ন’দিনের মাথায় এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরলেন হাওড়ায় আততায়ীর গুলিতে জখম হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দেবব্রত মণ্ডল ওরফে বাবু। গত ২৭ নভেম্বর রাতে নিজের বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি এবং সঙ্গী অনুপম রানা। দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়ার এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে দেবব্রতকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
নিশ্চিন্দা সাপুইপাড়া বসুকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবব্রত। ২৭ নভেম্বর অনুপমকে নিজের বাইকে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাড়ির কাছে আচমকাই তাঁদের উপর পর পর গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। পরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দুষ্কৃতীর পরিচয় পাওয়া যায়। জানা যায় সুমন চৌধুরী ওরফে বাসু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি গুলি চালান। কেন তিনি গুলি চালালেন, তা বুঝেই উঠতে পারছেন না দেবব্রত এবং অনুপম।
হামলার পর ন’দিন কেটে গিয়েছে। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত বাসু। দেবব্রত বাড়ি ফেরায় খুশি পরিবার-পরিজন। তবে মূল অভিযুক্ত ধরা না-পড়ায় চিন্তিত সকলেই। যত ক্ষণ না বাসু ধরা পড়ছেন, আতঙ্ক কাটছে না দেবব্রতের পরিবারের।
আরও পড়ুন:
গত ২৭ নভেম্বর রাত ১০টা নাগাদ হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানা এলাকা দিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন দেবব্রত। সঙ্গে ছিলেন অনুপম। সে সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা হয়। বুড়ো শিবতলার কাছে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান বাসু ও আর এক দুষ্কৃতী। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসু নিশ্চিন্দারই রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা। বাম জমানা থেকেই নাকি একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। রাজ্য রাজনীতিতে পালাবদলের পর তৃণমূলের সঙ্গেও বাসুর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় বলে দাবি। বিজেপির দাবি, গুলিবিদ্ধ পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গেও একদা ওঠাবসা ছিল বাসুর। এমনকি, ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের সঙ্গে একটি ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে (ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।