পর্ন ছবির দুনিয়া কেমন? নীল ছবির জগতের নানা দিক তুলে ধরে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন সমান্থা বেন্টলি নামে এক পর্ন তারকা। ক্যামেরার সামনে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার কাজ যে কতটা কঠিন, সেই কথা তুলে ধরেছেন নীল ছবির দুনিয়ার ওই শিল্পী। এমনকি ঋতুস্রাবের মধ্যেও শুটিং করতে হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। যা অত্যন্ত কষ্টকর বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
সামান্থার কথায়, ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড়। প্রচুর নতুন মুখের ভিড় বাড়ছে। ফলে প্রতিযোগিতাও আছে। দর্শকরা রোজ রোজ নতুন জিনিস দেখতে চান। যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন এবং সঠিক ভাবে এই পেশায় কাজ করেন, তা হলে অনেক টাকা রোজগার করতে পারেন। মোদ্দা কথা হল, আর চার-পাঁচটা পেশার মতোই এখানে প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে, ভাল উপার্জন করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। নীল ছবির কাজ বলে সহজে কিছু হয় না।
কিন্তু নীল ছবির দুনিয়ায় যদি আপনি নিজের একটা জায়গা করতে পারেন, তা হলে আপনি অপছন্দের ব্যক্তির সঙ্গে যৌনতার দৃশ্য করতে আপত্তি জানাতে পারবেন। সেই জায়গাটা যত দিন না তৈরি করতে পারেন কোনও পর্নশিল্পী, তত দিন তাঁর পছন্দ-অপছন্দকে পাত্তা দেন না নির্মাতারা। যাঁকে পছন্দ করেন না, তাঁর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া সত্যিই কঠিন কাজ।
সমান্থার কথায়, নিয়মিত এত পরীক্ষা করানো হয় যে, যার ফলে পর্নশিল্পীদের যৌনরোগের ঝুঁকি কম থাকে। এমনকি, নীল ছবির সঙ্গে যুক্ত কোনও শিল্পী যদি বাইরের কারও সঙ্গে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হন এবং সেখান থেকে এসটিডিতে আক্রান্ত হন, তা হলেও পরীক্ষার পর রোগ সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। ফলে নীল ছবির দুনিয়ায় সহজেই বাসা বাঁধতে পারে না যৌনরোগ।
অনেকেই ভাবেন, পর্ন ছবির শুটিং উত্তেজনায় ভরপুর থাকে। কিন্তু আদতে তেমনটা হয় না। শুটিংয়ের সেটও অত চিত্তাকর্ষক হয় না। পর্নশিল্পীরা কেউই অপ্সরা নন। অনেক সময়ই রূপটান না করেই ঘুরে বেড়ান সেটে। তাঁরাও মশলা দেওয়া খাবার খান। তাঁদের চোখেমুখেও ক্লান্তির ছাপ থাকে। শুটিঙের মাঝে প্রিয় জনের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। অধিকাংশ যৌনদৃশ্যেরই কোরিওগ্রাফ করা হয়। এক কথায়, নীল ছবির শুটিং আর চার-পাঁচটা ছবির শুটিঙের মতোই হয়। আলাদা করে কোনও উত্তেজনা থাকে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy