Know about rumored affair between bollywood actor Harshavardhan Rane and Kim Sharma dgtl
Bollywood Gossip
বলিউডে যৌন লালসার শিকার, নাম জড়ায় একাধিক নায়িকার সঙ্গে! ‘জিনগত সমস্যা’য় সম্পর্ক ভাঙে অভিনেতার
বলিপাড়ায় তখন নবাগত ছিলেন হর্ষবর্ধন। ‘সনম তেরি কসম’ মুক্তি পাওয়ার এক বছরের মাথায় বলি নায়িকার সঙ্গে প্রেম শুরু হয়েছিল তাঁর। একসঙ্গে বহু জায়গায় হাত ধরে ঘুরতেও দেখা গিয়েছিল তাঁদের।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫ ১৬:১০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
বলিপাড়ায় পা রেখেছেন এক দশকও হয়নি। ইতিমধ্যেই নায়কোচিত সুঠাম চেহারা এবং অভিনয়ের জন্য দর্শকমহলে জায়গা করে নিয়েছেন বলি অভিনেতা হর্ষবর্ধন রাণে। টেলিভিশনের পর্দা থেকে শুরু করে দক্ষিণী ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। নায়ক হিসাবে সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে নিজেকে সেই অর্থে সফল বলে মনে করেন না তিনি। এমনটাই দাবি খোদ নায়কের।
০২১৯
২০১০ সাল থেকে অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত হর্ষবর্ধন। তামিল এবং তেলুগু ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এমনকি, ছোটপর্দার এক হিন্দি ধারাবাহিকেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে কোথাও তেমন পসার জমাতে পারেননি। ছ’বছর পর তাঁর কেরিয়ার অন্য দিকে মোড় নেয়।
০৩১৯
২০১৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘সনম তেরি কসম’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান হর্ষবর্ধন। বলিউডের নবাগত অভিনেতাকে নিয়ে তার পর থেকেই মাতামাতি শুরু হয়ে যায়। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান হর্ষবর্ধন।
০৪১৯
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় যে, বলিউডে কেরিয়ার শুরুর পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে প্রেমও এসেছিল হর্ষবর্ধনের। এক বলি অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে নাকি এক খেলোয়াড়ের প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেছিলেন নায়িকা।
০৫১৯
বলি অভিনেতা অর্জুন রামপালের তুতো বোন কিম শর্মা। ২০০০ সালে ‘মোহব্বতেঁ’ ছবিতে অভিনয় করে প্রচারে এসেছিলেন তিনি। বর্তমানে অবশ্য বড়পর্দা থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছেন তিনি। শোনা যায়, কিমের সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন হর্ষবর্ধন।
০৬১৯
বলিপাড়ায় তখন নবাগত হর্ষবর্ধন। ‘সনম তেরি কসম’ মুক্তি পাওয়ার এক বছরের মাথায় কিমের সঙ্গে প্রেম শুরু হয়েছিল তাঁর। একসঙ্গে বহু জায়গায় হাত ধরে ঘুরতে দেখা যেত তাঁদের।
০৭১৯
গোড়ার দিকে নিজেদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেও পরে প্রকাশ্যে তাতে সিলমোহর দিয়েছিলেন হর্ষবর্ধন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি খুব খোলামেলা ধরনের মানুষ। আমার জীবনে লুকোনোর মতো কিছুই নেই। হ্যাঁ, আমি প্রেম করছি। কিন্তু এই বিষয়টা আমার জীবনের ব্যক্তিগত পরিসরের মধ্যে পড়ে। ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করি। আর যেখানে দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তি সেখানে জড়িয়ে পড়ে, তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো আমার কর্তব্য।’’
০৮১৯
কিমের সঙ্গে টানা দু’বছর প্রেম করেছিলেন হর্ষবর্ধন। তার পর সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের। বিচ্ছেদের পর নায়িকার উদ্দেশে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন নায়ক। কিমের নামের আদ্যক্ষর উল্লেখ করে সেই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘কে, তুমি অপূর্ব এক মানুষ। এই যাত্রা দারুণ ছিল। খুব খুব ভাল সময় কাটিয়েছি। ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন। ভগবান আমাকেও আশীর্বাদ করুন। বিদায়।’’ নিজের নামের আদ্যক্ষর ‘এইচ’ দিয়ে সেই বিদায়বার্তা শেষ করেছিলেন নায়ক।
০৯১৯
কিম এবং হর্ষবর্ধনের সম্পর্ক কেন ভেঙেছিল সে প্রসঙ্গে দুই তারকাই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। পরে অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে নায়ক বলেছিলেন, ‘‘১২ বছর ধরে আমি কোনও সম্পর্কে জড়াইনি। সিঙ্গল ছিলাম। নিশ্চয়ই তার পিছনে কোনও কারণ রয়েছে। কারণ ছাড়া তো কোনও কিছুই হয় না। আমি আমার জীবনের সেরা সময় কাটিয়েছিলাম। কিন্তু সমস্যাটা মনে হয় আমারই।’’
১০১৯
নিজেকে দায়ী করে হর্ষবর্ধন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয় জিনগত কোনও সমস্যা রয়েছে। ‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে একটি সংলাপ ছিল— ‘আজাদি মেরি দুলহন হ্যায়’ (বাংলায় যার অর্থ, ‘স্বাধীনতাই আমার জীবনসঙ্গিনী’)। আমি এখন বলতে পারি, সিনেমাই আমার জীবনসঙ্গিনী।’’
১১১৯
হর্ষবর্ধনের সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতীয় টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে কিমের প্রেমের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। সমাজমাধ্যমে যুগলের একাধিক ছবি ছড়িয়ে যাওয়ার পর একে অপরের সঙ্গে ছবি দিয়ে নিজেরাই সম্পর্কের কথা খোলসা করেছিলেন তাঁরা।
১২১৯
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লিয়েন্ডারের সঙ্গে সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি, সম্পর্কে আসার পর দুর্গাপুজোর সময় কিমকে নিয়ে কলকাতাতেও এসেছিলেন লিয়েন্ডার। শ্রীভূমির ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বড়দিনের মরসুমে পার্ক স্ট্রিটেও ঘুরতে গিয়েছিলেন যুগল।
১৩১৯
কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, কলকাতায় আসার পর সইসাবুদ করে নাকি বিয়েটাও সেরে ফেলেছিলেন লিয়েন্ডার এবং কিম। পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল যে, গোটাটাই রটনা। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই সম্পর্কে ভাঙনের গুঞ্জন শোনা যেতে থাকে।
১৪১৯
সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে লিয়েন্ডারের সঙ্গে নাকি মতবিরোধ হয়েছিল কিমের। দুই পক্ষের মধ্যে কোনও এক পক্ষ নাকি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চাইছিলেন না। সেই সমস্যা থেকেই শেষ পর্যন্ত তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। ২০২৩ সালে প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে তোলা সমস্ত ছবি সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে মুছে ফেলেছিলেন কিম।
১৫১৯
কিমের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশ কয়েক বছর ‘সিঙ্গল’ ছিলেন হর্ষবর্ধন। পরে বলি অভিনেত্রী সঞ্জীদা শেখের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়ে তাঁর। ২০২৩ সালের জুন মাসে কন্যাকে নিয়ে গুজরাতের গির অভয়ারণ্যে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন বিবাহবিচ্ছিন্না নায়িকা। সমাজমাধ্যমে সেখানকার ছবিও পোস্ট করেছিলেন সঞ্জীদা।
১৬১৯
বলিপাড়া সূত্রে খবর, একই সময় গিরে ঘুরতে গিয়েছিলেন হর্ষবর্ধন। সঞ্জীদার ছবি পোস্ট করার কিছু ক্ষণ বাদে অভিনেতাও একই জায়গা থেকে ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। সেখান থেকেই আতশকাচের তলায় রয়েছে সঞ্জীদা এবং হর্ষবর্ধনের সম্পর্ক। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু জানাননি।
১৭১৯
বলিউডের জনশ্রুতি, ‘তইশ’ ছবিতে কাজ করার সময় হর্ষবর্ধনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গভীর হতে শুরু করেছিল সঞ্জীদার। ডেট করাও শুরু করেন দুই তারকা। কিন্তু নিজেদের সম্পর্ক এখনও আড়ালেই রেখেছেন তাঁরা।
১৮১৯
একাধিক নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাওয়া অভিনেতা নাকি বলিপাড়ায় ‘কাস্টিং কাউচ’-এর তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন। হর্ষবর্ধনের দাবি, বলিউডে এসে যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
১৯১৯
হর্ষবর্ধন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, অডিশন দেওয়ার সময় এক কাস্টিং ডিরেক্টর তাঁকে প্যান্ট খুলতে অনুরোধ করেছিলেন। কারণ জানতে চাওয়া হলে তাঁকে বলা হয়েছিল, নায়কের পায়ের গঠন পরখ করে দেখতে চান তিনি। হর্ষবর্ধনের দাবি, ওই কাস্টিং ডিরেক্টরকে সুযোগ নিতে দেননি তিনি।