India Pakistan war may begin once again, Indus Water Treaty will be the flashpoint dgtl
India Pakistan Conflict
৪৮ ঘণ্টায় চার বার সরাসরি হুমকি! সিন্ধুর জল নিয়ে সুর সপ্তমে চড়তেই ‘ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস’, আরও এক বার ভারত-পাক যুদ্ধ?
সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত রণ-হুঙ্কার দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। আমেরিকার উস্কানিতে ফের এক বার সংঘর্ষবিরতি ভেঙে যুদ্ধে জড়াবে ইসলামাবাদ? উঠছে প্রশ্ন।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৩১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
৪৮ ঘণ্টায় চার বার! সিন্ধু জল চুক্তিকে সামনে রেখে ভারতকে ক্রমাগত পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে কখনও বিষ ঝরাচ্ছেন ইসলামাবাদের ‘সিপাহ্সালার’। কখনও আবার হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যাচ্ছে খোদ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে। এই আবহে স্বাভাবিক ভাবেই উঠতে শুরু করেছে কয়েকটি প্রশ্ন। তবে কি ফের মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়াবে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী? আর সেই আগুনে ঘি ঢালবে আমেরিকা? বিপদের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক থেকে সাবেক সেনাকর্তারা।
০২২০
কূটনীতিকদের একাংশ মনে করেন, নতুন করে ভারত-পাক যুদ্ধ বাধুক, তা মনেপ্রাণে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জন্যেই লাগাতার ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর প্রশ্রয়েই গলা তুলতে সাহস পেয়েছেন ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শরিফ বা অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব। শুধু তা-ই নয়, আগামী দিনে অনুদানের নামে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের হাতে মোটা টাকা তুলে দিতে পারে তাঁর প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র অনায়াসেই কিনতে পারবে পাক সেনা।
০৩২০
সম্প্রতি, ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারি রয়েছে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।’’ তাঁর এই বিবৃতিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের অনুমান, আগামী দিনে জঙ্গি দমনের নামে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের ভরে ভরে টাকা দেবে ট্রাম্প সরকার।
০৪২০
চলতি বছরের মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে কেন্দ্র করে চলা ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’ থামাতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের বক্তব্য, যুযুধান দুই দেশের মধ্যে পরমাণু সংঘাত আটকেছেন তিনি। যদিও এই ‘মিথ্যাচার’ মানেনি নয়াদিল্লি। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের কথায় ইসলামাবাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বন্ধ করা হয়নি।’’ এতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন আমেরিকার বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট।
০৫২০
বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এই ‘অপমান’-এর প্রতিশোধ নিতে ফের এক বার ভারত-পাক যুদ্ধ বাধাতে চাইছেন ট্রাম্প। সেখানে ইসলামাবাদকে বিজয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। শুধু তা-ই নয়, এর জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ককে সামনে রেখে নয়াদিল্লিকে ব্ল্যাকমেল পর্যন্ত করতে পারেন তিনি। সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংগঠনটির দেওয়া ২,৮০০ কোটি ডলারের অর্থানুকূল্যে চলছে এ দেশের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এক ইশারায় যা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
০৬২০
বিশ্ব ব্যাঙ্কের ১৫.২৯ শতাংশ শেয়ার আছে আমেরিকার হাতে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তির মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করেছে এই সংস্থা। পহেলগাঁও হামলার পর ওই সমঝোতা স্থগিত করে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের খোলা সমর্থন পাবে বলে আশাবাদী ইসলামাবাদ। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, এই রাস্তায় সিন্ধুর জল পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটিতে দিতে বাধ্য করে এককালের ‘বন্ধু’ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চরম শিক্ষা দিতে চাইছেন ট্রাম্প।
০৭২০
ভারতের উপরে ট্রাম্পের ক্ষোভের আরও একটি কারণ রয়েছে। নিজের শর্তে নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, তাতেও বাধ সাধে কেন্দ্র। কৃষি ও দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য এ দেশের বাজারে ঢোকার ইচ্ছে ছিল ট্রাম্পের। এই দুই ক্ষেত্রে মার্কিন পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ‘‘কৃষক, দুগ্ধশিল্প এবং মাছশিকারের সঙ্গে জড়িতদের স্বার্থ সবার আগে রক্ষা করবে সরকার।’’
০৮২০
কূটনীতিকদের দাবি, ভারত এবং পাকিস্তানকে যুদ্ধের উস্কানি দিতেই নয়াদিল্লির পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক রাশিয়ার থেকে সস্তা দরে খনিজ তেল আমদানি করছে কেন্দ্র। আমেরিকার অভিযোগ, এর জন্য পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ চালানোর যাবতীয় অর্থ পেয়ে যাচ্ছে মস্কো। এর জন্য গত জুলাইয়ে এ দেশের পণ্যে অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ কর নেবে ওয়াশিংটন। অন্য দিকে, পাক সামগ্রীতে ১৯ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
০৯২০
গত জুলাইয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সেরে ফেলেন ট্রাম্প। এর পরই নিজের সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানে বিশাল খনিজ তেলের ভান্ডার রয়েছে। সেখানে বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ভবিষ্যতে হয়তো পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটি থেকেই ‘তরল সোনা’ কিনবে নয়াদিল্লি।’’ তাঁর এই মন্তব্যকেও কূটনীতিকদের একাংশ উস্কানি বলেই মনে করছেন।
১০২০
কুর্সিতে বসেই ভারতের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে ইচ্ছুক ছিলেন ট্রাম্প। হাতিয়ারের ব্যাপারে রাশিয়ার বদলে নয়াদিল্লি আমেরিকার উপরে নির্ভরশীলতা বাড়াক, বরাবরই এটা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু, বাস্তবে তা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’ যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে কোনও আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি। পাশাপাশি, ওয়াশিংটন শুল্ক চাপানো সত্ত্বেও মস্কোর থেকে খনিজ তেলের আমদানি হ্রাস বা বন্ধ করেনি কেন্দ্রের মোদী সরকার।
১১২০
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের অধিকাংশই মনে করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরবর্তী যুদ্ধের ‘ফ্ল্যাশপয়েন্ট’ হতে যাচ্ছে সিন্ধু জল চুক্তি। নয়াদিল্লি এই সমঝোতা স্থগিত রাখায় সম্প্রতি মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে বড় হুমকি দেন ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ফ্লরিডায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘ওরা (পড়ুন ভারত) বাঁধ তৈরি করুক, আমরা অপেক্ষা করব। যখন বাঁধের কাজ শেষ হয়ে যাবে, তখনই ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সেটা ধ্বংস করে দেব। সিন্ধু নদী ওদের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আর আমাদের কাছেও ক্ষেপণাস্ত্রের কোনও অভাব নেই।’’
১২২০
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল দ্বিজাতি তত্ত্বের উল্লেখ করে ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন ফিল্ড মার্শাল মুনির। তাঁর ওই ভাষণের মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকার পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান পর্যটক-সহ মোট ২৬ জন। ফলে ইসলামাবাদের ‘সিপাহ্সালার’-এর রণহুঙ্কারকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না সাবেক সেনাকর্তারা। উল্টে কেন্দ্রকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। ওই সন্ত্রাসী আক্রমণের পরেই ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে মোদী সরকার।
১৩২০
ফিল্ড মার্শাল মুনিরের পাশাপাশি সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং সাবেক বিদেশমন্ত্রী তথা ‘পাকিস্তান পিপল্স পার্টি’ বা পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি। গত ১৩ অগস্ট ইসলামাবাদের একটি অনুষ্ঠানে শরিফ বলেন, ‘‘শত্রু দেশকে একটাই কথা বলতে চাই যে আমাদের জল আটকে রাখলেও পাকিস্তানের এক বিন্দুও তোমরা ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তোমাদের এমন শিক্ষা দেব যে নিজেদের কান নিজেরা ধরতে বাধ্য হবে।’’
১৪২০
এই ইস্যুতে আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিলাবল। ১২ অগস্ট একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধে (নরেন্দ্র) মোদীকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা পাকিস্তানিদের রয়েছে। নয়াদিল্লির সঙ্গে আর এক দফা লড়াই হলে সিন্ধু এবং তার পাঁচটি উপনদীরই দখল নেবে ইসলামাবাদ।’’ আমেরিকার মাটি থেকে অবশ্য ভারতের আর্থিক ক্ষতি করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ফিল্ড মার্শাল মুনির।
১৫২০
ফ্লরিডার অনুষ্ঠানে পাক সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘ভারত হাইওয়ের উপর দিয়ে আসতে থাকা ঝাঁ-চকচকে একটা মার্সেডিজ়, ঠিক ফেরারির মতো। কিন্তু আমরা নুড়িভর্তি ট্রাক। গাড়িটাকে যদি ট্রাক ধাক্কা দেয়, পরাজয় কার হবে?’’ এ ছাড়া এ দেশের ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর নাম করেও হুমকি দেন ফিল্ড মার্শাল মুনির। বিশ্লেষকদের দাবি, আগামী দিনে বাঁধ দিয়ে বা খাল কেটে নয়াদিল্লি সিন্ধুর জল যাওয়া বন্ধ করলে, পাকিস্তানে তীব্র হবে জলসঙ্কট। ফলে দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর যুদ্ধে জড়ানোর প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
১৬২০
১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট তথা ফিল্ড মার্শাল আয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু নদীর জল বণ্টন নিয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, পূর্ব দিকের তিনটি নদী, অর্থাৎ বিপাশা, ইরাবতী ও শতদ্রুর উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের। অন্য দিকে পশ্চিম দিকের সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার জল ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান। জলের নিরিখে সিন্ধু এবং তার শাখা ও উপনদী মিলিয়ে ৩০ শতাংশ ভারত ও ৭০ শতাংশ পাবে পাকিস্তান।
১৭২০
পশ্চিম দিকের তিনটি নদী, অর্থাৎ সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার জল নয়াদিল্লি যে একেবারেই ব্যবহার করতে পারবে না, এমনটা নয়। চুক্তিতে বলা হয়েছে এই তিনটি নদীর জল স্থানীয় ভাবে সেচের কাজে ব্যবহার করতে পারবে ভারত। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন, নৌ চলাচল ও মাছচাষের জন্য ভারতের এই তিনটি নদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।
১৮২০
আর তাই সংশ্লিষ্ট চুক্তিটি নয়াদিল্লি স্থগিত করতেই ইসলামাবাদের বেড়েছে রক্তচাপ। সূত্রের খবর, সিন্ধু অববাহিকার সংযোগকারী নদীগুলিতে সেচখাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। তার জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমীক্ষা। প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাধ্যমে সিন্ধুর বাঁ দিকের উপনদী চন্দ্রভাগার জল পাক পঞ্জাব প্রদেশে যাওয়া বন্ধ করতে চাইছে মোদী সরকার।
১৯২০
এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই পাক সেনায় ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ নামের একটি নতুন বাহিনী তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ়। দেশের সামরিক শক্তির অগ্রগতির ক্ষেত্রে একে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সাবেক সেনাকর্তাদের অনেকেই এই ঘটনাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে দেখছেন। ফলে পাল্টা ঘর গোছানোর কাজও শুরু করে দিয়েছে ভারত।
২০২০
১৪ অগস্ট এই ব্যাপারে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের দুঃসাহসিক যে কোনও পদক্ষেপের পরিণতি কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।’’ কিছু দিন আগেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, ‘‘পরবর্তী যুদ্ধ খুব শীঘ্রই হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে।’’