Do you know about Darvaza gas crater, Door to Hell of Turkmenistan dgtl
gateway of hell
অর্ধ শতক ধরে নাগাড়ে জ্বলে চলেছে এই নরকের দ্বার
নরক। ‘পাপ’ করলে নাকি সেখানে যাওয়া ছাড়া মুক্তি নেই। পৃথিবীর নানা সংস্কৃতিতে নরক নিয়ে রয়েছে নানা মত। কারও মতে ‘নরকের দ্বার’ রয়েছে এই পৃথিবীতেই। সেখানে নাকি সব সময় আগুন জ্বলে। সত্যিই কি এমন কোনও জায়গা রয়েছে?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৪০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
নরক। ‘পাপ’ করলে নাকি সেখানে যাওয়া ছাড়া মুক্তি নেই। পৃথিবীর নানা সংস্কৃতিতে নরক নিয়ে রয়েছে নানা মত। কারও মতে ‘নরকের দ্বার’ রয়েছে এই পৃথিবীতেই। সেখানে নাকি সব সময় আগুন জ্বলে। সত্যিই কি এমন কোনও জায়গা রয়েছে?
০২১৪
তুর্কমেনিস্তান। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশে নাকি রয়েছে এক ‘নরকের দ্বার’।
০৩১৪
যেখানে রয়েছে এক বিশাল গর্ত আর যার মুখ থেকে সব সময়ই আগুন জ্বলে। বিষয়টা ঠিক কী?
০৪১৪
সুন্নি অধ্যুষিত এই দেশের রাজধানী আশগাবাদ। প্রতিবেশী দেশ ইরান, কাজাখস্তান।
০৫১৪
আশগাবাদ থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে এই ‘নরকের দ্বার’! ধূ ধূ মরুভূমির মাঝে ২০ মিটার গভীর একটা রহস্যময় গর্ত। প্রায় ৫০ বছর একটানা আগুন জ্বলছে সেখানে।
০৬১৪
তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ এই দেশ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে থাকাকালীন ১৯৭১ সালে ভূতত্ত্ববিদরা এখানে গ্যাস নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। কিন্তু সাফল্য আসেনি। এই খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সেখানে তৈরি হয় বিশাল এক ক্রেটার বা গর্ত।
০৭১৪
সেই গর্ত থেকে যাতে কোনও ভাবে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসতে না পারে, সেই জন্য ওই গর্তে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এর পর।
০৮১৪
কিন্তু সেই আগুন আর নেভেনি। স্থানীয় ভাষায় এই ক্রেটারকে বলা হয়, নরকের দ্বার বা গেট অব হেল। জন ব্র্যাডলি নামে মার্কিন আলোকচিত্রীর কারণেই এই জায়গার ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
০৯১৪
কেন অবিরত জ্বলছে এই ক্রেটার? বিজ্ঞানীরা এখনও এর স্বতঃসিদ্ধ ব্যাখ্যা না দিতে পারলেও বেশির ভাগের মতে, সালফার, মিথেন-সহ বেশ কিছু গ্যাসের কারণেই এই আগুন। গর্তের মুখ থেকে সব সময়ই সালফারের গন্ধ নির্গত হয়।
১০১৪
সন্ধে নামতেই অনেক দূর থেকেও এই আগুনের লেলিহান শিখা চোখে পড়ে। উপগ্রহতেও ধরা পড়েছে সেই ছবি।
১১১৪
২০১০ সালে তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রপতি গুরবানগুলি বের্ডিমুহামেডো এটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধি করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
১২১৪
কিন্তু নরকের দ্বার দেখতে পর্যটকদের প্রবল উত্সাহে সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয় সরকার। ওই এলাকার আয়ের অন্যতম উত্সই এই নরকের দ্বার।
১৩১৪
তবে এই প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎসমুখ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৪১৪
ফাঁকা মরুভূমির মাঝে এই ‘দারভাজা গ্যাস ক্রেটার’ নিয়ে বিস্ময়ের অন্ত নেই।