কংগ্রেস নেত্রী তথা ববির মা রাজেশ্বরী দাবি করেছিলেন, মৃত্যুর আগের সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন ববি। রাতে ফিরেছিলেন। তার পর তাঁর পেটে ব্যথা হয়। রক্তবমি করেন। মৃত্যু হয় ববির। রাজেশ্বরী এ-ও দাবি করেন, মৃত্যুর দিন কয়েক আগে রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ববি। পুলিশ যখন কংগ্রেস নেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালান, তখন ববির খুব বেশি জিনিস মেলেনি। একটি সূত্রের দাবি, সেই নিয়ে খটকা লেগেছিল পুলিশের।
পটনার উচ্চ মহলে ছোট থেকেই যাতায়াত ছিল ববির। কলেজ ভর্তি হলেও পাশ করতে পারেননি। দু’বার বিয়ে হয়েছিল। দু’বারই ভেঙে গিয়েছিল। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে দুই সন্তানও ছিল তাঁর। ১৯৭৮ সালে বিহার বিধানসভায় টেলিফোন অপারেটর হিসাবে যোগ দেন। অভিযোগ, তাঁকে নিয়োগ করার জন্য বিশেষ পদ তৈরি করা হয়েছিল। পরে তিনি টাইপিস্ট পদে যোগ দেন।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল এক মন্ত্রী, কয়েক জন বিধায়ক এবং বিধানসভার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ববি। তাঁর মৃত্যুর তদন্তে নামা বিভিন্ন মহল থেকে বাধা পেয়েছিল পুলিশ। বিরোধী নেতা কারপুরি ঠাকুর সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, ববি ‘খুন’-এ অভিযুক্তেরা রয়েছেন মন্ত্রিসভায়। সে কারণেই ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল সেই খুন।
পুলিশের সিনিয়র সুপার কিশোর কুণাল তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত যে, খুন হয়েছেন ববি।’’ তার পরেও সেই তদন্ত আর এগোয়নি। এক পুলিশ আধিকারিক দাবি করেছিলেন, এই খুনের তদন্তের অগ্রগতি হয়নি কারণ সেখানে জড়িয়ে ছিলেন প্রভাবশালী কিছু রাজনীতিক, মন্ত্রী। কেন ওই চরম পরিণতি হয়েছিল, তা-ও জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy