Advertisement
E-Paper

‘একই সংস্থার শেয়ারে সব টাকা লগ্নি করবেন না, বিভিন্ন সংস্থায় ছড়িয়ে দিন’

গত কালই ছিল শিক্ষক দিবস। যদি আমাদের সঞ্চয়ের টোলেও এমন এক জন মাস্টারমশাই থাকতেন? একেবারে গোড়ার পাঠ হিসেবে কী পড়াতেন তিনি? সাবধান করতেন কোন বিষয়ে? আঁচ করলেন অমিতাভ গুহ সরকার।লগ্নির দুনিয়াতেও এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁদের পরামর্শ আমরা মনে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এটা ঠিক যে, আপনাকে সরাসরি বিনিয়োগের পাঠ দেবেন, সে সরকম শিক্ষক সহজে পাওয়া মুশকিল

অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩০

জন্মের পরে হাঁটতে শেখা বাবা-মায়ের হাত ধরে। স্কুল-কলেজে সেই মুখই বদলে যায় শিক্ষক, অধ্যাপকে। আবার চাকরির জগতে পা দিয়ে আশপাশের সহকর্মী, বস সকলেই আমাদের কিছু না কিছু শেখান। অর্থাৎ, আমাদের জীবনে শিক্ষকের অভাব থাকে না কখনওই। শুধু জরুরি সেই শিক্ষা মেনে চলা।

লগ্নির দুনিয়াতেও এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁদের পরামর্শ আমরা মনে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এটা ঠিক যে, আপনাকে সরাসরি বিনিয়োগের পাঠ দেবেন, সে সরকম শিক্ষক সহজে পাওয়া মুশকিল। অথচ টাকা রাখার আগে জানতে হয় নানা খুঁটিনাটি, যা লগ্নিতে ভুল পদক্ষেপ থেকে বাঁচাতে পারে। তাই এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরই। হাতের সামনে ইন্টারনেট অনেকেরই মজুত। সেখানে মাউসের ক্লিকে খুঁজে নিতে হবে সঠিক তথ্য। অথবা কথা বলতে হবে বিষয়টি জানেন, এমন মানুষের সঙ্গে। আজ শিক্ষক দিবসের পরের দিন নিজেকে পাঠ দেওয়ার সেই শপথই নেব আমরা। কথা বলব কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা নিয়ে।

তবে হ্যাঁ, লগ্নির জগৎ বিশাল। তাই তার সব বিষয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে এক দিনেই কথা শেষ হবে না। কিন্তু তা-ও সাধারণ ভাবে প্রকল্পগুলির মূল জিনিসটা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে সেখানে পা রাখার সময়ে অন্তত ভুল না করে ফেলি।

কোথায় কেমন?

এটা ঠিক যে, আপনি কোথায় টাকা রাখবেন, সেটা আপনার বিষয়। কিন্তু প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। তাই এখানে সে ভাবেই আলোচনা করব আমরা। তার সঙ্গেই দেখে নেব কোন শব্দের কী মানে। কারণ, তা না জানা থাকলে লগ্নির সময়ে সমস্যা হতে পারে।

নির্দিষ্ট আয় প্রকল্প

যাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁদের পছন্দ এই ধরনের লগ্নি। এর প্রকল্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানত ও বিভিন্ন ডাকঘর স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেখানে আগেরগুলির তুলনায় একটু বেশি সুদ মেলে।

বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত মানুষের এটা নিয়মিত ও নিশ্চিত আয়ের উপায়। তবে এখানেও চোখ বুজে লগ্নি করলে চলবে না। ভাল আয়ের পাশাপাশি দেখতে হবে সুরক্ষা ও প্রয়োজনে আগে ভাঙানোর মতো দিকগুলিও। চলুন দেখে নিই কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে—

• সুদ বেশি থাকলে লগ্নি করতে হবে বড় মেয়াদে। তা হলে মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত বেশি রিটার্ন মিলবে।

• যেখানে দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নির কথা ভাবছেন, আগে দেখুন মেয়াদ শেষের কত দিন আগে সেখান থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

• অনেক ক্ষেত্রে বন্ডের মতো প্রকল্পে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা তুলনায় বেশি সুদের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দেখা যাবে, সেই প্রকল্পগুলির ততটা সুরক্ষিত নয়। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই লগ্নি করুন।

• আয় করযোগ্য কি না বা লগ্নিতে করছাড় মেলে কি না, তা দেখে নিন।

• সব সময়ে যৌথ নামে (জয়েন্ট) লগ্নি করুন। তা সম্ভব না হলে অবশ্যই নমিনি করুন।

• প্রয়োজন অনুসারে প্রতি মাসে, তিন মাসে, ছ’মাসে বা এক বছরে সুদ নিতে পারেন। তবে তা নির্ভর করবে কী রকম টাকার দরকার, তার উপরে।

• করের আওতায় না পড়লে অর্থবর্ষের শুরুতেই ১৫জি বা ১৫এইচ ফর্ম জমা করুন। এতে সারা বছর ধরে উৎসে কর না টাকার বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারবেন।

শেয়ারে লগ্নি

ঝুঁকির মাপকাঠিতে সবচেয়ে উপরে থাকে শেয়ার। আবার সম্ভাব্য রিটার্নের বিচারেও তা অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এক সময়ে শেয়ারে লগ্নিকে সব হারানোর জায়গা বলে মনে করা হত। কিন্তু এখন চিন্তাধারা পাল্টেছে। অভিজ্ঞতা থেকেই মানুষ বুঝছেন যে, এখানে লগ্নি না করে তহবিল বাড়ানোর উপায় সে ভাবে নেই। এমনকি আপনি না চাইলেও, শেয়ার বাজার এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। কারণ, পিএফ বা পেনশন ফান্ডের টাকাও এখন লগ্নি হচ্ছে শেয়ারে, ইটিএফ মারফত। তাই সব মিলিয়ে চাহিদা বাড়ছে ঝুঁকি এড়িয়ে শেয়ারের দুনিয়ায় কী ভাবে পা রাখতে হয়, সেই পদ্ধতি জানারও।

তবে এই দুনিয়ায় প্রতি পদে সাবধানে পা ফেলতে হবে। সরাসরি শেয়ারে পা রাখার আগে জানতে হবে তার খুঁটিনাটি। কী কী খেয়াল রাখবেন, দেখে নিই—

• গুজবে কান দিয়ে শেয়ার কিনবেন না। নিজে বুঝে তবেই শেয়ার কিনুন। নয়তো বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।

• শেয়ার কিনতে হবে পড়তি বাজারে। আর বিক্রি করতে হবে চড়া বাজারে। যাতে মোটা মুনাফা মেলে।

• একলপ্তে মোটা টাকা শেয়ারে লগ্নি না করাই ভাল। কারণ, এতে টাকা ঢালার পরে হঠাৎ দাম কমে গেলে বেশি টাকা খোওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা।

• একই সংস্থার শেয়ারে সব টাকা লগ্নি করবেন না। বরং টাকা বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে ছড়িয়ে দিন।

• লগ্নি ছড়াতে হবে বিভিন্ন শিল্পের সংস্থাতেও। যাতে কোনও একটিতে লোকসান হলে বাকিগুলি সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারে।

• নজর থাকুক দেশের অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক ঘটনা, সংস্থার ফল, কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি ইত্যাদি বিষয়ে। কারণ এর প্রত্যেকটাই শেয়ার দরে প্রভাব ফেলে।

• শেয়ারে সরাসরি লগ্নি করতে না চাইলে টাকা রাখা যেতে পারে ইটিএফ মারফত। অথবা লগ্নি করা যেতে পারে মিউচুয়াল ফান্ডেও।

• সুযোগ বুঝে মাঝে মাঝে শেয়ার বিক্রি করে লাভ ঘরে তুলতে হবে। পরে বাজার পড়লে আবার তা কেনা যেতে পারে।

• এক বার শেয়ার কেনার পরে এক বছরের মধ্যে তা বিক্রি করে লাভ হলে দিতে হবে ১৫% হারে স্বল্পমেয়াদি মূলধনী লাভ কর। তার এক বছরের পরে বিক্রির সময়ে মুনাফা হলে লাগবে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভ কর। সে ক্ষেত্রে প্রথম ১ লক্ষ টাকা মুনাফার উপরে কর লাগবে না। লাভ তার বেশি হলে কর দিতে হবে।

• হাতে কাগজের শেয়ার থাকলে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে বদলাতে হবে। না হলে পরবর্তীকালে ওই শেয়ার লেনদেন করা যাবে না।

ফান্ডের দুনিয়া

ব্যাঙ্ক, ডাকঘরে সুদ কমায় এক-দেড় বছরে চাহিদা বেড়েছে শেয়ারের। আর যাঁরা সরাসরি শেয়ারে টাকা ঢালতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা বেছে নিচ্ছেন মিউচুয়াল ফান্ডকে। যাঁরা বেশি ঝুঁকি নিতে চান, মাঝারি ঝুঁকি পছন্দ করেন অথবা তা এড়িয়ে চলতে চান, তাঁদের সকলের জন্যই কোনও না কোনও ফান্ড রয়েছে। এ জন্য মনে রাখুন—

• বেশি নিচু বাজারে একলপ্তে লগ্নি করতে পারেন। কিন্তু দোলাচলের বাজারে টাকা রাখতে হবে এসআইপি মারফত। অর্থাৎ প্রতি মাসে কিস্তিতে।

• ভবিষ্যতের নানা প্রয়োজনের জন্য আলাদা এসআইপি খোলা যেতে পারে। যেমন সন্তানের উচ্চশিক্ষা ও বিয়ে, বাড়ি-গাড়ি কেনা ইত্যাদি।

• টাকা রাখতে পারেন ব্যালান্সড ফান্ডে। তবে খেয়াল রাখবেন, সাধারণত এর ৬৫% টাকা খাটানো হয় শেয়ারে। ফলে এতে ইকুইটি ফান্ডের মতো করে সুবিধা মেলে। কিন্তু কিছুটা হলেও ঝুঁকি থেকে যায়। বিশেষ করে বয়স্করা এতে লগ্নির আগে সব দিক ভাল করে বুঝে নিন।

• এসআইপিতে খুব কম অঙ্কের টাকাও রাখা যায়। কিন্তু নিয়মিত লগ্নি হয় বলে সেই কম লগ্নিই বড় মেয়াদে ভাল রিটার্নের মুখ দেখাতে পারে।

• ইএলএসএসের মতো ফান্ডে টাকা রেখে কর বাঁচানো যায়। কর বাবদ সুবিধা মেলে মুনাফার উপরেও।

• বাজারে সুদ বাড়তে শুরু করেছে। এই সময়ে ডেট (ঋণপত্র নির্ভর) ফান্ডে লগ্নি করে রাখা ভাল। পরে সুদ কমলে ওই সব ফান্ডের ন্যাভ বাড়বে। ফলে বাড়বে তহবিলও।

• বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে সেক্টোরাল ফান্ডের ক্ষেত্রে। যখন কোনও শিল্প ভাল করছে, তখন এই ফান্ড বেশ আকর্ষণীয়। কিন্তু তেমনই তা খারাপ করতে শুরু করলে লগ্নির সব টাকা ডুবে যাওয়াও বিচিত্র নয়।

• ভাল রিটার্ন পেতে হলে এক বার লগ্নির পরে তা দীর্ঘ মেয়াদে ধরে রাখা জরুরি। কিন্তু যে ফান্ড ক্রমাগত খারাপ রিটার্ন দিয়ে চলেছে, সেখানে টানা টাকা রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই প্রতি ছ’মাস বা এক বছরে রিটার্ন দেখুন। যদি মনে করেন তা মনমতো নয়, তা হলে ফান্ড পাল্টান।

• ফান্ড থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ডের উপরে কর বসেছে। তাই নিয়মিত আয়ের প্রয়োজন না থাকলে, বিকল্প (গ্রোথ) ফান্ড বেছে নেওয়া যায়।

বন্ড বা কোম্পানি জমা প্রকল্প

ব্যাঙ্ক, ডাকঘরের বাইরে বেশি সুদ পেতে এই প্রকল্পে টাকা রাখা যায়। কিন্তু এখানে লগ্নির আগে সাবধান হওয়া জরুরি। মাথায় রাখুন—

• বেসরকারি সংস্থার প্রকল্প বাছতে হবে খুব সাবধানে। দেখে নিতে হবে তাদের রেটিং। কম রেটিং অথবা রেটিং না থাকা প্রকল্পে লগ্নি এড়িয়ে চলতে হবে।

• নামকরা সংস্থা না হলে, দীর্ঘ মেয়াদে টাকা না রাখাই ভাল।

• বন্ডে সাধারণত আগে ভাঙানোর সুবিধা থাকে না।

• বাজারে নথিভুক্ত হলে সেই বন্ড কেনাবেচা করা যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা বিক্রি করা সহজ না-ও হতে পারে।

• একই সংস্থা বা একই ঋণপত্রে পুরো তহবিল লগ্নি করবেন না।

• এক বার টাকা ঢেলেই নিশ্চিন্ত হলে চলবে না। বরং মাঝে মাঝে খবর নিন সংস্থার ব্যবসা কেমন চলছে।

• মনে রাখবেন, সাধারণত সরকারি সংস্থা বা সরকারি বন্ড তুলনায় অনেক বেশি সুরক্ষিত।

শব্দ পরিচয়

শিক্ষার শুরু হাতেখড়িতে। তার পরে বর্ণ পরিচয়। এর পরে আসে শব্দ এবং বাক্য। যত শব্দ এবং তার মানে জানা যাবে, ততই সেই ভাষার উপরে দখল বাড়বে। লগ্নির জগতও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শব্দ। যার অর্থ জানা না থাকলে লগ্নির ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।

সঙ্গের সারণিগুলিতে চোখ রাখুন। সেখানে এমন কিছু শব্দ আর তার মানে দেওয়া হল, যা লগ্নির পথে পা বাড়ানোর আগে অবশ্যই জানা জরুরি।

শেয়ার বাজার

ইকুইটি

• বেশিরভাগ সংস্থা মূলধনের একটা বড় অংশ সংগ্রহ করে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে।

• এই শেয়ারের সঙ্গে ভোটাধিকার যুক্ত থাকে।

• বাজারে নথিভুক্ত করা যায়।

• সংস্থা উঠে গেলে টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা নেই।

আইপিও

• সাধারণ মানুষের জন্য প্রথম শেয়ার ইস্যুকেই প্রচলিত ভাষায় আইপিও বলা হয়।

ফেস ভ্যালু

• শেয়ারের মূল দাম। তা ১, ২, ৫, ১০০ টাকা হতে পারে।

শেয়ার প্রিমিয়াম

• ফেস ভ্যালুর তুলনায় অতিরিক্ত দামে শেয়ার ইস্যু করা হলে, সেই বাড়তি অংশই প্রিমিয়াম।

রাইট শেয়ার

• কোনও সংস্থার সদস্য হওয়ার অধিকারে প্রাপ্ত শেয়ার।

বোনাস শেয়ার

• বিনামূল্যে বণ্টিত শেয়ার।

ডিভিডেন্ড

• সংস্থার মুনাফার অংশ, যা লগ্নিকারীদের দেওয়া হয়।

• বছরে এক বা একাধিকবার দেওয়া হতে পারে অথবা না-ও দেওয়া হতে পারে।

ডিভিডেন্ড ইল্ড

• ডিভিডেন্ড বাবদ প্রকৃত আয়।

• শেয়ার পিছু প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড ওই শেয়ার কেনার দামের যত শতাংশ, সেটাই হল তার ইল্ড।

ইপিএস

• শেয়ার পিছু আয়।

• সংস্থার নিট লাভকে মোট ইস্যু করা শেয়ার দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় ইপিএস।

পিই রেশিও

• শেয়ারের দাম ও আয়ের অনুপাত।

• শেয়ারের বাজার দরকে ইপিএস দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় পিই রেশিও।

বাই ব্যাক

• কোনও সংস্থা যখন নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নেয়, তাকে বলে বাই ব্যাক।

বন্ড/ ডিবেঞ্চার

এনসিডি

• নন কনর্ভাটিব্‌ল ডিবেঞ্চার।

• এটিকে শেয়ারে রূপান্তর

করা যায় না।

এফসিডি

• ফুল্‌লি কনর্ভাটিব্‌ল ডিবেঞ্চার।

• এটি পুরোপুরি শেয়ারে

পরিণত করা যায়।

পিসিডি

• পার্শিয়ালি কনর্ভাটিব্‌ল ডিবেঞ্চার।

• আংশিক ভাবে শেয়ারে

রূপান্তর করা যায়।

রেটিং

• এই মাপকাঠি দেখে কোন বন্ড কতটা সুরক্ষিত বোঝা যায়।

শেয়ার/ বন্ড

লিস্টিং

• কোনও ঋণপত্র বা শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হওয়ার পদ্ধতিই হল লিস্টিং।

ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট

• বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে শেয়ার

এবং বিভিন্ন ধরনের ঋণপত্র রাখার অ্যাকাউন্ট।

ব্যাঙ্কিং

সিআরআর

• ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা নগদ জমার অনুপাত।

• যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে তার দায়ের একাংশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতে হয়।

রেপো রেট

• যে সুদের হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বল্প মেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়।

রিভার্স রেপো রেট

• যে হারে সুদের বিনিময়ে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে স্বল্প মেয়াদে ঋণ দেয়।

ইএমআই

• কোনও বড় মেয়াদের ঋণ শোধে মাসিক কিস্তি।

ফিক্সড ও ফ্লোটিং রেট

• সুদের হার বেস রেট কিংবা এমসিএলআর অনুযায়ী পাল্টালে তা ফ্লোটিং রেট। নইলে তা ফিক্সড।

এমসিএলআর

• ব্যাঙ্কের তহবিল সংগ্রহের খরচের ভিত্তিতে হিসেব করা সুদের হার।

• এখন মূলত এর উপরে নির্ভর করেই জমা ও ঋণে সুদ ঠিক করা হয়। আগে তা হত প্রধানত বেস রেটের ভিত্তিতে।

মিউচুয়াল ফান্ড

ন্যাভ

• নেট অ্যাসেট ভ্যালু।

• একটি মিউচুয়াল ফান্ডের নিট সম্পদকে ইস্যু করা মোট ইউনিট দিয়ে ভাগ করলে যা দাঁড়ায়, তা-ই হল ওই ফান্ডের ন্যাভ। এ ক্ষেত্রে রিটার্ন নির্ভর করে মূলত এর উপরেই।

এন্ট্রি লোড

• ফান্ডের ইউনিট কেনার সময়ে যে বাড়তি মাসুল গুনতে হয়, তা-ই হল এন্ট্রি লোড।

এগ্‌জ়িট লোড

• ইউনিট বিক্রি করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে মাসুল দিতে হলে, তা হল এগ্‌জ়িট লোড।

এনএফও

• নিউ ফান্ড অফারিং।

• নতুন ফান্ডের প্রথম ইস্যু।

ডাইভার্সিফায়েড ফান্ড

• এই ফান্ডের টাকা বিভিন্ন শিল্পে লগ্নি করা হয়।

সেক্টোরাল ফান্ড

• এই ফান্ডের টাকা কোনও একটি বিশেষ শিল্পের সংস্থায় ঢালা হয়। যেমন, আইটি অথবা ফার্মা ফান্ড।

ইকুইটি ফান্ড

• মূলত শেয়ারে লগ্নি করে।

ডেট ফান্ড

• তহবিলের বেশিরভাগটাই টাকা ঢালা হয় সরকারি বা বেসরকারি ঋণপত্রে।

ব্যালান্সড ফান্ড

• এই ফান্ডের সমান অথবা কমবেশি অংশ শেয়ার ও ঋণপত্রে লগ্নি করা হয়।

এসআইপি

• পুরো কথায় সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান।

• মাসিক কিস্তিতে ফান্ডে নির্দিষ্ট টাকা লগ্নির পদ্ধতি।

ইটিএফ

• এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড।

• অনেকটা শেয়ারের মত। বাজারে ইউনিট কেনাবেচা হয়।

লার্জ, মিড, স্মল ক্যাপ ফান্ড

• মূলত বড় সংস্থার শেয়ারে টাকা ঢাললে, তা লার্জ ক্যাপ। একই ভাবে মিড ও স্মল ক্যাপ বলা হয় তহবিলের টাকা মাঝারি ও ছোট সংস্থায় ঢালা হলে।

লেখক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ

(মতামত ব্যক্তিগত)

Savings Banking Mutual Fund
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy