সেই থেকে গরিব বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়ার কাজ শুরু করেন নাগেশু। গ্রামে ঘুরে গরিব পরিবারের সন্তানদের জড়ো করতেন। তার পর তাদের নিজেই পড়াতেন। সেই কাজ আজও চালিয়ে যাচ্ছেন নাগেশু। গরিব পরিবারের সন্তানদের পড়ানোর জন্য কিন্তু একটি টাকাও নেন না নাগেশু। বরং নিজের উপার্জনের টাকা তাদের পড়াশোনার জন্য খরচ করেন। প্রতীকী ছবি।
নাগেশ একটি কোচিং সেন্টারও খুলেছেন। আজ তাঁর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক। বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের সামলাতে তিনি ৪ জন শিক্ষকও রেখেছেন। নাগেশু জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় খরচও বাড়তে শুরু করেছিল। সংসারের পাশাপাশি কোচিং সেন্টার চালাতেও বেশ সমস্যা হচ্ছিল। তাই অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য কুলির পেশাকেই বেছে নিয়েছেন। প্রতীকী ছবি।
২০১১ সালে বেহরামপুর স্টেশনে কুলির কাজ শুরু করেন নাগেশু। সেই কাজ শুরু করার পর নিজের অসমাপ্ত পড়াশোনা আবার চালু করেন। দূরশিক্ষায় দ্বাদশ পাশ করেন। তার পর বেহরামপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেন। নাগেশু অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ান। মূলত হিন্দি আর ওড়িয়া বিষয়টি তিনি দেখেন। বাকি বিষয়গুলি দেখাশোনার জন্য তাঁর কোচিং সেন্টারে শিক্ষক রয়েছেন। প্রতীকী ছবি।
এক জন লেকচারার হয়ে, কী ভাবে কুলির কাজ করছেন? এ প্রসঙ্গে নাগেশু এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমাকে এ ধরনের প্রশ্নের মুখে অনেক বার পড়তে হয়েছে। লোকে এ নিয়ে নানা রকম আলোচনাও করেন। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। আমার মতো যেন অন্য গরিব পরিবারের সন্তানরা মাঝপথে পড়া ছেড়ে না দেয়, তাই আগামী দিনেও এ কাজ করে যাব।” প্রতীকী ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy