মাথার উপর রাশিয়া, পায়ের তলায় চিন, দক্ষিণ-পূর্বে গোবি মরুভূমি আর পশ্চিমে আলতাই পর্বতমালা। বেজিঙের পিঠে কুঁজের মতো স্থলবেষ্টিত দেশটিতে ধীরে ধীরে পা জমাচ্ছে ভারত। সেই লক্ষ্যে ওই এলাকার সীমান্তরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। পরিকল্পনা রয়েছে সেখানকার খনিজ সম্পদকে এ দেশে নিয়ে আসার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৌশলগত এই পদক্ষেপকে তাই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হিসাবে গণ্য করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ।
নয়াদিল্লির বিদেশনীতিতে গুরুত্ব পাওয়া দেশটি হল মঙ্গোলিয়া। একে মস্কো ও বেজিঙের মাঝে একটি ‘বাফার’ রাষ্ট্র বললে অত্যুক্তি হবে না। একসময় সেখানকার রাজা চেঙ্গিজ় খানের আতঙ্কে কাঁপত গোটা দুনিয়া। পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরের তীর পর্যন্ত এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন তিনি। এর আওতায় ছিল মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপের কিছু অংশ এবং প্রায় গোটা চিন। এ-হেন মঙ্গোলদের ভারতের কাছে সীমান্তরক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে চাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ।