সম্প্রতি সিয়াচেন থেকে ল্যান্সনায়েকের দেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন সেনা জওয়ানেরা। ১৯৮৪ সালের ২৯ মে ‘অপারেশন মেঘদূতের’ অঙ্গ হিসাবে সিয়াচেনে নিয়মমাফিক টহলদারি চালাচ্ছিলেন চন্দ্রশেখর। সে সময়ই এক তুষারঝড়ে চাপা পড়েছিলেন সেনাবাহিনীর ২০ জন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের দেহ উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই পাঁচ জনের মধ্যে ছিলেন ল্যান্সনায়েক চন্দ্রশেখরও।
সিয়াচেনে ওই অভিযানকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তকমা দেওয়া হয়। পাকিস্থানের সেনাবাহিনীর হাত থেকে হিমবাহের ‘পয়েন্ট ৫৯৬৫’ অঞ্চলকে উদ্ধার করাই ছিল ল্যান্সনায়েক চন্দ্রশেখরদের দায়িত্ব। ওই অভিযানে সাফল্যের জেরে শত্রুপক্ষের কবলে যেতে পারেনি সিয়াচেন। তবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধের ময়দান সিয়াচেন ভারত-পাক দু’দেশেরই বহু সেনারই প্রাণ কেড়েছে।
এত দিন ধরে কবিতারা এই আশায় বেঁচেছেন যে হয়তো তাঁদের বাবা বেঁচে রয়েছেন। হয়তো তাঁদের বাবাকে পাক সেনারা বন্দি করে রেখেছেন। হয়তো কোনও এক দিন তিনি ফিরে আসবেন। তবে উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি জেলায় সে খবর আর আসেনি। উল্টে এসেছে কফিনবন্দি দেহ। সেখানেই পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় ল্যান্সনায়েক চন্দ্রশেখরের অন্ত্যেষ্টি করা হয়েছে।
দিনের পর দিন কেটে গেলেও আশাহত হননি শান্তিদেবী। তিনি বলেন, ‘‘ভাবতাম, ওকে বোধ হয় পাক সেনারা বন্দি করে রেখেছেন। এমন নানা চিন্তাই আসত মনে।’’ তবে ১৩ অগস্ট ল্যান্সনায়েকের দেহ পাওয়ার খবর শুনে তাঁদের সমস্ত আশা শেষ হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শান্তিদেবীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy