সবাই বলে ওটিপি শেয়ার না করলে ব্যাঙ্কের টাকা চুরি হয় না। কিন্তু চোরেরা এখন অনেক সেয়ানা। তারা ক্রমাগত নানান পদ্ধতি বার করে চলেছে আপনার টাকা চুরি করতে। তাই ওটিপি যেমন শেয়ার করবেন না তেমনই মাথায় রাখবেন টাকা ট্রান্সফার করার অনেক রকম উপায় আছে।
যেমন,১) আপনি হয়তো কোনও রেস্তোরাঁ বা পেট্রল পাম্পে গিয়েছেন। সেখানে কাউন্টারের ব্যক্তির হাতে তুলে দিয়েছেন নিজের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড। ওই লোকটি কিন্তু চাইলেই নিজের মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে চোখের নিমেষে আপনার কার্ডের উভয় পিঠের ছবি তুলে নিতে পারে। লোকটি যদি কোনও অফশোর ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কার্ডটি ব্যবহার করে, তাহলে কোনও ওটিপি কিংবা পিন-এর প্রয়োজনই পড়বে না। তাই আপনার যে কার্ডে বিদেশি লেনদেনের সুযোগ আছে সেটি সাবধানে ব্যবহার করুন।
২) আবার আজকাল অনেক প্রতারক অন্য একটি উপায়ও অবলম্বন করছে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারপরই ফোন চলে আসছে আপনার কাছে। কাঁচুমাচু গলা করে একজন আপনাকে জানাবে যে ভুলবশতঃ আপনার অ্যাকাউন্টে সে টাকা পাঠিয়ে ফেলেছে, আর এই টাকা যদি এখুনি তাকে ফেরত না পাঠানো হয় তবে অফিসে অডিটার হিসেবের গোলমাল পাবে এবং ফল হিসেবে তার অ্যাকাউন্ট্যান্টের চাকরিটি যাবে। আপনাকে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সে কাকুতি- মিনতি করবে। আপনি দয়াপরবশ হয়ে রাজি হয়ে গেলেই সে কাজটা করার জন্য আপনাকে একটি কিউ-আর কোড স্ক্যান করতে বলবে। যে মুহূর্তে আপনি কিউ-আর কোডটি স্ক্যান করবেন, দেখতে পাবেন আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হুশ করে বেরিয়ে গেল! তাই কিউ আর কোড স্ক্যান করার ব্যাপারে সাবধান হবেন। মোবাইলে ব্যাঙ্কিং অ্যাপ থাকলে তো আরও বেশি।