Advertisement
E-Paper

আপনাদের প্রশ্ন

শেয়ারে লগ্নি করতে আগ্রহী। আমার প্রশ্ন হল, শেয়ার বাজারে এমন কোনও বন্দোবস্ত কি আছে, যার মাধ্যমে মাসে মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করতে পারব? যদি থাকে, তা হলে তার সুবিধা বা অসুবিধাগুলি কী কী?

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০১:৫০

শেয়ারে লগ্নি করতে আগ্রহী। আমার প্রশ্ন হল, শেয়ার বাজারে এমন কোনও বন্দোবস্ত কি আছে, যার মাধ্যমে মাসে মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করতে পারব? যদি থাকে, তা হলে তার সুবিধা বা অসুবিধাগুলি কী কী?

মনোজিৎ চক্রবর্তী

শেয়ার বাজারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করলে রিটার্ন পাওয়া যায় এটা ঠিক। কিন্তু সব সময়ে মনে রাখতে হবে, শেয়ারে টাকা খাটানো এক ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ। সুতরাং বিজ্ঞাপনে যে যা-ই বলে থাক না কেন, কোনও ভাবেই কেউ শেয়ার বাজারের লগ্নি থেকে মাসে মাসে নির্দিষ্ট রোজগারের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। এটা অসম্ভব।

শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হলে লম্বা মেয়াদে করাই ভাল। তাতেই রিটার্ন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা। তা ছাড়া, এক বছরের বেশি মেয়াদে শেয়ারে টাকা খাটালে দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভকর (লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স) দিতে হয় না। শেয়ার থেকে প্রাপ্য লভ্যাংশও (ডিভিডেন্ড) করমুক্ত। সুতরাং দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নি করে বাজার যখন উপরের দিকে যাবে অথবা নির্দিষ্ট ওই বিনিয়োগটির বাজার দর যখন বাড়বে, তখন তা বিক্রি করে লাভ ঘরে তোলাই যুক্তিসঙ্গত।

পরামর্শদাতা শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞ অদিতি নন্দী।

আমি ১৫ বছরের জন্য এসআইপি করতে চাই। প্রতি মাসে ৯,০০০ টাকা করে দেব। ৩-৪টি ডাইভার্সিফায়েড ইকুইটি ফান্ডের নাম জানালে ভাল।

জাকির হোসেন, আমতা

প্রথমেই আপনার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাব। এতা লম্বা মেয়াদে যে-পরিমাণ টাকা এসআইপি করতে চাইছেন, তাতে ভবিষ্যতে আপনার সঞ্চয়ের ভিত যথেষ্ট পোক্ত হবে বলে আশা করা যায়। তবে বাজারে যেহেতু অনেক ডাইভার্সিফায়েড ইকুইটি ফান্ড রয়েছে, তাই নির্দিষ্ট কোনওটির নাম এ ভাবে জানানো মুশকিল। তা ছাড়া, বহু ফান্ডই বেশ ভাল। সুতরাং মাত্র ৩-৪টির নাম উল্লেখ করা উচিতও হবে না। আমি শুধু বলব চূড়ান্ত পদক্ষেপের আগে নিজের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতাটা ভাল করে মেপে নিন। আর ফান্ড পছন্দ করার ক্ষেত্রে কয়েকটি কৌশল মাথায় রাখুন।

১) দেখে নিন, ফান্ড কোন কোন ধরনের শিল্পের সংস্থায় তহবিলের টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে। নানা ধরনের শিল্পের বিভিন্ন সংস্থায় যত বেশি তহবিল ভাগ-বাটোয়ারা হবে, ততই ঝুঁকি কমবে, লাভের সম্ভাবনা বাড়বে।

২) লক্ষ করুন, কারা আপনার ফান্ড পরিচালনা করবে। ওই ফান্ড ম্যানেজারদের অতীত ইতিহাস ঘেঁটে পেতে পারেন তাদের সাফল্যের খতিয়ান।

৩) চেষ্টা করুন ঝুঁকি বুঝে নিতে।

৪) কোন ফান্ডে লগ্নি করলে কতটা খরচ বইতে হবে, সেটা জেনে নেবেন একেবারে প্রথমেই।

পরামর্শদাতা নীলাঞ্জন দে।

share market investment abp bishoy ashoy bishoy ashoy readers question readers enquiry
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy