২০০১ সালে বক্স অফিসের প্রায় সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল আশুতোষ গোয়া়রিকরের ‘লগান’। সে ছবির পটভূমিকা ছিল, পরাধীন ভারতের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দাদের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনি। কর মাফ করানোর জন্য যাঁরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে টানটান ক্রিকেট ম্যাচে জয়ী হয়েছিলেন। ‘লগান’-এর গল্পে ছিল ভুবন-গৌরীর রোম্যান্সের ফোড়নও। ভুবনের চরিত্রে আমির খানের আগে হৃতিকই পছন্দ ছিল আশুতোষের।
২০০২ সালে অস্কারের দৌড়ে পৌঁছে গিয়েছিল ‘লগান’। সেরা বিদেশি ছবি বিভাগে মনোনীতও হয়েছিল। যদিও শেষমেশ শিকে ছেঁড়েনি। তবে বক্স অফিসের সাফল্যে আমিরের কেরিয়ার অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল। তা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন হৃতিক। শোনা যায়, ‘লগান’-এর চিত্রনাট্যে বিশেষ আস্থা রাখতে পারেননি বলেই নাকি সে আশুতোষকে ‘না’ বলে দেন হৃতিক। কে জানে, পরে নিশ্চয়ই হাত কামড়েছিলেন তিনি!
বলিউডের পরিচালকদের মধ্যে আশুতোষ তাঁর অন্যতম প্রিয়। সংবাদমাধ্যমে বহু বার এ দাবি করেছেন হৃতিক। তবু ‘লগান’-এর পর আবারও তাঁর ছবির অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এ বার ‘স্বদেশ’। যে ছবির মুখ্য চরিত্রে শাহরুখ খানকে দেখা গিয়েছিল। নাসা-ফেরত মোহন ভার্গবের চরিত্রের জন্য নিজের সুপারস্টার ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলেছিলেন শাহরুখ।
দেশীয় বক্স অফিসে তেমন সাফল্য না পেলেও ২০০৪ সালে বিদেশের মাটিতে তুমুল মুনাফা লুটেছিল ‘স্বদেশ’। শাহরুখের কেরিয়ারেও অন্য হাওয়া বইয়ে দিয়েছিল তা। তবে তা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন হৃতিক। ‘স্বদেশ’ ফিরিয়ে দেওয়ার পিছনে তাঁর যুক্তি ছিল, ‘‘চিত্রনাট্য পড়ার পর আশুতোষের দৃষ্টিকোণ বুঝতে পারিনি। সুতরাং মনে হয় না যে ‘স্বদেশ’ করার জন্য আমিই উপযুক্ত ব্যক্তি ছিলাম।’’ যদিও ‘স্বদেশ’ যে তাঁর খুবই পছন্দের ছবি, তা জানিয়েছিলেন হৃতিক।
বক্স অফিসে তো বটেই, সমালোচকদেরও তারিফ কুড়িয়ে নিয়েছিল ‘দিল চাহতা হ্যায়’। গাছের ডালের আড়ালে নায়ক-নায়িকার রোম্যান্স নয়। বরং মাটির কাছাকাছি থাকা চরিত্রদের টেনে এনেছিল এ ছবি। অক্ষয়কে সিডের ভূমিকায় দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকে। সে সময় সইফের প্রায় ডুবন্ত কেরিয়ারকেও বাঁচিয়ে দিয়েছিল এ ছবি। তবে আগেই তো ‘না’ বলে দিয়েছেন। ফলে কোনও ফায়দাই জোটেনি হৃতিকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy