বৃহস্পতিবার অবশ্য বিচারপতির এজলাসে কিছু আইনজীবী ছিলেন। তালিকা অনুযায়ী প্রায় ১১টি মামলা শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে বহু মামলারই আইনজীবী উপস্থিত হননি। ২৪ মিনিটে মোট ৫টি মামলার শুনানি হয়। এর মধ্যে দু’টি মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী। বাকি তিনটি মামলায় মামলাকারী নিজেই নিজের হয়ে বিচারপতির কাছে সওয়াল করেন।
পরে সাড়ে ১২টায় এজলাসে এসেই বিচারপতি জানান, তিনি আইনজীবীদের কাছে গিয়ে এজলাসে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করবেন। গত সোমবার বিচারপতির একটি নির্দেশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল আইনজীবীদের একাংশ। তাঁর এজলাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীদের সংগঠন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিক।
ঘড়ির কাটায় দুপুর দেড়টা। কলকাতা হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের ২ নম্বর কোর্টে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বার অ্যাসোসিয়েশনের ঘরে গিয়ে মাইকে বিচারপতি ঘোষণা করেন তাঁর বক্তব্য। তবে তার আগে আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁকে। হাই কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী অশোককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোলাকুলিও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি বলেন, ‘‘আমি অনুরোধ করছি কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে তা বাদ দিন। আমি আপনাদেরই লোক। আমি এই ‘বার’ থেকেই উঠে এসেছি। আপনাদের সঙ্গে কোনও খারাপ সম্পর্ক থাকতে পারে না। আইনজীবীদের প্রতি আমার সম্মান এবং ভালবাসা রয়েছে। যা হয়েছে তা কেউ খারাপ ভাবে নেবেন না। যা হয়েছে তা ভুলে গিয়ে আবার চলুন একসঙ্গে কাজ করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy