বলিউডের ‘সার্কিট’কে বার বারই হোঁচট খেতে হয়েছে। এমনকি ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-র পর প্রায় আট মাস আরশাদের হাতে কোনও কাজ ছিল না।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
অভিনেতা হিসাবে বলিউডে কেটে গিয়েছে আড়াই দশকেরও বেশি সময়। তবে প্রতিভার তেমন কদর পাননি আরশাদ ওয়ারসি।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৩
বলিউডের ‘সার্কিট’কে বার বারই হোঁচট খেতে হয়েছে। এমনকি ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-র পর প্রায় আট মাস আরশাদের হাতে কোনও কাজ ছিল না। এমনটা হওয়ার কথা ছিল কি? বিশেষত, যখন আরশাদের ‘গডফাদার’-এর নাম অমিতাভ বচ্চন!
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৩
নিন্দকেরা বলেন, বলিউডে সফল হতে গেলে ‘গ়ডফাদার’ থাকাটা খুবই জরুরি। আর সেই ‘গডফাদার’-এর নাম যদি হয় অমিতাভ বচ্চন! তবে তো সোনায় সোহাগা। নিশ্চয়ই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যাবেন।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৩
তেমনটা অবশ্য আরশাদের ক্ষেত্রে ঘটেনি। বরং অনেকে বলেন, বলিউড তাঁকে যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেনি। যে কোনও চরিত্রে অনায়াসে মিশে যেতে পারলেও বলিউডের ইঁদুরদৌড়ে প্রথম সারিতে বসতে পারেননি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৩
অভিনেতা হিসাবে কেরিয়ারের শুরুতে অমিতাভই যে তাঁর ‘গডফাদার’ ছিলেন, সে কথা স্বীকার করেন খোদ আরশাদ। তা হলে কেন তেমন কদর পেলেন না? সে জন্য নিজের ‘গডফাদার’কেই প্রকারান্তরে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৩
প্রচলিত অর্থে নায়ক নন। খলনায়কও বলা যাবে না। বরং বলিউডি ছবিতে নায়ক বা খলনায়কের গতে বাঁধা ভাবমূর্তির বাইরে বেরিয়ে রক্তেমাংসের চরিত্র হয়ে উঠেছেন আরশাদ। সাদা-কালো নন, ধূসর পরিধিতে সব রঙের ঝলক দেখা যায়, এমন চরিত্রেই নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন ‘সার্কিট’।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৩
বলিউডের সেরা অভিনেতাদের তালিকায় আরশাদকে অনায়াসে রাখা যায়। এমনটাই মত অনেকের। যিনি ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর সার্কিট হতে পারেন। আবার ‘ইশ্কিয়া’-য় বব্বনের জুতোয় পা গলাতেও খামতি রাখেন না। কখনও বা ‘জলি এলএলবি’-তে বিচারব্যবস্থার ফাঁকফোকর নিয়ে ব্যঙ্গ করেন। সব অবতারেই আরশাদকে তাঁকে ভালবেসে ফেলেন দর্শকেরা। ‘কাবুল এক্সপ্রেস’, ‘জিলা গাজিয়াবাদ’ অথবা ‘গোলমাল’ সিরিজ— আরশাদের নানা অস্ত্রেই ঘায়েল তাঁরা।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৩
বলিউডে টিকে থাকতে গেলে কি প্রতিভাই যথেষ্ট? আরশাদের মতে, ‘‘দুঃখের কথা হল, আমাদের পেশায় অভিনয়ক্ষমতা থাকাটা সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়।’’
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৩
বলিউডে অবশ্য অভিনেতা হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেননি আরশাদ। সহ-পরিচালক এবং কোরিয়োগ্রাফার হিসাবেই কাজ শুরু করতেন তিনি। অনিল কপূর-শ্রীদেবীর ‘রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা’-র কোরিয়োগ্রাফি করার সময় জয়া বচ্চনের নজরে পড়ে যান।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৩
জয়ার সুপারিশে বলিউডে অভিনেতা হিসাবে আরশাদের প্রথম ছবি ‘তেরে মেরে সপনে’। প্রযোজক অমিতাভ বচ্চন। সে ছবির বক্স অফিসও মন্দ নয়। প্রথম ছবিতেই চোখে পড়েছিলেন আরশাদ। তবে তার পর বেশ কয়েক মাস কোনও কাজ পাননি।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৩
আরশাদ বলেন, ‘‘ওই সময় (মুন্নাভাই)-এর পর কোনও ছবির অফার পাচ্ছিলাম না। ভাবতাম, লোকজন কি আমার কাজ পছন্দ করেননি? হাতে একটাও ছবি নেই কেন? ‘মুন্নাভাই... ’-এর পরিচালক রাজু হিরানিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমার অভিনয় কি ভাল হয়নি? রাজু বলেছিলেন, ‘দুর্দান্ত কাজ হয়েছে!’ তা হলেও কাজ পাচ্ছিলাম না কেন?’’
তা হলে প্রচলিত অর্থে সফল নন কেন? আরশাদ বলেন, ‘‘অমিতাভের সংস্থা এবিসিএল-এর ব্যানারে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। অমিতাভ বা প্রথম পরিচালক জয় অগাস্টিন আমাকে এই পেশায় এনেছেন। তবে প্রথম ছবির পর আমার হাত ছেড়ে দেন তাঁরা। আমাকে ছেড়ে চলে যান। ফলে জানি না, ওঁদের কী বলব। গডফাদার না অন্য কিছু। সত্যিই জানি না!’’