২০০৪ সালে যশ চোপড়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় রোম্যান্টিক ঘরানার ছবি ‘বীর জ়ারা’। এই ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে বড় পর্দায় জুটি বাঁধতে দেখা যায় প্রীতি জ়িন্টাকে। রোম্যান্টিক ঘরানার হিন্দি ছবির তালিকায় এই ছবি অধিকাংশ দর্শকেরই পছন্দের। তবে এই ছবির নায়িকা হিসাবে প্রীতি প্রথম পছন্দ ছিলেন না নির্মাতাদের।
২০০০ সালে যশ চোপড়ার পুত্র আদিত্য চোপড়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মহব্বতেঁ’। বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করেন বলিপাড়ার ‘শাহেনশা’ অমিতাভ বচ্চন। শাহরুখের বিপরীতে এই ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা যায় ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে। তবে বচ্চন-পুত্রবধূ নন, ছবিনির্মাতাদের পছন্দ ছিল অন্য নায়িকাকে।
২০০৬ সালে কর্ণ জোহরের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তারকাখচিত ছবি ‘কভি অলবিদা না কহেনা’। এই ছবিতে শাহরুখ, প্রীতি এবং অমিতাভ ছাড়াও অভিনয় করেন রানি মুখোপাধ্যায়, অভিষেক বচ্চন এবং কিরণ খেরের মতো বলি তারকারা। ছবিতে শাহরুখের স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যায় প্রীতিকে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী মায়া নামের একটি চরিত্রের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় শাহরুখকে। এই মায়া চরিত্রেই প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল কাজলের।
‘কভি অলবিদা না কহেনা’ ছবিতে দেখা গিয়েছে, মায়া চরিত্রটি বিবাহিত। স্বামীর সঙ্গে তার মধুর সম্পর্ক নেই। অন্য এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মায়া। কাজলের দাবি, মায়ার উচিত ছিল পরকীয়ায় না জড়িয়ে বৈবাহিক জীবনে সৃষ্টি হওয়া জটিলতার সমাধান করা। যে হেতু তা হয়নি, তা-ই সেই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কাজল। তার পর সেই চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় রানিকে।
১৯৯৮ সালে মণি রত্নমের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাহরুখের ছবি ‘দিল সে…’। এই ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করেন মনিষা কৈরালা এবং প্রীতি। মেঘনার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় মনীষাকে। তবে এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন কাজল। কিন্তু তা নাকি বুঝতেই পারেননি অভিনেত্রী। নিজের অজান্তেই সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন কাজল।
কর্ণ পরিচালিত এক রিয়্যালিটি শোয়ের একটি পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাজল। সেই পর্বে কাজলের উদ্দেশে কর্ণ বলেছিলেন যে, ‘‘আমার একটি ঘটনার কথা খুব মনে পড়ে। তখন তোমার সঙ্গে বসেছিলাম আমি। শাহরুখ খানের বাড়িতে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির চিত্রনাট্যের খসড়া পাঠ চলছিল। হঠাৎ তোমার ফোন বেজে উঠল। তোমায় মণি রত্নম ফোন করেছিলেন। কিন্তু তুমি তা বিশ্বাসই করোনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy