পারস্পরিক শুল্কনীতি চালু করে বাণিজ্যযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই আগুনে হাত পোড়াতে নারাজ চিন। আর তাই শুল্কমুক্ত বাণিজ্যকেন্দ্র হিসাবে আস্ত একটা দ্বীপকে গড়ে তুলছে বেজিং। ড্রাগনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ চিন সাগরে গড়ে উঠবে দ্বিতীয় হংকং বা সিঙ্গাপুর, যা সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে আমেরিকার রফতানি বাণিজ্যকে। ফলে মান্দারিনভাষী প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের এই সিদ্ধান্তকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলেই মনে করছেন দুনিয়ার তাবড় কূটনীতিক এবং আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
দক্ষিণ চিন সাগরের ছোট্ট দ্বীপ হাইনান। এলাকাটা ড্রাগনভূমির অন্তর্ভুক্ত হলেও এর নিজস্ব আইন রয়েছে। সেখানেই প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে বেজিং। হংকং বা সিঙ্গাপুরের মতো ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যকেন্দ্র হিসাবে একে গড়ে তুলছে জিনপিং প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে চলছে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি শেষ হলে শুল্কমুক্ত একটি বাণিজ্যকেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে হাইনান।