সিনেমায় ‘নিউ ওয়েভ’ বা নবতরঙ্গের অন্যতম রূপকার গোদার যখন ছবি তুলতে এলেন, তখন পশ্চিম গোলার্ধে এক ভাঙনের যুগ। পূর্বতন যাবতীয় ধারণা বা সংস্কারকে ভেঙে ফেলতে উদ্যত হয়েছে বিট প্রজন্ম, যৌনতা সম্পর্কিত ছুঁতমার্গকে চুরমার করতে চাইছে সাহিত্য-চিত্রকলা-দর্শন। চলচ্চিত্র তত দিনে তার মিঠে মিঠে ভাব কাটিয়ে প্রকাশ করতে চাইছে ‘বাস্তবতা’-র অন্য রূপকে। গোদার সেই দর্শনের অন্যতম পথিকৃৎ।
১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ‘অ্যান্থলজি’ ছবি ‘সিক্স ইন প্যারিসে গোদার পরিচালিত অংশটি ছিল ‘মঁপারনাসে এত লেভালোই’। এই ছবিতে কড়া পুরুষতান্ত্রিক যৌন ‘নজর’-এর কারণে আজও মানবীচেতনাবাদীরা গোদারের সমালোচনায় মাতেন। এই ছবিতে দুই পুরুষে আসক্ত এক নারীর যৌন অবস্থানকে দেখানো হয়েছিল একান্ত ভাবে পুরুষ-আধিপত্যবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে।
১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গোদারের ছবি ‘কনটেমপ্ট’-এ নায়িকা ছিলেন ব্রিজিত বার্দো। ছবির কাহিনি আলবার্তো মোরাভিয়ার। ছবির বিষয় ছিল অস্তিত্ববাদী দর্শনের উপর আধারিত। বার্দো তখন যৌনতার মূর্তরূপ হিসেবে বিবেচিত। ‘কনটেমপ্ট’-এর শয্যাদৃশ্য ও আনুষঙ্গিক নগ্নতাকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বার্দোর শরীরী আবেদন ছবির মূল বক্তব্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলেও কথা ওঠে।
১৯৬৬-র ছবি ‘ম্যাসকুলিন ফেমিনিন’-কে গোদারের জীবনের অন্যতম সেরা কাজ বলে আলোচকরা জানান। ১৯৬০-এর দশকের ফ্রান্স তথা প্যারিসের যুবসমাজ এবং যৌনতাই ছিল এ ছবির কেন্দ্রীয় বিষয়। আর তার সঙ্গে মিশে যায় রাজনীতি। জনপ্রিয় সংস্কৃতি, মার্ক্সবাদ এবং পুঁজি-নিয়ন্ত্রিত জীবনের টানাপড়েনকে একত্রে তুলে আনে এই ছবি। অবধারিত ভাবে আসে যৌনতা। কিন্তু তার তরঙ্গ অবশ্যই ছিল ভিন্ন সুরে বাঁধা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy