গত বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভাল খেলেছে ভারত। অক্টোবরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জেতা ছাড়াও কমনওয়েলথ গেমসে রুপো ছিনিয়ে নিয়েছেন স্মৃতিরা। ’২২-এ স্মৃতির ঝুলিতে রয়েছে ৫টি অর্ধ শতক। তার মধ্যে একটি এসেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে। সেখানে মাত্র ২৫ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন স্মৃতি। বার্মিংহ্যামে কমনওয়েলথ গেমসেও পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২টো অর্ধশতরান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। সব মিলিয়ে গত বছর এই ফরম্যাটে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান ছিল স্মৃতির।
’২২-এ মোটে ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ২৯ বছরের ওপেনার বেথ মুনি। আইসিসির সেরা একাদশে স্মৃতির সঙ্গে তিনিই ওপেন করেছেন। কারণ, ১৩৪.৫৩ স্ট্রাইক রেটে ওই ক’টি ম্যাচেই তাঁর ব্যাট থেকে ৪৩৪ রান বেরিয়েছে। গড় ৫৬.১২। কমনওয়েলথ গেমসের ফাইনালে ৪১ বলে ৬১ রান করে ভারতের সোনার স্বপ্নভঙ্গ করার পিছনে মুনিই দায়ী।
গত বছর কমনওয়েলথ গেমসে টানা দু’টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছিলেন ৩৩ বছরের এই অলরাউন্ডার। ওই প্রতিযোগিতায় রানশিকারি হিসাবে মুনির পরেই নাম ছিল সোফির। সঙ্গে ৬টি উইকেটও যোগ করুন। কিউইদের হয়ে ’২২-এর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও ছিলেন তিনিই। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ১১০ উইকেটের পাশাপাশি প্রায় ৩ হাজার রান রয়েছে সোফির।
মহিলা টি-টোয়েন্টিতে ২০১৯ সালে অ্যালিসা হিলি এবং তার আগের বছর র্যাচেল হেইন্সের পারফরম্যান্সের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসাবে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে ২০০ রানের বেশি করেছেন অ্যাশ। ৫০-র উপরে গড়। স্ট্রাইক রেটও ছিল ১৫০-র উপরে। গত বছর মোটে ৭ বার ব্যাট করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে ৩২ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসও রয়েছে। দলের ৩ উইকেটে ৫৫ রানের ব্যাট করতে এসে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৬ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান অ্যাশ।
গত বছরের এশিয়া কাপে ব্যাটে-বলে ভারতের হয়ে চমক দিয়েছিলেন বাংলার দীপ্তি শর্মা। স্মৃতির মতোই এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন তিনি। তাঁর শিকার হয়েছিলেন ২৯ জন ব্যাটার। এর পর মহিলাদের টি-টোয়েন্টিতে যুগ্ম তৃতীয় উইকেট শিকারি হিসাবে উঠে আসেন ২৫ বছরের এই অলরাউন্ডার। গড় ছিল ১৮.৫৫। ইকোনমি রেটও সন্তোষজনক। মোটে ৬ রানের উপরে।
গত বছর দু’বার ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন ২৩ বছরের সোফি। প্রথম বার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ডার্বি ম্যাচে এবং তার পরের বার ভারতের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১২ বলে অপরাজিত ৩৩ করেছিলেন সোফি। ওই ম্যাচে ২ উইকেটও তুলে নেন। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে ২৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লোয়ার মিডল অর্ডারকে ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছিলেন সোফি।
আইসিসির বিচারে গত বছরের সেরা উঠতি ক্রিকেটারের সম্মানও জুটেছে রেণুকার। বছরভর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭টি টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেট নিয়েছেন। সঙ্গে যোগ করুন কমনওয়েলথ গেমস এবং এশিয়া কাপে তাঁর পারফরম্যান্স। ১১ ম্যাচে ৫.২১ ইকোনমি রেট নিয়ে ১৭টি উইকেট। তবে গত বছর তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল এশিয়া কাপে অজ়িদের বিরুদ্ধে। ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তাতে ছিল ১৬টি ডট বল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy