মাইক্রো ড্রোন হল আকারে ছোট কিন্তু শক্তিশালী এমন একটি ড্রোন যা কোনও দেশের সামরিক এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম সম্পদ। এ ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে সেই ড্রোনগুলি।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ০৭:৫৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাবে ‘মশা’। গোপন তথ্য বার করে নিয়ে এসে নাস্তানাবুদ করবে শত্রুপক্ষকে। সামলাবে সামরিক অভিযানও! অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে মশা কী ভাবে সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে? কী ভাবে গোপন তথ্য হাতিয়ে আনবে শত্রুদের ডেরা থেকে?
০২১৮
অবিশ্বাস্য মনে হলেও সেই কাণ্ডই ঘটিয়েছে চিন। চিনা সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (এসসিএমপি)’-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সামরিক অভিযানের জন্য মশার আকারের ড্রোন তৈরি করে ফেলছেন চিনের বিজ্ঞানীরা।
০৩১৮
মধ্য চিনের হুনান প্রদেশের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ডিফেন্স টেকনোলজির (এনইউডিটি) একটি রোবোটিক্স ল্যাবরেটরি এই মাইক্রো ড্রোনটি তৈরি করেছে।
০৪১৮
মাইক্রো ড্রোন হল আকারে ছোট কিন্তু শক্তিশালী এমন একটি ড্রোন যা কোনও দেশের সামরিক এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম সম্পদ। তবে এ ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে সেই ড্রোনগুলি।
০৫১৮
বিজ্ঞানীদের একাংশের মত, অনন্য ক্ষমতার সাহায্যে বিভিন্ন শিল্প এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপ্লব আনার সম্ভাবনা রয়েছে মাইক্রো ড্রোনের। এ বার চিন তৈরি করে ফেলল একেবারে মশার আকারের ড্রোন। অন্তত তেমনটাই দাবি চিনের একদল বিজ্ঞানীর।
০৬১৮
সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সপ্তাহের শেষে চিনা সংবাদমাধ্যম ‘চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি)’-র সামরিক চ্যানেল ওই ড্রোনের প্রোটোটাইপটি প্রদর্শন করেন ওই বিজ্ঞানীরা।
০৭১৮
এনইউডিটির ছাত্র লিয়াং হেক্সিয়াং তাঁর হাতে ধরা ক্ষুদ্র ড্রোনটি দেখিয়ে বলেন, ‘‘আমার হাতে যেটি রয়েছে, সেটি একটি মশার আকারের রোবট। এই ধরনের ক্ষুদ্র রোবট যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ এবং অন্যান্য গোপন অভিযানের জন্য উপযুক্ত।’’
০৮১৮
মশার আকারের ড্রোনটির মশার মতোই ছোট ডানা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূল কাঠামোর মাথায় উভয় পাশে রয়েছে ডানাগুলি। তিনটি পাতলা পা-ও রয়েছে ড্রোনটির।
০৯১৮
বিজ্ঞানীরা এ-ও জানিয়েছেন যে, মশার আকারের ড্রোনগুলি প্রায় ১.৩ সেন্টিমিটার লম্বা। নিয়ন্ত্রণ করা হয় স্মার্টফোন দিয়ে।
১০১৮
ড্রোনটির স্রষ্টা বিজ্ঞানীদের দাবি, সহজে শনাক্ত করা সম্ভব নয় বলে এই ধরনের ক্ষুদ্রাকৃতির ড্রোন গোপন সামরিক অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে। নজরদারি চালানোর জন্য বা বিশেষ গোয়েন্দা অভিযানের জন্যও অনবদ্য হয়ে উঠতে পারে এগুলি।
১১১৮
এ ছাড়াও জরুরি পরিস্থিতিতে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বার করার জন্য ড্রোনটি এক এবং অদ্বিতীয় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
১২১৮
বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, বায়ুর গুণমান বা জলের গুণমানের মতো পরিবেশগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্যও সেন্সর লাগানো যেতে পারে মাইক্রো ড্রোনগুলিতে।
১৩১৮
তবে মাইক্রো ড্রোনগুলি তৈরির ক্ষেত্রে এখনও কিছু বাধা রয়েছে। ছোট আকৃতি হওয়ার কারণে এগুলির পেলোড ক্ষমতা সীমিত। এমনকি, সেন্সর বহন করার ক্ষেত্রেও বাধার মুখে পড়তে পারে ড্রোনগুলি।
১৪১৮
একই সঙ্গে ব্যাটারি ছোট হওয়ার কারণে ড্রোনগুলি কত ক্ষণ কার্যকর থাকবে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে। যদিও ব্যাটারির আয়ু, সেন্সর প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম মেধার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) উন্নতি মাইক্রো ড্রোনগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলেও মনে করছেন অনেকে।
১৫১৮
এক দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন, অন্য দিকে ইরান বনাম আমেরিকা-ইজ়রায়েল। ভয়ঙ্কর যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে পূর্ব ইউরোপ ও আরব দুনিয়া। এ-হেন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যেই ‘চুপিসারে’ পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে চিন! আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এ বার কি তবে ওয়াশিংটনকে নিশানা করবে বেজিং? ড্রাগনের নিঃশ্বাসে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতেরও।
১৬১৮
বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির আণবিক অস্ত্রের আনুমানিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে থাকে সুইডিশ প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ‘স্টকহোলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা সিপ্রি।
১৭১৮
সম্প্রতি তাদের দেওয়া রিপোর্টকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের যৌথ পরমাণু অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি আণবিক ‘ওয়ারহেড’ রয়েছে বেজিঙের কাছে। শুধু তা-ই নয়, অন্যদের তুলনায় অনেকটাই দ্রুত এই হাতিয়ারের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছেন ড্রাগন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
১৮১৮
তবে এ বার চিনের মশার মতো ড্রোন তৈরির ক্ষমতা প্রকাশ্যে আসার পর বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, সামরিক সমস্ত ক্ষেত্র থেকেই নিজেদের শক্তিশালী বানানোর চেষ্টায় রয়েছে চিন। তা হলে কি গোপন কোনও পরিকল্পনা করছে বেজিং? তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।