প্রতিরক্ষা থেকে বাণিজ্য কিংবা মহাকাশ গবেষণা। প্রতিটা ক্ষেত্রে পায়ে পা লগিয়ে চিনের সঙ্গে ঝগড়া করতে নিমরাজি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উল্টে বেজিঙের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলার ব্যাপারে বেশি উৎসাহ তাঁর। শুধু তা-ই নয়, ড্রাগনকে নিয়ে ‘জি-২’ নামের দ্বিপাক্ষিক গোষ্ঠী গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি। তাই দেখে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের সঙ্গে ট্রাম্পের তুলনা টানা শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁর হঠকারী সিদ্ধান্তে পতনের পথে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? উঠছে প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনের ব্যাপারে ‘কৌশলগত’ দিক থেকে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ট্রাম্প। বেজিঙের উচ্চাকাঙ্ক্ষার অবমূল্যায়ন করছে তাঁর সরকার। ফলে আগামী দিনে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার ‘বেতাজ বাদশা’ হয়ে উঠতে পারে ড্রাগনের ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ নৌসেনা। তখন ওই এলাকায় নিজেদের প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণ যে পুরোপুরি ভাবে যুক্তরাষ্ট্র হারিয়ে ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য। ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।