Israel Turkey clash may turn F-35 vs F-35 in West Asia as Donald Trump is planning to sell fighter jets to Ankara dgtl
F-35 Lighting II
পশ্চিম এশিয়ার আকাশে ‘জোড়া বিদ্যুৎঝলক’! মোটা মুনাফার লোভে নিজেদেরই তৈরি লড়াকু জেটের ‘মুরগি লড়াই’ দেখবেন ট্রাম্প?
তুরস্কের উপর থেকে এ বার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, আঙ্কারাকে এফ-৩৫ লড়াকু জেট বিক্রির অনুমোদনও দিতে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে পশ্চিম এশিয়ার আকাশে এফ-৩৫ বনাম এফ-৩৫-এর ডগফাইট দেখার সুযোগ পাওয়ার আশঙ্কা থাকছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:৪২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
পশ্চিম এশিয়ায় এফ-৩৫ বনাম এফ-৩৫! নিজেদের তৈরি যুদ্ধবিমানকে এ বার নিজেদের সঙ্গেই লড়াবে আমেরিকা? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসায়ী মানসিকতার জেরে নজিরবিহীন সেই দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারে গোটা বিশ্ব। শুধু তা-ই নয়, তাঁর ‘খামখেয়ালি’ সিদ্ধান্তের চরম মাসুল দিতে গিয়ে ইহুদি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। আর তাই গোটা বিষয়টির উপর কড়া নজর রেখেছেন দুনিয়ার দুঁদে কূটনীতিকদের একাংশ।
০২২০
চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান। রাজধানী ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যশালী হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারতে দেখা যায় তাঁকে। আলোচনা শেষে পঞ্চম প্রজন্মের ‘স্টেল্থ’ শ্রেণির মার্কিন লড়াকু জেট ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন আমেরিকার বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। এর জেরে ইজ়রায়েলের রক্তচাপ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
০৩২০
এর্ডোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প জানান, আঙ্কারার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিলে আমেরিকার থেকে এফ-৩৫ লড়াকু জেট আমদানির ক্ষেত্রে তুরস্কের সামনে আর কোনও বাধাই থাকবে না। তখন সহজেই পশ্চিম এশিয়ার ছোট্ট ইহুদিভূমিকে নিশানা করতে পারবে সাবেক অটোমান সাম্রাজ্যের ফৌজ।
০৪২০
১৯৫২ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় সামরিক জোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’ বা নেটোর (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) সদস্য হয় তুরস্ক। পরবর্তী বছরগুলিতে এই সংগঠনের বেশ কয়েকটি সেনা অভিযানে অংশ নেয় আঙ্কারা। ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ হিসাবে পরিচিতি এশিয়া মাইনর সংলগ্ন দেশটির হাতে রয়েছে বেশ বড় একটি স্থলবাহিনী। নেটো-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে এই বাহিনী দ্বিতীয় বৃহত্তম। প্রথম স্থানে অবশ্য রয়েছে আমেরিকা।
০৫২০
নেটো-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলিকে হাতিয়ার বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও বিধিনিষেধ নেই। বরং তাদের অস্ত্রের মূল সরবরাহকারী দেশ হল আমেরিকা। এর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম তুরস্ক। ২০১৪ সালে আঙ্কারার ক্ষমতায় আসেন এর্ডোয়ান। ওয়াশিংটনের পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। ২০১৯ সালে ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ নামের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনতে মস্কোর সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। এর পরই ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’টিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে মার্কিন প্রশাসন।
০৬২০
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর (১৯৩৯-’৪৫) সময়কালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) সঙ্গে ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’-এ জড়িয়ে পড়ে আমেরিকা। ফলে মস্কোকে ঘিরতে ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জন্ম হয় নেটোর। সংশ্লিষ্ট সামরিক জোটটিতে একটি অঘোষিত নিয়ম রয়েছে। কোনও অবস্থাতেই রাশিয়া বা তার ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’দের থেকে হাতিয়ার ও গোলা-বারুদ আমদানি করে না নেটোর অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ। তুরস্ক সেই নিয়ম ভাঙায় বেজায় চটেছিল আমেরিকা। ফলে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে এফ-৩৫-এর মতো অত্যাধুনিক লড়াকু জেট কেনার রাস্তা আঙ্কারার জন্য বন্ধ করে দেয় ওয়াশিংটন।
০৭২০
পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘কৌশলগত সহযোগী’ ইজ়রায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আবার আদায় কাঁচকলায়। আরব দুনিয়ায় ইহুদি রাষ্ট্রটির অস্তিত্বই স্বীকার করতে রাজি নন এর্ডোয়ান। বহু বার প্রকাশ্যে সে কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি, প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বের কয়েক জনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে আঙ্কারার বিরুদ্ধে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে ক্রমশ চড়ছে পারদ।
০৮২০
গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় বোমাবর্ষণ করে ইজ়রায়েলি বিমানবাহিনী। ইহুদিদের নিশানায় ছিল সেখানে জড়ো হওয়া হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আরব দুনিয়ার এই উপসাগরীয় দেশটির অল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ছাউনি। তার পরেও সেখানে হামলা চালাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি তেল আভিভ। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আঙ্কারাই হবে তাঁদের পরবর্তী নিশানা। কারণ, হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে তৎপর হয়েছেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
০৯২০
ইজ়রায়েলি বায়ুসেনার বহরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক লড়াকু জেট। কিন্তু, লম্বা রাস্তা পাড়ি দিয়ে শত্রুর দেশে ঢুকে বোমাবর্ষণের ক্ষেত্রে ইহুদিদের প্রথম পছন্দ হল এফ-৩৫। সংশ্লিষ্ট মার্কিন যুদ্ধবিমানের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর ‘স্টেল্থ’ ক্ষমতা। উচ্চ শক্তিসম্পন্ন রেডারও একে চিহ্নিত করতে পারে না বললেই চলে। ফলে বিদেশের মাটিতে লক্ষ্যপূরণ করে নির্বিঘ্নে ছাউনিতে ফিরতে পারে ওয়াশিংটনের জনপ্রিয় প্রতিরক্ষা সংস্থা লকহিড মার্টিন নির্মিত ‘বিদ্যুৎঝলক’।
১০২০
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আমেরিকার থেকে এফ-৩৫ লড়াকু জেট হাতে পেলে সিরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ইজ়রায়েল আক্রমণের নীলনকশা ছকে ফেলবে তুরস্ক। এ ব্যাপারে অন্য আরব দেশগুলির সমর্থন ও সাহায্য পেতে পারে আঙ্কারা। কারণ দোহাকাণ্ডের পর ইহুদি হামলার আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছে তারা। আগ্রাসী তেল আভিভকে ঠেকাতে তাই বার বার উঠছে ইসলামীয় ফৌজ বা আরব নেটো তৈরির প্রস্তাব। যদিও তাতে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি।
১১২০
তুরস্কের উপর থেকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিতে ইজ়রায়েলের পাশাপাশি সিঁদুরে মেঘ দেখছে আরও দু’টি দেশ। তারা হল গ্রিস এবং সাইপ্রাস। একসময় দক্ষিণ ইউরোপের এই দুই রাষ্ট্র ছিল সাবেক অটোমান সাম্রাজ্যের কব্জায়। পরবর্তী কালে স্বাধীনতা পেয়ে যায় তারা। যদিও তাদের দখলে রাখার পুরনো দাবি ছাড়েনি আঙ্কারা। ফলে দু’তরফে বেশ কয়েক বার যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
১২২০
বর্তমানে সাইপ্রাসের একটি অংশ ‘অবৈধ’ ভাবে দখলে রেখেছে তুরস্ক। গ্রিসের একাধিক এলাকা ও দ্বীপের উপর ক্রমাগত দাবি জানিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এফ-৩৫-এর চুক্তি সেরে ফেলতে পারলে এর্ডোয়ান যে আরও আগ্রাসী হবেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ ইউরোপের নকশা বদলে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
১৩২০
‘দ্য ইউরেশিয়ান টাইম্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তুর্কি বায়ুসেনার জন্য অন্তত ৪০টি এফ-৩৫ লড়াকু জেট কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন এর্ডোয়ান। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে ৭০টি ভাইপার যুদ্ধবিমানের ব্যাপারেও চুক্তি করতে পারে আঙ্কারা। বর্তমানে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’টির বহরে রয়েছে ৭৯টি এফ-১৬ জেট। সেগুলির আধুনিকীকরণে সরঞ্জাম পেতেও মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন এর্ডোয়ান।
১৪২০
তবে চুপ করে বসে নেই ইজ়রায়েল এবং গ্রিসও। ইহুদি বায়ুসেনার বহরে রয়েছে ৪৫টি এফ-৩৫ লড়াকু জেট। আগামী বছরের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে পৌঁছোবে ৫০-এ। ২০২৪ সালে সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমানটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করে তেল আভিভ। ফলে ইজ়রায়েলি বিমানবাহিনীকে আরও ২৫টি এফ-৩৫ সরবরাহ করবে আমেরিকা। ২০২৮ সাল থেকে সেই প্রক্রিয়া নির্মাণকারী সংস্থা লকহিড মার্টিন শুরু করতে পারবে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর।
১৫২০
একই ভাবে গ্রিসও ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে এফ-৩৫-এর বহর। গত বছরের জুলাইয়ে সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমানটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করে আথেন্স। ফলে ২০২৮ সালের মধ্যে মোট ২০টি এফ-৩৫ গ্রিক বিমানবাহিনীর হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তুরস্কের উপর থেকে ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে নতুন করে বরাত দিতে পারে ভূমধ্যসাগর সংলগ্ন দক্ষিণ ইউরোপের ওই দেশ।
১৬২০
গত দু’বছর ধরে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ লড়ছে ইজ়রায়েল। এই সংঘাতে একাধিক আরব দেশের সশস্ত্র গোষ্ঠীর খোলা সমর্থন পেয়েছে ওই প্যালেস্টাইনপন্থী গোষ্ঠী। ফলে একসময় সাত ফ্রন্ট দিয়ে হামলা চালিয়ে চক্রব্যূহে ইহুদিদের ঘিরে ফেলে তারা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে মুহুর্মুহু গাজ়া, লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরান ও কাতারের উপর বোমাবর্ষণ করে তেল আভিভ। পশ্চিম এশিয়ার এই লড়াইয়ের রং বদলাতে বার বার পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গিয়েছে এফ-৩৫কে।
১৭২০
বিশ্লেষকদের একাংশ অবশ্য মনে করেন, মুখে আশ্বাস দিলেও ট্রাম্পের পক্ষে তুরস্কের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া বেশ কঠিন। আরব দুনিয়ায় আধিপত্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা ইজ়রায়েল। আর তাই ইহুদিদের কোনও শত্রু দেশকে কখনওই অত্যাধুনিক হাতিয়ার বিক্রি করে না ওয়াশিংটন। আমেরিকার বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট সেই নিয়ম হঠাৎ করে ভেঙে ফেলবেন, সেই ধারণা কষ্টকল্পিত।
১৮২০
দ্বিতীয়ত, তুরস্কের মতো নেটোর সদস্যপদ রয়েছে গ্রিসেরও। আর তাই আঙ্কারা এফ-৩৫-এর প্রতিরক্ষা চুক্তি করলে ওয়াশিংটনের উপর চাপ তৈরি করতে পারে আথেন্স। এমনকি সংশ্লিষ্ট জোট ভেঙে গ্রিকদের রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে। সে ক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে পড়বে নেটোর অস্তিত্ব। শুধুমাত্র লড়াকু জেটের জন্য এত বড় ঝুঁকি নেওয়া ট্রাম্পের পক্ষে কঠিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
১৯২০
আর তাই সুচতুর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিষেধাজ্ঞা তোলার ব্যাপারে এর্ডোয়ানের সামনে বিশেষ একটি শর্ত রেখেছেন। আঙ্কারাকে অবিলম্বে রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত খনিজ তেলের আমদানি বন্ধ করতে বলেছেন তিনি। আর্থিক দিক থেকে সাবেক অটোমান সাম্রাজ্যটির অবস্থা খুব ভাল নয়। ফলে মস্কোর বিক্রি করা সস্তা দরের ‘তরল সোনা’ কেনা থামিয়ে দেওয়া ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’টির পক্ষে মোটেই সহজ নয়।
২০২০
তবে এত কিছুর পরও সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। মস্কোর সঙ্গে ‘এস-৪০০’ এয়ার ডিফেন্স চুক্তি হওয়া ইস্তক আমেরিকার কাছে পুরোপুরি ব্রাত্য ছিলেন এর্ডোয়ান। ছ’বছর পর কোন অঙ্কে ওয়াশিংটনে তাঁর পা পড়ল, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। উল্টো দিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বন্ধু’দের বিপদে ফেলার প্রবণতা রয়েছে ট্রাম্পের। আর তাই যুযুধান দু’পক্ষের হাতেই তিনি এফ-৩৫ তুলে দেন কি না, সেটাই এখন দেখার।