৯০ বছর আগে প্রথম ক্যানবন্দি হয়েছিল বিয়ার, ক্যান ফেরালে মিলত টাকাও!
বিয়ার শুনলে অনেক রসিকেরই মনটা একটু উড়ু উড়ু হতে পারে।২৪ জানুয়ারি‘বিয়ার ক্যান অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ উপলক্ষে আমেরিকার বেশ কিছু জায়গায় ছুটিও থাকে।সেই বিয়ারের ক্যান কোথা থেকে এল জানেন?
সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটনশেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
বিয়ার শুনলে অনেক রসিকেরই মনটা একটু উড়ু উড়ু হতে পারে। ২৪ জানুয়ারি ‘বিয়ার ক্যান অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ উপলক্ষে আমেরিকার বেশ কিছু জায়গায় ছুটিও থাকে। সেই বিয়ারের ক্যান কোথা থেকে এল জানেন?
০২১০
বিয়ার প্রথমে দেওয়া ও খাওয়া হত শুধুই বোতল ও গ্লাসে। বোতল ছাড়া অন্য কিছুতে বিয়ার পরিবেশনের ক্ষেত্রে সামাজিক কিছু বিধিনিষেধও ছিল সেই সময়। ফলে অন্য কোনও উপায়ে বিয়ার দেওয়ার কথা ভাবেওনি কোনও সংস্থা। ১৯২০ সাল নাগাদ কিছু সংস্থা প্যাকেজিং নিয়ে অন্যরকম কিছু উপায় ভাবতে শুরু করে।
০৩১০
১৯৩০ সাল নাগাদ প্যাকেজিং সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় নিউ জার্সির গটফ্রায়েড ক্রুয়েগার ব্রিউইং কোম্পানি প্রথম দু’হাজার ক্যান বানায়। বিয়ারভর্তি এই ক্যান ছিল ৩৫০ গ্রাম ওজনের। তাতে থাকত ৩.২ শতাংশ অ্যালকোহল।
০৪১০
ড্রট বিয়ার (সতেজ)-এর মতোই নাকি ক্যানের বিয়ার খেতে, এমনটাই বলেন বিয়ারপ্রেমীরা। সেই সময় ক্যানের বিয়ার আমদানি-রফতানি ছিল অত্যধিক লাভজনক। কেন?
০৫১০
বিয়ারের ক্যান ছিল ফেরতযোগ্য। এর ফলে ব্যবহারকারী কিছু টাকাও পেত। আর বিয়ার তৈরির সংস্থাগুলি সেই ক্যান পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে ফের ছাড়ত বাজারে।
০৬১০
এখন যে বিয়ারের ক্যান দেখা যায়, তা মূলত ১৯৩৩ সাল নাগাদ তৈরি হওয়ার পর বেশ কয়েক বার রিমডেলিং হয়েছে।প্রথমে ছিল ‘ফ্ল্যাট টপ’ ডিজাইন। দুটি বিপরীত দিকে ছিদ্র করলেই বিয়ার বেরিয়ে আসত সহজে। প্রথমে টিন, পরবর্তীতে স্টিলের তৈরি হত ক্যানগুলি। ফলে লম্বা ও ভারী বোতল আস্তে আস্তে খানিকটা হালকা হল ওজনে।
০৭১০
১৯৩৫ সালে প্রথম ‘ফ্ল্যাট টপ’ক্যানজাত বিয়ার জনপ্রিয় হয়। একইসঙ্গে জি হেইলেম্যান ব্রিউইং কোম্পানি ও স্ক্লিৎজ একটি ‘স্পাউট টপ’ বা ‘কোন টপ’ বিয়ার বানায়। বোতলের মতোই খোলা যেতে এটি। ফলে ব্যবহার হল আরও সহজতর। ছোটখাটো সংস্থাগুলিও এই ক্যান বানাত।
০৮১০
১৯৬০ সাল নাগাদ কোন টপ ক্যান তৈরি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, তখন পিটসবার্গ ব্রিউইং কোম্পানি পুল ট্যাব স্টাইল ক্যান (ট্যাব টপ বা পপ টপও বলা হয় একে) নিয়ে আসে। শুধুমাত্র ট্যাপটা সরিয়েই এক চুমুক পান করা যায় বিয়ার। স্ক্লিৎজের দেখাদেখি ১৯৬৫ সাল নাগাদ অন্যরাও এই ক্যান বানাতে শুরু করে।
০৯১০
কিন্তু পুল ট্যাব ক্যানের সমস্যা ছিল অন্যত্র। নিকাশি ব্যবস্থা ও বর্জ্য সংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছিল এতে। উজ্জ্বল ধাতব ট্যাবে আকৃষ্ট হচ্ছিল বন্যপ্রাণ, মারাও যাচ্ছিল গলায় আটকে। পায়ে লাগলে পা কাটার সম্ভাবনাও ছিল। তাই ১৯৭৫ সাল নাগদ এল স্টে ট্যাব ক্যান।
১০১০
কেন্টাকি ফলস সিটি ব্রিউইং কোম্পানি-র স্টে ট্যাব ক্যানই বর্তমানে ব্যবহার করা হয়। এই ক্যান সবদিক থেকেই নিরাপদ, এমনটাই বলছেন বিয়ারপ্রেমীরাও। বোতলের চেয়ে ক্যানের বিয়ারও বেশি বিক্রি হয় সারা বিশ্বজুড়ে।