রাগে গ্লাস ছুড়ে মারেন, সেই প্রিয় বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া করেন, পরে তাঁকে বিয়েও করেন রবীনা টন্ডন

মাত্র ২১ বছর বয়সে দুই কন্যাকে দত্তক নেন রবীনা। অক্ষয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা করতেও শুরু করেন। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে আলাপ গাঢ় হয়ে উঠেছিল অনিল থাডানির।

বলিপাড়ার নামকরা প্রযোজক রমু এন সিপ্পির কন্যা নাতাশা সিপ্পি। রবীনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন নাতাশা। তাঁর স্বামী ছিলেন অনিল। প্রিয় বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল রবীনার।

অনিল পেশায় ‘ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর’। ২০০৩ সালে ছবির প্রযোজনার সূত্রে রবীনার সঙ্গে অনিলের সাক্ষাৎ আরও বাড়তে থাকে। কানাঘুষো শোনা যায় যে, অনিল এবং নাতাশার বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। নাতাশার সঙ্গে অনিলের দূরত্ব ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল। অন্য দিকে, রবীনার সঙ্গে প্রেম দানা বাঁধছিল তাঁর।

সম্পর্কের বোঝা টানতে না পেরে নাতাশাকে বিচ্ছেদ দিয়েছিলেন অনিল। বিবাহবিচ্ছেদের পর রবীনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে রবীনার জন্মদিনেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অনিল। মনের মানুষের সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে রাজি হয়েছিলেন রবীনাও।

২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে বাগ্‌দান পর্ব সেরে ফেলেন অনিল এবং রবীনা। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্থানের উদয়পুর প্যালেসে ঘটা করে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর নাকি নাতাশার সঙ্গে দেখা হতেই তাঁর দিকে গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন নায়িকা।

বলিপাড়ার প্রযোজক রীতেশ সিধওয়ানির বাড়িতে নতুন বছর উদ্‌যাপনের পার্টি ছিল। সেই পার্টিতে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রবীনা এবং অনিল। পার্টিতে গিয়েছিলেন নাতাশাও। রবীনার দাবি, সেখানে গিয়ে অনিলের সমালোচনা করছিলেন নাতাশা। তা সহ্য করতে না পেরে তাঁর দিকে ফলের রসভর্তি গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন নায়িকা।

ভরা পার্টিতে প্রিয় বান্ধবীকে আঘাত করেছিলেন বলে অবশ্য কোনও অপরাধবোধ ছিল না রবীনার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “ভগবান এবং বাবার পর অনিলই আমার কাছে সেরা পুরুষ। ওর মতো পবিত্র মানুষ হয় না। ওকে অপমান করার অর্থ আমায় অপমান করা। ওকে নিয়ে কোনও খারাপ কথা আমি সহ্য করব না। যা করেছি বেশ করেছি।’’

অন্য দিকে নাতাশা বলেছিলেন, ‘‘আমি তো বুঝতেই পারিনি হঠাৎ কী হল। অনিল এবং রবীনা নিজেদের মতো ছিল। আমি নিজের মতো আনন্দ করছিলাম। হতে পারে, আমি ওঁর স্বামীর চেয়ে পাঁচ ফুট দূরে ছিলাম তা সহ্য করতে পারেনি রবীনা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এই কাজ করে ফেলেছে। হঠাৎ দেখলাম চিৎকার করে আমার দিকে ও গ্লাস ছুড়ে মারল। আমার আঙুল কেটে রক্তও বেরিয়ে গিয়েছিল।’’

সাময়িক বিরতির পর আবার বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেছিলেন রবীনা। ওটিটির পর্দায় ওয়েব সিরিজ়েও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি অভিনয়ে পা রেখেছেন রবীনার কন্যা রাশা থাডানি। চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আজ়াদ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করলেন তিনি।