শিশু আলাদা ঘরে ঘুমোয়? কী ক্ষতি করছেন জানেন?

পশ্চিমের সংস্কৃতি মেনে এ দেশেও আমরা অনেকেই সন্তানের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করি এবং সেই ঘরেই তাদের ঘুমোনোর ব্যবস্থা করি। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান কিন্তু বলছে, বাল্য কালে শিশুর সঙ্গে মা-বাবার ঘুমোনোর অভ্যাস তার মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। বুদ্ধিতেও প্রভাব ফেলে। শিশুর সঙ্গে ঘুমোলে কী কী লাভ হয়, জানেন? ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

রাতে শিশুর কোনও প্রয়োজন পড়তেই পারে। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করতে পারে সে। সন্তান আলাদা ঘরে থাকলে সব সময় উঠে গিয়ে তার ঘরে ঘুরে আসা যায় না। তাই কখনও অসুস্থ হয়ে শিশু তা জানাতে না পারলে, তার অসুস্থতা বোঝার উপায়ও থাকে না। তাই রাতেও নিজেদের কাছেই রাখুন সন্তানকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

শিশুর ব্যক্তিগত বোধ ও নিজস্ব জগৎ আলাদা করে যত দিন না তৈরি হচ্ছে, তত দিন তাকে কাছে রাখলে, শিশু নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে না। চিকিৎসকদের মতে, যে সব সন্তান একটা সময় পর্যন্ত বা চিরকাল অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুমোয়, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। পরিবারের বেশি ঘনিষ্ঠ হয় তারা। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

সন্তানকে গল্প বা গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ানোর অভ্যাস থাকলে তা তার কল্পনাশক্তি বাড়ায় ও আবেগী করে তোলে। ঘুমের মধ্যে যে সব শিশু শরীরে মা-বাবার স্পর্শ পায়, তাদের হরমোনাল সমস্যা কম হয় বলে জানিয়েছেন মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।