জিএসটি নিয়ে সরকারের করা পদক্ষেপ ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনুকূল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরাও। বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি করেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল ভারতে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। পাশাপাশি, ভোগ্যপণ্যের বিক্রিও এক ধাক্কায় অনেকটা বৃদ্ধি করা, যা ২০২৫ সালের বাজেটে আয়কর ছাড় ঘোষণা করা সত্ত্বেও হ্রাস পেয়েছে।
আবার জিএসটির হার কমিয়ে বুধবার রাতে সাধারণ মধ্যবিত্তের জন্য ‘আর্থিক ত্রাণ’ ঘোষণা করলেও উচ্ছ্বাসের উত্থান স্থায়ী হয়নি শেয়ার বাজারে। জিএসটি নিয়ে সরকারের ঘোষণার পর বাজারে উত্থান দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লগ্নির উৎসাহ মিলিয়ে যায়। শুক্রবারও দেখা যায়নি বড় পরিবর্তন। এর পরেই সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, এর কারণ কি শুধুই লগ্নিকারীদের হাতের শেয়ার বেচে মুনাফা তুলে নেওয়ার হিড়িক? না কি অন্য কিছুও রয়েছে?
বৃহস্পতিবার সেনসেক্স ১৫০.৩০ পয়েন্ট উঠে ৮০,৭১৮.০১ অঙ্কে থামে। শুক্রবার সকালের দিকে সূচক কিছুটা পড়েও যায়। এ দিন ডলারের নিরিখে রেকর্ড পতন হয় টাকার দামে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, জিএসটি-র হার কমার প্রত্যাশাতেই যেখানে সূচক ৪১০ পয়েন্ট উঠেছিল, সেখানে তা বাস্তবায়িত হওয়ার পরে বিক্রির চাপ ধরে রাখতে গিয়ে হিমসিম খেতে হল কেন!
পণ্যের উপর আলাদা আলাদা হারে জিএসটি চাপানোর পুরনো সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিদম্বরম জানিয়েছেন, বিগত ৮ বছর ধরে জিএসটি ব্যবস্থা এবং আলাদা আলাদা হার চাপানো নিয়ে আওয়াজ তোলা হয়েছে। কিন্তু সরকার পাত্তা দেয়নি। সরকার আট বছর পর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখেছে। আসন্ন বিহার নির্বাচন এবং সাধারণ মানুষের সঞ্চয় হ্রাস পাওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটিতে সংস্কার এনেছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy