১৯৭৩ সালে কাকার পরিচালনায় ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’-এ দেখা গিয়েছিল আমিরকে। ওই ছবিতে রতনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ভাইপোকে রাজি করিয়েছিলেন তিনি। তবে ছেলে সিনেমায় অভিনয় করুক, তা চাননি তাহির। বাবার আপত্তি সত্ত্বেও শেষেমেশ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আমির। কয়েক বছর ছোটখাটো রোলে অভিনয়ের পর কাকার প্রযোজনায় আসেন নায়কের ভূমিকায়। তার পর... ওই যে কথায় বলে না— দ্য রেস্ট ইজ হিস্ট্রি! বাকিটা ইতিহাস।
১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল আমিরের ‘কয়ামত... ’। বাজেট ছিল ১ কোটি টাকা। তবে এ দেশে তা আড়াই কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। বিদেশের বাজারে কামিয়ে নিয়েছিল আরও সাড়ে ৫ কোটি টাকা। বক্স অফিসে মুনাফার পাশাপাশি আমির এবং ওই ছবির নায়িকা আর এক আনকোরা অভিনেত্রী জুহি চাওলা রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছিলেন। খ্যাতির আলোয় চলে এসেছিলেন ওই ছবির পরিচালক মনসুর খানও।
আমির জানিয়েছেন, প্রথম ছবির সাফল্যের পর মনে হয়েছিল তিনি তারকা হওয়ার পথে এগোচ্ছেন। তবে ১৯৯১-এ মহেশ ভট্টের ছবি ‘দিল হ্যায় কে মানতা নহি’ তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। ২০১৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে আমিরের দাবি, ‘‘ দিল হ্যায় কে... ছবিতে একটা টুপি পরেছিলাম। সে ছবি মুক্তির পর সকলেই সে রকম টুপি কিনতে শুরু করেছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, আমি স্টার হয়ে গিয়েছি।’’
কেরিয়ারের গোড়াতেই জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভাসতে শুরু করেছিলেন আমির। তবে নিজের গাড়ি না থাকায় তাঁর যাতায়াত করতে অসুবিধা হত। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ছবি করার পর অটো বা বাসে করে যাতায়াত করতাম। তবে এক সময় তা-ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় আমার এক জায়গার যাওয়ার কথা ছিল। তবে যেখানেই যা-ই না কেন, চারপাশে লোকজনের ভিড়। ফলে কাকার কাছ থেকে তাঁর গাড়ি ধার নিয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy