Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
শনিবারের নিবন্ধ ২...

অ-বাক পৃথিবী

স্বামী-স্ত্রীর সংসারে কখনও দু’জনেই মূক ও বধির। নয়তো ওঁদের একজন। তবু আশ্চর্য কথায় সাজানো তাঁদের সংসার। দেখে এলেন পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়কথায় বলে, সেই বিয়েই না কি সবচেয়ে সুখের যেখানে পুরুষটি কানে শোনেন না, আর নারীটি চোখে দেখেন না! যদি এমন হয়, পাত্রপাত্রী দু’জনেরই শোনার ক্ষমতা নেই এবং কথা বলতে পারেন না, তখন? কথা বলতে এবং শুনতে পারা সত্ত্বেও তো অনেকসময় এক ঘরে থাকা দু’টি মানুষের মধ্যে তৈরি হয় এক মরুভূমি দূরত্ব। শর্মিষ্ঠা-কার্তিক, সন্দীপন-সুমনা, আবুল কালাম-আবিদা, রূপম-নবমিতা-রা কিন্তু শব্দহীন নীরবতার মধ্যেই পরস্পরের অনুভব পর্যন্ত পৌঁছনোর ক্ষমতা রেখেছেন।

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৪ ০১:০০
Share: Save:

কথায় বলে, সেই বিয়েই না কি সবচেয়ে সুখের যেখানে পুরুষটি কানে শোনেন না, আর নারীটি চোখে দেখেন না!

যদি এমন হয়, পাত্রপাত্রী দু’জনেরই শোনার ক্ষমতা নেই এবং কথা বলতে পারেন না, তখন?

কথা বলতে এবং শুনতে পারা সত্ত্বেও তো অনেকসময় এক ঘরে থাকা দু’টি মানুষের মধ্যে তৈরি হয় এক মরুভূমি দূরত্ব। শর্মিষ্ঠা-কার্তিক, সন্দীপন-সুমনা, আবুল কালাম-আবিদা, রূপম-নবমিতা-রা কিন্তু শব্দহীন নীরবতার মধ্যেই পরস্পরের অনুভব পর্যন্ত পৌঁছনোর ক্ষমতা রেখেছেন।

পিকনিক গার্ডেনের কুষ্ঠিয়া রোডে ছোট্ট সাদামাঠা বাড়িতে সন্দীপন, সুমনা আর মিকানের রাজ্যপাট।

সন্দীপন মূক ও বধির, কিন্তু সুমনা-র কোনও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নেই। তাঁদের একমাত্র ছেলে মিকান ক্লাস এইটে পড়ে। সে-ও সম্পূর্ণ সুস্থ।

পনেরো বছরের বিবাহিত জীবনে কথা বলা বা শোনার বিষয়টা কখনও সন্দীপন-সুমনার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ইন্ধন জোগায়নি। বরঞ্চ সুমনার বন্ধুরা রীতিমতো ঈর্ষা করে বলেছেন, “বেঁচে গেছিস। আমাদের মতো বরের খিটিরখিটির শুনতে হয় না। তুই চারটে কথা শোনালেও সন্দীপনের কানে যায় না। তোদের সম্পর্ক কোনও দিন নষ্ট হবে না।”

ছোটবেলা থেকেই মিকান ইশারা-ইঙ্গিতে দুরন্ত কথা বলে। বাবার সঙ্গে সর্বক্ষণ বিভিন্ন বিষয়ে হাতের ভাষায় কথা লেগেই থাকে। টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখায় সন্দীপনের দোসর ছিল সে। হাতের ইশারায় দুর্দান্ত কমেন্ট্রি দিতে পারে। কে জিতবে তা নিয়ে বাবা-ছেলেতে তুমুল বিতণ্ডাও বাধে।

সাত মাস বয়সে জটিল জন্ডিস হয়েছিল সন্দীপনের। কথা বলা আর শোনার ক্ষমতা চলে যায় তখনই। বড় হয়ে যখন চাকরিতে ঢুকেছেন তখন বাড়ি থেকে পাত্রীর খোঁজে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।

সুমনাদের বাড়ি ছিল ফুলবাগানে। মা নেই। দাদা-বৌদির কাছে থাকতেন। সংসারে টানাটানি। অনেক চেষ্টা করেও পাত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত সন্দীপনের সঙ্গেই বিয়ে ঠিক হয়।

তাঁতের শাড়ির হলুদমাখা আঁচল দিয়ে মুখের ঘাম মুছে সলজ্জ মুখে মধ্যবয়সে পৌঁছে যাওয়া সুমনা বলেন, “প্রথমে মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু কয়েকবার সন্দীপনের সঙ্গে দেখা করে আর ওঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম অত্যন্ত ভদ্র-ভাল পরিবার। ভাবলাম, স্বামী-স্ত্রী কথা বলতে পেরেও তো কত সংসার টিঁকছে না। মদ খেয়ে এসে বৌকে মারছে, গালাগাল দিচ্ছে, অন্য সম্পর্কে জড়াচ্ছে। সেই জায়গায় যদি একজন সৎ মানুষ পাই যে আমার দায়িত্ব নেবে, ভালবাসবে তা হলে কথার প্রয়োজন কী? বোঝাপড়ার ভিত শক্ত হওয়া দরকার।” বিয়ে করলাম।

তবে সংসার থাকবে আর ঝগড়া থাকবে না তা কি হয়?

সুমনা চোখ বড়-বড় করে বলেন, “মোটেই ভাববেন না যে সন্দীপন কথা বলতে বা শুনতে পারে না বলে ও ঝগড়া করে না। ভয়ঙ্কর রাগ ওর আর বাচ্চাছেলের মতো জেদ। তুলকালাম ঝামেলা লাগে। আমিও তখন চুপ করে থাকি না। কিংবা যা মুখে আসে তাই বলি। লিপ-রিড করে ও কিছুটা বোঝে, কিছুটা বোঝে না। কিন্তু রাগের ঝাঁঝ বিলক্ষণ টের পায়। ও নিজেও কম যায় না। হাত পা নেড়ে ইশারায় প্রবল ঝামেলা বাধায়।”

প্রথমে থামে কে?

সুমনা হেসে বলেন, “আমিই থামি। বেশিক্ষণ রাগ ধরে রাখতে পারি না। তা ছাড়া, লোকটাকে বড্ড ভালবাসি। অনেক কষ্ট পেয়েছে জীবনে। অনেক সময় অফিসে গোলমাল হয়, মনের চাপ কমাতে বলতে চায় কিন্তু সবটা ইশারায় প্রকাশ করতে পারে না। তাতে ওঁর আরও কষ্ট হয়, আমি বুঝি। আমি আর মিকান তখন বলি, আমরা সব বুঝতে পারছি। তখন একটু শান্ত হয়।”

বেহালা জয়রামপুরে আরেক সংসার নবমিতাদের। বছর দু’য়েকের রূপসা যেখানে কলিংবেল বাজলেই মা বা বাবা-র হাত ধরে টেনে এনে আঙুল দেখিয়ে বলে, ‘‘খোলো, দরজা খোলো।” বাইরে থেকে হয়তো কেউ নাম ধরে ডাকছেন, আধো গলায় চোখ ঘুরিয়ে বলে, “দাকছে, দাকছে-এ-এ।” যা শুনে দাদু সমীরকুমার রায়চৌধুরী নিশ্চিন্তির নিঃশ্বাস টেনে বলেন, “যাক, আর চিন্তা নেই। বাবা-মায়ের বাকি জীবনটা মেয়েই সামলে দিতে পারবে। সব কিছু পূর্বনির্ধারিত, প্রি-ডেস্টিনড।”

সমীরবাবুর ছেলে-বৌ অর্থাৎ ছোট্ট রূপসার বাবা-মা রূপম আর নবমিতা চৌধুরী দু’জনেই মূক-বধির।

রূপম একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। চার বছর আগে রূপমের বিয়ের জন্য কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন সমীরবাবু। গোটা চল্লিশ সম্ভাব্য পাত্রীর পরিবার যোগাযোগ করে। তার মধ্যে প্রতিবন্ধী নন এমন পাত্রীরাও ছিলেন।

শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয় রায়গঞ্জের মেয়ে নবমিতার সঙ্গে। এখন স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি-মেয়ে নিয়ে নবমিতার জমজমাট সংসার। সেখানে কথা বলতে না-পারাটা আলাদা করে কোনও পাঁচিল তুলতে পারে না।

রায়চৌধুরী পরিবার কথা বলার বিকল্প খুঁজে নিয়েছে। এসএমএস। আড্ডা মারা তাঁদের সবচেয়ে পছন্দের পাসটাইম। রূপমের বাবা-মা ইশারায় কথা বলা অনেকটা জানেন।

খানিক ইশারা, খানিক লিপরিডিং আর বাদবাকি এসএমএস-এ পরিবারের সদস্যদের জমাটি আড্ডা ঠেকায় কে! সেই সঙ্গে রয়েছে একসঙ্গে সিরিয়াল দেখা।

সিরিয়াল বোঝেন কী করে?

নবমিতা হেসে গড়িয়ে পড়েন। ইশারায় ব্যাখ্যা করেন, “জীবন তো হরেদরে একই রকম। সিরিয়ালে জীবনের গল্পই থাকে। দেখলেই বোঝা যায়। এক সময় মানুষ নির্বাক ছবি দেখে আনন্দ পেতেন, এটাও সে রকম। উল্টে আমার শাশুড়ি সিরিয়ালের কোনও সিকোয়েন্স বুঝতে না পারলে আমি বুঝিয়ে দিই।”

একটাই ভয় ছিল তাঁদের। বাচ্চাটা ঠিকঠাক হবে তো? ও পৃথিবীর সব আওয়াজ শুনতে পারবে তো? সব কথা বলতে পারবে?

রূপসার জন্মের পর উদ্বেগে ঘনঘন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেন। কানের পাশে নানারকম আওয়াজ করে দেখতেন ও চমকে উঠছে কিনা। তার পর যখন মেয়ের মুখে প্রথম কথা ফুটল আনন্দে গোটা একটা দিন শুধু কেঁদেছিলেন নবমিতা।

এখন সেই মেয়ে মা-কে টিভি-র কাছে নিয়ে গিয়ে বলে, “গান চালাও।” মিউজিক চ্যানেল চালিয়ে দিলেই তালে-তালে নাচতে থাকে রূপসা। টিভির স্ক্রিনে হাত দিয়ে সেই গানের ভাইব্রেশন অনুভব করে তার সঙ্গে মেয়ের নাচের ছন্দ মেলানোর চেষ্টা করেন মা। তাঁর চারদিকটা তখন আলো-আলো হয়ে যায়। গান কী জিনিস নিজে কখনও জানতে পারেননি। কিন্তু রূপসা পারছে। জীবনে কী পেলেন না তা নিয়ে আর কোনও আক্ষেপ নেই।

আক্ষেপ নেই সালেহা বেগমেরও। ছোটবেলায় ছেলেটার দিকে তাকালেই ভিতরটা মুচড়ে উঠত। টগবগে, দুরন্ত ছেলে, অথচ গোটা পৃথিবীর শব্দের জগৎ ওর কাছে রুদ্ধ। কথা বলতে পারে না, শোনেও না।

সালেহার স্বামী বাড়ি থেকে চলে গিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। আর্থিক সঙ্গতি নেই। হাসপাতালে আয়ার কাজ নিলেন। ছেলেকে কী করে বড় করবেন বুঝতে পারতেন না। কিন্তু সময় সব পরিস্থিতি উল্টে দেয়।

সালেহার সেই ছেলে আবুল কালাম এখন তিরিশ পেরিয়েছেন। একটি বেসরকারি হস্তশিল্প কারখানায় কাঠের কাজ করেন। গত বছর জানুয়ারিতে বিয়ে করেছেন হাড়োয়ার মেয়ে ২২ বছরের আবিদা-কে। সেই মেয়েও কথা বলতে বা শুনতে পারেন না। ঘোলা থানার মানিকডাঙায় ছেলে-ছেলের বৌকে নিয়ে সালেহার ভরা সংসার। আবুল কালাম আর আবিদা এত প্রেমে আছে, এত ভাল আছে দেখলেই সালেহার বুক জুড়িয়ে যায়, সব আক্ষেপ ভুলে যান।

ফুটফুটে সুন্দরী আবিদা শাশুড়ির ঘোর ন্যাওটা। সালেহার আঁচলে আঙুল জড়িয়ে, বুকে মুখ গুঁজে বসে থাকেন ফুরসত পেলেই। মাথায় আদর করে হাত বুলোতে-বুলোতে সালেহা বলেন, “সবাই বলে, ‘তোমার কপাল ভাল। তোমার বৌমা চেষ্টা করলেও তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতে পারবে না, কথা শোনাতে পারবে না।’ ওরা তো জানে না দু’টোতে মিলে হাত-পা নেড়ে ঝগড়া করে তারপর জিনিসপত্র ভাঙে, তার পর আসে আমার কাছে নালিশ করতে। কথা বলতে না পারলেও কি রেহাই আছে!”

