Dev Anand’s brother had live-in relationship with Waheeda Rehman’s sister-in-law, ends in tragic death dgtl
Priya Rajvansh-Chetan Anand’s Love Affair
১৬ বছরের বড় বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে একত্রবাস, সম্পত্তির কারণে সেই পরিচালকের ছেলেদের হাতেই খুন হন বলি নায়িকা
বলিপাড়া সূত্রে খবর, দুই ছেলের পাশাপাশি প্রেমিকার নামেও সম্পত্তির ভাগ রেখেছিলেন পরিচালক। মুম্বইয়ের জুহুর সমুদ্রসৈকতের সামনে এক বিশাল বাংলো ছিল পরিচালকের। প্রেমিকার নামে সেই বাংলো লিখে দিয়েছিলেন তিনি।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
ডাকসাইটে সুন্দরী বলি অভিনেত্রীর স্বামীর বোন। চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে বিস্তর যোগাযোগ ছিল তাঁর। এক বলি নায়কের ভাইয়ের সঙ্গে কাজের সূত্রে আলাপ হওয়ার পর ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়ে গিয়েছিল সেই নায়িকার। বয়সে ১৬ বছরের বড় সেই পরিচালক ছিলেন বিবাহিত। তাঁর সঙ্গেই দীর্ঘ কাল একত্রবাস করেছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি, প্রেমিকের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তির ভাগও পেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই নাকি পরিচালকের পুত্রদের হাতে খুন হতে হয়েছিল বলি নায়িকা প্রিয়া রাজবংশকে।
০২১৬
১৯৩৬ সালে শিমলায় জন্ম প্রিয়ার। বলি অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমানের স্বামী কমলজিৎ সিংহ ছিলেন প্রিয়ার দাদা। শিমলায় বাবা-মা এবং দুই দাদার সঙ্গে থাকতেন প্রিয়া। স্কুলের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর সেখানকার কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি।
০৩১৬
কলেজে পড়ার সময় অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল প্রিয়ার। মঞ্চে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করতেন তিনি। প্রিয়ার বাবা বনবিভাগে কর্মরত ছিলেন। কাজের সূত্রে তিনি বিদেশে গেলে বাবার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিলেন প্রিয়াও। কলেজের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর অভিনয় শিখতে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন তিনি।
০৪১৬
২২ বছর বয়সে লন্ডনে গিয়ে নিজের বহু ছবি তুলিয়েছিলেন প্রিয়া। লন্ডনের আলোকচিত্রশিল্পীর তোলা সেই ছবিগুলি কোনও ভাবে বলিউডের ছবিনির্মাতা ঠাকুর রণবীর সিংহের হাতে পৌঁছে গিয়েছিল। তার পরেই প্রিয়ার কেরিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের ভাগ্যের চাকাও ঘুরে গিয়েছিল।
০৫১৬
বলি অভিনেতা দেব আনন্দের ভাই চেতন আনন্দ। হিন্দি ছবির পরিচালক ছিলেন তিনি। নিজের ছবির জন্য নতুন মুখের সন্ধানে ছিলেন চেতন। সেই খবর ছিল ঠাকুর রণবীর সিংহের কাছে। প্রিয়ার ছবি দেখার পর দেরি না করে চেতনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি।
০৬১৬
প্রিয়ার ছবি দেখে পছন্দ হয়েছিল চেতনের। বড় পর্দায় অভিনয়ের জন্য লন্ডন ছেড়ে মুম্বই যান প্রিয়া। ১৯৬২ সালে চেতনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দু’বছর পর ১৯৬৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে চেতনের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘হকিকত’। এই ছবির মাধ্যমেই বলিপাড়ায় হাতেখড়ি হয় প্রিয়ার।
০৭১৬
প্রিয়ার সঙ্গে চেতনের বয়সের পার্থক্য ছিল ১৬ বছরের। কিন্তু সেই তফাত কখনও তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তাঁরা।
০৮১৬
১৯৪৩ সালে উমা আনন্দ নামে এক সাংবাদিক-অভিনেত্রীকে বিয়ে করেছিলেন চেতন। দুই পুত্রসন্তান ছিল তাঁদের। কিন্তু উমার সঙ্গে ক্রমেই মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল চেতনের। আইনি বিচ্ছেদ না হলেও ছাদ আলাদা হয়ে গিয়েছিল তাঁদের।
০৯১৬
সংসার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর কাজ নিয়েই ডুবে থাকতেন চেতন। সেই সময় তাঁর জীবনে আসে প্রিয়া। পরিচালক এবং অভিনেত্রীর সম্পর্ক কম সময়ের মধ্যেই প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়ে যায়।
১০১৬
দু’দশকের ব্যবধানে মাত্র সাতটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন প্রিয়া। অধিকাংশ ছবিই চেতন দ্বারা পরিচালিত। কেরিয়ারের ঝুলিতে ‘হীর রাঞ্ঝা’, ‘হিন্দুস্তান কি কসম’, ‘সাহেব বাহাদুর’, ‘কুদরত’-এর মতো একাধিক ছবি রয়েছে।
১১১৬
১৯৮৬ সালে ‘হাতো কি লকীরে’ ছবিতে শেষ অভিনয় করেন প্রিয়া। তার পর অভিনয়জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন তিনি। চেতনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি বলে তাঁর একত্রবাসের দীর্ঘ সঙ্গিনী ছিলেন প্রিয়া।
১২১৬
বলিপাড়া সূত্রে খবর, দুই ছেলের পাশাপাশি প্রিয়ার নামেও সম্পত্তির ভাগ রেখেছিলেন চেতন। মুম্বইয়ের জুহুর সমুদ্রসৈকতের সামনে এক বিশাল বাংলো ছিল চেতনের। প্রিয়ার নামে সেই বাংলো লিখে দিয়েছিলেন তিনি।
১৩১৬
অভিনয় ছাড়ার পর ১০ বছর চেতনের সঙ্গেই থাকতেন প্রিয়া। মনের মানুষের সঙ্গে মনের মতো ‘সংসার’ পেতেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সুখ চিরস্থায়ী হয়নি। ১৯৯৭ সালে মারা যান চেতন।
১৪১৬
চেতনের বাংলোয় একাই থাকতে শুরু করেন প্রিয়া। কিন্তু ধীরে ধীরে মৃত্যুভয় জেগে উঠেছিল তাঁর মনে। প্রিয়ার ধারণা ছিল সম্পত্তির অধিকার ছিনিয়ে নিতে চেতনের দুই পুত্র তাঁর ভয়ানক ক্ষতি করে দিতে পারেন।
১৫১৬
চেতন তাঁর উইলে লিখে গিয়েছিলেন যে, প্রিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর অবর্তমানে জুহুর বাংলোর মালিকানা পাবেন তাঁর দুই পুত্র। কিন্তু সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল পরিচালকের দুই সন্তানের।
১৬১৬
২০০০ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। জুহুর সেই বাংলো থেকে প্রিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্ত থেকে জানা যায় যে, প্রিয়াকে খুন করা হয়েছে। খুনের অভিযোগে চেতনের দুই পুত্র এবং তাঁদের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০২ সালের নভেম্বর মাসে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তাঁরা।