Malayalam Film made with 20 crores does business of 240 crore but actor landed in jail after success dgtl
Manjummel Boys
বাজেটের ১২ গুণ ব্যবসা করে ‘শয়তানের রান্নাঘর’ নিয়ে তৈরি সিনেমা, জেলে যেতে হয় অন্যতম প্রধান অভিনেতাকে
বলিউডে প্রচুর টাকা দিয়ে যে সমস্ত সিনেমা তৈরি হয়, অর্থাৎ ‘বিগ বাজেট’ ছবি নিয়ে সব সময়ই সকলের আগ্রহ বেশি থাকে। বড় বাজেটের ছবি মানেই নামী তারকা, ঝাঁ-চকচকে লোকেশন, ভিএফএক্সের ছড়াছড়ি।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
লাইট-ক্যামেরা, অভিনয়, গ্ল্যামার, খ্যাতি— বলিউডের কথা বললেই মনে পড়ে যায় এই শব্দগুলো। মুম্বইয়ের এই জগৎ হাজার হাজার তরুণ-তরুণীকে আকৃষ্ট করে। বলিজগতে নাম করার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইয়ে পা দেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ চেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম এবং ভাগ্যের উপর ভর করে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন।
০২১৭
বলিউডে প্রচুর টাকা দিয়ে যে সমস্ত সিনেমা তৈরি হয়, অর্থাৎ ‘বিগ বাজেট’ ছবি নিয়ে সব সময়ই সকলের আগ্রহ বেশি থাকে। বড় বাজেটের ছবি মানেই নামী তারকা, ঝাঁ-চকচকে লোকেশন, ভিএফএক্সের ছড়াছড়ি। ছবি হিট করলে প্রযোজক খুশি। ফ্লপ করলে বহু টাকার ক্ষতি।
০৩১৭
তবে জানা আছে কি, ভারতে এমন ছবিও রয়েছে, যা তৈরি হয়েছে ২০ কোটি টাকায়। কিন্তু ব্যবসা করেছে তার ১২ গুণ, অর্থাৎ ২৪০ কোটি টাকার। ১০টি পুরস্কারও জিতেছে সেই ছবি।
০৪১৭
আবার সেই ছবিরই অভিনেতাকেই জেলে যেতে হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। কথা হচ্ছে মালয়ালম ছবি ‘মাঞ্জুমেল বয়েজ়’-এর।
০৫১৭
সেরা চলচ্চিত্র, সেরা চিত্রনাট্য থেকে সেরা পরিচালক— এ বছরের কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারে আধিপত্য বিস্তার করেছে ‘মাঞ্জুমেল বয়েজ়’ ছবিটি। বিভিন্ন বিভাগে মোট ১০টি পুরস্কার জিতেছে।
০৬১৭
‘মাঞ্জুমেল বয়েজ়’ মুক্তি পেয়েছিল গত বছর। চিদাম্বরম পরিচালিত ছবিটি সর্বকালের সর্বোচ্চ উপার্জন করা মালয়ালম ছবির তকমাও পেয়েছিল।
০৭১৭
তবে, ছবিটির যাত্রাপথ মোটেও মসৃণ ছিল না। প্রযোজনা করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ থেকে শুরু করে ব্যাপক সাফল্যের পর প্রতারণার অভিযোগের মুখোমুখি হন ছবির নির্মাতারা।
০৮১৭
‘মাঞ্জুমেল বয়েজ়’ তৈরি হয়েছিল ২০ কোটি টাকার সামান্য বাজেটে। সামান্য, কারণ এখনকার সময়ে ‘বিগ বাজেট’ ছবি নিয়ে সব সময়ই দর্শকের মনে আগ্রহ বেশি থাকে। কিন্তু ২০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি মালয়ালম ছবিটি ভারতে ১৪১ কোটি টাকার ব্যবসা করে। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা করে ২৪০.৫ কোটির।
০৯১৭
অসাধারণ সাফল্য সত্ত্বেও, শীঘ্রই বিতর্ক শুরু হয় ছবিটিকে কেন্দ্র করে। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা তথা প্রযোজক সৌবিন শাহির এবং সহ-প্রযোজকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিরাজ় ভালাইথিরা নামে এক ব্যক্তি।
১০১৭
সিরাজ় দাবি করেন, ‘মাঞ্জুমেল বয়েজ়’ ছবিতে ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি ছিলেন ছবিটির ‘সাইলেন্ট পার্টনার’। অর্থাৎ, এমন এক জন প্রযোজক, যিনি প্রচারের আড়ালে ছিলেন।
১১১৭
সিরাজ়ের অভিযোগ ছিল, ছবির বাজেটে প্রায় ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ছবির মুক্তির পর কোনও লভ্যাংশ তিনি পাননি। চাইলেও দিতে অস্বীকার করা হয়। সেই মর্মেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
১২১৭
মামলা দায়ের করা হয় অভিনেতা সৌবিন, তাঁর বাবা বাবু শাহির এবং প্রযোজক শন অ্যান্টনির বিরুদ্ধে। এঁরা সকলেই প্রযোজনা সংস্থা ‘পারাভা ফিল্মস’-এর অংশীদার।
১৩১৭
এর পরেই আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সৌবিনকে। কিন্তু পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন।
১৪১৭
‘মাঞ্জুমেল বয়েজ়’-এর আরও গল্প আছে। ছবিটি তৈরি হয়েছে সত্যি ঘটনা অবলম্বনে। ২০০৬ সালে তামিলনাড়ুর কোডাইকানালের গুনা গুহায় ঘুরতে গিয়েছিলেন একদল তরুণ। তাঁদের প্রিয় অভিনেতা কমল হাসানের ছবির শুটিং হয়েছিল সেই গুহায়।
১৫১৭
গুহাটি দেখার লোভ সামলাতে পারেনি তরুণেরা। বন দফতরের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারের বেড়া টপকে সেখানে পৌঁছে যান তাঁরা। কিন্তু সেই গুহা পরিচিত ছিল ‘শয়তানের রান্নাঘর’ নামে। এক বার সেখানে প্রবেশ করলে জীবিত অবস্থায় কেউ নাকি ফিরে আসেন না।
১৬১৭
সেই গুহায় প্রবেশ করে বিপদে পড়ে তরুণের দলও। অনেক সংগ্রাম করে উদ্ধার করা হয় তাঁদের। সেই ঘটনা সেই সময় দেশ জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল। সেই ঘটনার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় ‘মাঞ্জুমেল বয়েজ়’ ছবিটি।
১৭১৭
ছবিটির নির্মাতারা প্রথমে ভেবেছিলেন, আসল গুনা গুহাতেই শুটিং করবেন তাঁরা। তবে শীঘ্রই বুঝতে পারেন, গুহায় শুটিং করা যেমন অবাস্তব, তেমনই বিপজ্জনক। ফলে শেষমেশ গুহাটির আদলে সেট তৈরি করে শুরু হয় ‘মাঞ্জুমেল বয়েজ়’-এর শুটিং।