কলকাতা
শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ১৬:৪৪
সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। উদ্ধার করা হয় বহুমূল্যের গহনা এবং বৈদেশিক মুদ্রাও। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে হইচই। পশ্চিমবঙ্গের বুকে এত বেশি পরিমাণে অর্থ এক জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করার নজির বিরল। তবে ভারতে দীর্ঘতম তল্লাশি অভিযানের ‘কৃতিত্ব’ কিন্তু ইডির নয়, আয়কর বিভাগের।
বাড়িতে আয়কর হানার সময় ইন্দরের বয়স ছিল ৯১ বছর। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিনি পঞ্জাবের বিধায়ক ছিলেন। পরে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ হন। কানপুরের শিল্পপতি ইন্দর উত্তরপ্রদেশের প্রথম স্টিল রি-রোলিং মিলের মালিক ছিলেন। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যের বৃহত্তম স্টিল মিলের মালিক ছিলেন। দু’বার কানপুরের মেয়রও নির্বাচিত হন ইন্দর।
ইন্দর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সমস্ত বাড়িতেই হানা চালায় আয়কর বিভাগ। বটব্যালের দলের অন্যান্য সদস্যরা কানপুরের লাজপত নগর, তিলক নগর, আর্য নগরে থাকা ইন্দরের বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালান। একই সময়ে, ফজল গঞ্জ এবং পাঙ্কিতে থাকা ‘সিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর কারখানাগুলিও তালা ঝুলিয়ে দেন আয়কর কর্তারা।
ইন্দর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই তল্লাশি অভিযানে থাকা আয়কর আধিকারিক প্রেম প্রকাশ শ্রীবাস্তবের মতে, ইন্দরের পরিবারের আরও ১৫ জন সদস্যের সম্পত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছিল, যা প্রায় এক মাস ধরে চলেছিল। ইন্দর সিংহ, তাঁর স্ত্রী মহিন্দর কৌর, তাঁর চার ছেলে, দুই জামাই এবং পরিবারের আরও ১২ জন সদস্যকে নোটিশ ধরানো হয়।
ইন্দরের স্ত্রী মহিন্দর ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগজীবন রামের ছেলে সুরেশ রামের শ্যালিকা। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর ছিল, ইন্দর পারিবারিক অনেক সমস্যাতে জর্জরিত ছিলেন। এ-ও জানা যায় যে, তাঁর পরিবারেরই কোনও সদস্য প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি লুকিয়ে রাখার বিষয়ে খবর দেন আয়কর দফতরে। তবে আয়কর কর্মকর্তারা বরাবরই এ বিষয়ে চুপই ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