আবিদা সিরিয়ালের পোকা। হেন সিরিয়াল নেই যার গল্প তাঁর মগজস্থ নয়। সালেহার কথায়, “আমাকে টেনে টেনে নিয়ে গিয়ে টিভির সামনে বসাবে, এমন ভাবে সিরিয়ালের গল্প বোঝাবে যা অনেক কথা বলতে পারা মানুষও পারবে না।”

ওরা একসঙ্গে ঘর গোছান, রান্না করেন, সুন্দর করে সেজেগুজে বেড়াতে যান, কেনাকাটা করেন, হাসিমুখে থাকেন। আবিদা বিউটিশিয়ান কোর্স করেছেন। চাকরি খুঁজছেন।

কিন্তু সন্তান মানুষ করতে গিয়ে সমস্যা হয়? হয়তো বাচ্চার ব্যথা লেগেছে বা পেট ব্যথা করছে, সে কাঁদছে কিন্তু বাবা-মা ঘুমিয়ে পড়েছেন। যেহেতুু তাঁরা শুনতে পান না, তাই কান্না শুনে তাঁদের ঘুম ভাঙছে না। তখন? একটু বড় হলে বাচ্চার সঙ্গে গল্প করা, তাকে নানা জিনিস শেখানো, পড়ানো, কিছুই তো পারবেন না।

শুনে সালেহা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে তারপর বলেন, “ঠিকই। সমস্যা আছে। তবে উপরওয়ালা সব ব্যবস্থা করে রাখেন। কেউ কাউকে মানুষ করে না। মানুষ হয়ে যায়। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েও তো অনেকে বড় হয়। তা ছাড়া, ওঁদের সাহায্য করতে আমি এখনও আছি, আত্মীয়স্বজনেরা আছেন। যা হবে ভালই হবে।”

জীবনটাকে ঠিক একই রকম সদর্থক কাচের তলায় ফেলে দেখতে চান শর্মিলা আর কার্তিক। ছোটবেলার এই দুই সহপাঠীর বিয়ে হয়েছে গত পয়লা মে।

দুজনেই মূক-বধির এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের। ফলে লড়াইয়ের পথটা ছিল যথেষ্ট এবড়োখেবড়ো। তাতে অবশ্য শর্মিলাদের দমানো যায়নি।

আঙুলের ইশারায় শর্মিলা জানান, চার বোন ছিলেন, বাবা গাড়ি চালাতেন। বাড়িতে টানাটানি কখনও কমত না। তা-ও মা চেয়েছিলেন মেয়েরা পড়াশোনা শিখুক। শর্মিলারও লেখাপড়ার খুব ইচ্ছা ছিল।

ক্লাস সেভেন পর্যন্ত রবীন্দ্রসরোবরের কাছে একটি স্পেশ্যাল স্কুলে পড়তেন। খুব ভাল ফল করতেন। কিন্তু স্কুলটা সেভেন পর্যন্তই ছিল। মূক-বধিরদের জন্য সরকারি বড় স্কুলের কথা তখন জানতেন না বাবা-মা। ফলে বাধ্য হয়ে মেয়েকে ভর্তি করেন পাড়ার কাছে সাধারণ স্কুলে, ক্লাস এইটে। সেখানে পড়া কিছু বুঝতেই পারত না শর্মিলা। হেনস্তা হত, অনেকে তাকে নিয়ে মজা করত। ফলে স্কুল ছাড়তে হল। সেলাই করতেন খুব ভাল। সেলাই করে রোজগার শুরু করেন।

ছোটবেলার স্কুলেই কার্তিকের সঙ্গে আলাপ। যোগাযোগটা থেকে গিয়েছিল। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে কার্তিকও চাকরি পেয়েছিলেন বেসরকারি সংস্থায়। অতঃপর বিয়ে।

এখন একটু-একটু করে নিজেদের জীবন গোছাচ্ছেন কার্তিকরা। আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছেন। বোঝেন, পরিবারের পরিচিত-নিরাপদ কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে দুনিয়ার মুখোমুখি হওয়াটা খুব দরকার। তাই চেষ্টা করেন সব কাজ নিজেরা করতে।

বাজার করা, ডাক্তার দেখানো, ব্যাঙ্কে যাওয়ার মতো কাজে আগে কার্তিক বাড়ির কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন, এখন একাই সামলান। সিনেমা দেখতে দু’জনেই খুব ভালবাসেন। তাই ছুটির দিন একটা না একটা সিনেমা মাস্ট। নায়ক-নায়িকার ঠোঁট নাড়া দেখেই সংলাপ বুঝতে পারেন।

সহজ একটা কথায় বিশ্বাস করেন তাঁরা, “জীবনটাকে জটিল ভাবলে জটিল হবে, সরল ভাবলে সরল।” আশা করেন, সন্তান জন্মালে তার নিশ্চয়ই ভাষা থাকবে। তবু তাকে শেখাবেন কথা বাদ দিয়ে শুধু অনুভূতি দিয়ে অন্য মনের অনুভূতিকে স্পর্শ করতে পারার কৌশল।

শব্দহীন দুনিয়ার বাইরে শব্দমান পৃথিবীতেও না-বলা কথা বুঝে নিতে পারা মনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে স্বপ্ন দেখেন ওঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

parijat bandopadhyay deaf and dumb couple family
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE