২০১৬ সালে জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাকির। সেই নির্বাচনে হলফনামায় নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ২৭ কোটি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা বর্ষীয়ান বিধায়ক মহম্মদ সোহরাবকে পরাজিত করে জয় পান। যদিও জাকিরের সঙ্গে লড়াইয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন আরএসপি প্রার্থী।
বোমার আঘাতে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন জাকির। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শয্যাশায়ী অবস্থাতেই জঙ্গিপুর বিধানসভায় ফের তৃণমূলের মনোনয়ন পান। কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বামফ্রন্টের আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যু হলে জঙ্গিপুরে ভোট পিছিয়ে যায়। বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যেই জঙ্গিপুরে ভোট করাতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে দেয়।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের সঙ্গেই ভোট হয় জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদের আরও একটি কেন্দ্র সামশেরগঞ্জে। ৩ অক্টোবর ফলাফল ঘোষণায় সব ক’টি বিধানসভা আসনেই জয় পায় তৃণমূল। প্রত্যাশা মতোই জঙ্গিপুরে জেতেন জাকির। জন্মসূত্রে সুতির বাসিন্দা হলেও বিধায়ক হিসাবে জঙ্গিপুরেও নিজের জন্য একটি অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন তিনি।
বর্তমানে রাজনীতি ও ব্যবসার চেয়ে নিজের পায়ের চিকিৎসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন জাকির। মুম্বই ও চেন্নাইয়ে গিয়ে বেশ কয়েক বার অস্ত্রোপচার করিয়ে এসেছেন তিনি। তার ফলে লাঠি ছেড়ে হাঁটতে পারছেন। কিন্তু এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেন। তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে এনআইএ-র বিরুদ্ধে ক্ষোভের অন্ত নেই তাঁর।
ব্যবসা ও রাজনীতির পাশাপাশি জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকায় বহু সমাজ কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন জাকির। সকালে ঔরঙ্গাবাদের বাড়ির বাইরে নিজের ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন। ঔরঙ্গাবাদের বাড়িতে থাকলে হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভোলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy