রাজৈশ্বর্যের মালিক হয়েছেন ভেবে স্বপ্নের রাজত্বে বিচরণ করতে শুরু করেছিলেন মিশেল। কিন্তু অচিরেই তাঁর সেই স্বপ্ন ভেঙে ধূলিসাৎ হয়ে গেল। মিশেলের খেতের নীচে পাওয়া গুপ্তধনের কথা জানতে পারে সে দেশের সরকার। গোটা বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মিশেলের জমি পরিদর্শনে আসেন সরকারি কর্তারা। আর তাতেই স্বপ্নভঙ্গ হয় ৫২ বছর বয়সি প্রৌঢ় চাষির।
ফরাসি সরকারের কর্তারা নির্দেশ জারি করে দিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কেউ সেখানে কোনও রকম খননকার্য করতে পারবেন না। এখন সেই জমি সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফরাসি প্রাকৃতিক সম্পদ আইন অনুসারে, পরিবেশগত এবং আইনি পর্যালোচনা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোনও খনন বা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হবে না।
পরিবেশগত গবেষণা এবং আইনি পর্যালোচনা শুরু হতেই জমিটিতে যাবতীয় কার্যকলাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিবেশগত তদন্ত এবং আইনি পর্যালোচনা শুরু করেছে। জমিটি সুরক্ষিত রাখতে সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কড়া পাহারাও বসিয়েছে প্রশাসন। জমির মালিক হওয়া সত্ত্বেও তাই সেখানে প্রবেশের অনুমোদন পাননি মিশেল।
ফ্রান্সের পরিবেশরক্ষক সংস্থাগুলিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁদের সতর্কবাণী, সোনার খনি চালু হলে তা থেকে হয়তো স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু এর পরিবেশগত ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। কারণ অভার্গেন অঞ্চলটি সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্রের জন্য পরিচিত। এখানে সোনার খনি তৈরি হলে তা প্রকৃতির উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা পরিবেশবিদদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy