অনেক বার নাকি বিশালাকার এই কুকুরের অবয়ব দেখতে পেয়েছেন পথযাত্রীরা। কেউ কেউ ‘চোখের ভুল’ বলে মনে করলেও অনেকে বিশ্বাস করেন সত্যিই এ রকম কোনও ভয়ঙ্কর জন্তু ঘোরাফেরা করে এ৯৩ সড়কে। মাঝেমধ্যে ঘোড়া এবং কুকুরগুলির অস্বাভাবিক আচরণ দেখে ঘাবড়ে যান তাঁরা। কিন্তু এমন আচরণ করার অন্য কোনও কারণ তাঁরা খুঁজে পাননি। তাই এর জন্য ওই ‘অবয়ব’কে দায়ী করেন এলাকার বাসিন্দারাও।
লোমশ এই কুকুরটি নাকি নরকের প্রবেশদ্বারের সামনে পাহারা দেয়। তীব্র গতিতে ছুটতে পারে সে। এই কুকুরের গায়ের জোরও প্রচুর। এ ছাড়াও নানা রকম অদ্ভুত এবং রহস্যজনক ক্ষমতার অধিকারী সে। ‘হেলহাউন্ড’ ছাড়াও বিভিন্ন নামে পরিচিত নরকের এই পাহারাদার। ‘ব্ল্যাক শাক’, ‘বার্ঘেস্ট’, ‘সারবেরাস’ প্রভৃতি নামে ডাকা হয় এই কুকুরকে।
১৫৭৭ সালের ঘটনা। ব্লেয়ারগোরি থেকে সামান্য দূরে বানগে এলাকায় একটি গির্জার দৃশ্য। সময় সকাল ৯টা কি ১০টা। হঠাৎ গির্জার চারদিক নাকি অন্ধকারে ঢেকে যায়। ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। গির্জার দেওয়ালগুলিও কাঁপতে থাকে। গির্জার ভিতরে যাঁরা ছিলেন তাঁরা দেখলেন যে চোখের সামনে এক দানবাকার কুকুর দাঁড়িয়ে রয়েছে। কুকুরটির সারা গায়ে আগুন জ্বলছে।
কয়েক বছর আগে বর্ষবরণের দিন এক চিত্রগ্রাহক ব্লেয়ারগোরি এলাকায় গিয়েছিলেন। সেই সময় এক অদ্ভুত জন্তু দেখে তার ছবি তোলেন তিনি। দূর থেকে একঝলক দেখলে মনে হয় যে, এই জন্তু কোনও বুনো শুয়োর। কিন্তু অনেকের দাবি, এটি কোনও শুয়োর নয়। এমন লোমশ, বিশাল চেহারা কোনও শুয়োরের হতে পারে না। ছবিতে ওই ‘হেলহাউন্ড’ই ফুটে উঠেছে বলে অনেকের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy