঞ্চে দাঁড়িয়ে গান গেয়েছেন শিল্পীরা। সঙ্গীত পরিচালক অনিতা পাল প্রতিটি গানকেই ভেঙেছেন চমৎকার ভাবে। কখনও সমবেত, কখনও একক, কখনও যুগ্ম বিন্যাসে। মোট ছ’টি গান। প্রতিটি গানই সুগীত। ‘বন্দেমাতরম’ দিয়ে শুরু। তারপর ‘ধন ধান্য’, ‘হও ধরমেতে ধীর’ উল্লেখ্য। শেষ বিস্ময় ছিল অনিতা পালের গাওয়া ‘সার্থক জনম আমার’। তাঁর নিপুণ গায়কি অভিনন্দনযোগ্য। সার্থক পরম্পরা।দ্বিতীয় পর্বে মন কাড়ে ‘বাল্মীকি প্রতিভা’, ‘তাসের দেশ’। কথা এবং গানের সঙ্গে মঞ্চ জুড়ে থাকে নাচ শুভাশিস ও সুস্মিতা ভট্টাচার্যের বুদ্ধিদীপ্ত পরিচালনা। চিরকুমার সভায় মধ্য পর্বে এসে মঞ্চটি হঠাৎ যেন ফাঁকা হয়ে যায়। সংলাপ অংশও একটু দুর্বল। তবে গানের অংশ অন্য দুটির সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে। ‘বাল্মীকি প্রতিভা’ নাচে গানে অনবদ্য। ‘তাসের দেশ’ও তাই। চলনে বলনে গানে নাচে তাসবংশীয়রা প্রত্যেকে চমক লাগায়। তুলনায় রাজপুত্র ও সদাগরপুত্রের কাছে আরও একটু প্রাণময়তা প্রার্থিত ছিল। সুবীর মিত্রের কথা আলাদা করে বলতেই হয় যাঁর অসামান্য বাচিক অভিনয়, সংলাপ তাসের দেশে এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। পুরো অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনায় অনিতা পাল। নৃত্যে ‘কলাক্ষেত্রম’-এর শিল্পীরা। গানে ‘রবি পরম্পরা’ আর সঞ্চালনায় অনিন্দিতা কাজি।

সুনির্বাচিত গান

উপভোগ্য চণ্ডালিকা

একক গানে

সম্প্রতি আইসিসিআর-এ রবীন্দ্রনাথের গান শোনালেন রীতা সিংহ। ‘তব দয়া দিয়ে হবে গো’ দিয়ে শুরু। সুপরিবেশিত। নজর কাড়ে জগন্নাথ বসুর পাঠও। শিল্পীর শেষ নিবেদন ছিল ‘তুমি এ বার আমায় লহ’।

শিকড়

সাহানা, স্যমন্তক, গোর্কি ও সপ্তর্ষি। বাংলা গানে চার নবীন শিল্পীর কণ্ঠে বেশ কিছু নতুন গান শোনা গেল ‘শিকড়’ সংকলনে। তার মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ‘বাড়ি কোথায়’, ‘চল একদিন’, ‘রানওয়ে’ প্রভৃতি। কসমিক থেকে প্রকাশিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE