পরের ঘটনা ত্রিপুরার। ধর্ষণে অভিযুক্ত ৪৬ বছরের এক ব্যক্তিকে একদল মহিলা গাছে বেঁধে চরম শাস্তি দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে চলে বেদম প্রহার। মহিলাদের মারে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ত্রিপুরার ঢালাই জেলার গন্ডচেরা থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি ৮ বছর জেল খেটেছেন। ছাড়া পাওয়ার পর তিনি মায়ের সঙ্গে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। পাঁচ বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তিনি নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। এর পর সেই নাবালিকাকে সেখানে রেখে চলে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
মেয়েটির কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ওই শিশুকন্যাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এবং তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের দাবি ছিল, মেয়েটিকে শেষ বার ওই জেলখাটা ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তাই যাবতীয় সন্দেহ ওই ব্যক্তির ওপর গিয়ে পড়ে। স্থানীয় মহিলারা তাঁকে স্থানীয় গ্রামে ধরে ফেলেন। তাঁকে গাছে বেঁধে চলে উত্তম-মধ্যম প্রহার। ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। এমন ভাবে ওই ব্যক্তিকে মারা হচ্ছিল যে, তিনি ঘটনাস্থলে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরের ঘটনা নাগপুরের। সে দিন যাঁরা ছিলেন এজলাসে, অনেকেরই মনে হয়েছিল, কোনও সিনেমার শুটিং চলছে। যাঁরা শুনেছিল সেই ঘটনা, তাঁদেরও একই কথা মনে হয়েছিল। আচমকাই এজলাস কক্ষে স্রোতের মতো ঢুকে আসছেন ২০০ থেকে ৪০০ মহিলা। তার পর তাঁরা সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আক্রমণ করছেন অভিযুক্তকে। কয়েক মিনিটে সব শেষে। কাঠগড়া, এজলাসের দেওয়ালে তখন শুধুই রক্তের ছোপ। দেহে প্রাণ নেই ভারত কালীচরণের।
এজলাস থেকে ফিরে কস্তুরবা নগরের বস্তিতে উদ্যাপনে মেতেছিলেন মহিলারা। সেই রাতে গান, নাচ করেছিলেন তাঁরা মন খুলে। পরে কালীচরণকে খুনের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু কস্তুরবা নগরের প্রতিটি মহিলা রুখে দাঁড়ান। জানান, সকলেই সে দিন এজলাসে খুন করেছিলেন কালীকে। অগত্যা পাঁচ মহিলাকে ছেড়ে দিয়েছিল নাগপুর পুলিশ।