Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Mermaid

গভীর জঙ্গলের ভিতরে জলাশয়ে খেলা করছে মৎস্যকন্যার দল, দেখে অনেকের বুকেই ছলাৎছল

লোককথা বা পুরাণ থেকে শুরু করে সিনেমা, বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যকন্যা দের বিবরণ ছড়িয়ে রয়েছে। কল্পিত এই প্রাণীর দেহের উপরিভাগ নারীর মতো হলেও দেহের নীচের অংশ মাছের মতো।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ০৯:২০
Share: Save:
০১ ১৭
কোমর থেকে পা পর্যন্ত রঙিন আঁশের মতো আবরণ। লাল-নীল-গোলাপি চুলের রঙ। ঠিকরে বেরোচ্ছে রূপ। আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় দেখা মিলল  মৎস্যকন্যাদের! আর সেই  মৎস্যকন্যাদের  দেখতে ভার্জিনিয়া শহরে উপচে পড়ছে ভিড়।

কোমর থেকে পা পর্যন্ত রঙিন আঁশের মতো আবরণ। লাল-নীল-গোলাপি চুলের রঙ। ঠিকরে বেরোচ্ছে রূপ। আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় দেখা মিলল মৎস্যকন্যাদের! আর সেই মৎস্যকন্যাদের দেখতে ভার্জিনিয়া শহরে উপচে পড়ছে ভিড়।

০২ ১৭
মৎস্যকন্যা। এই নাম মাথায় এলেই মনে পড়ে যায় হলিউডের অ্যানিমেশন ছবি ‘দ্য লিটল মারমেড’-এর কথা। সেই ছবির  মৎস্যকন্যাদের রূপ  অনেক সৌম্য।

মৎস্যকন্যা। এই নাম মাথায় এলেই মনে পড়ে যায় হলিউডের অ্যানিমেশন ছবি ‘দ্য লিটল মারমেড’-এর কথা। সেই ছবির মৎস্যকন্যাদের রূপ অনেক সৌম্য।

০৩ ১৭
আবার অনেকের মনে পড়ে যেতে পারে ‘দ্য শি ক্রিচার’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অফ ফায়ার’ বা ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’ ছবির মৎস্যকন্যাদের  কথা। সেই মৎস্যকন্যারা আবার ততখানি কোমল নয়। মৎসকন্যাদের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক জল্পনা থাকলেও তাদের বাস্তব অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ কখনও পাওয়া যায়নি।

আবার অনেকের মনে পড়ে যেতে পারে ‘দ্য শি ক্রিচার’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অফ ফায়ার’ বা ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’ ছবির মৎস্যকন্যাদের কথা। সেই মৎস্যকন্যারা আবার ততখানি কোমল নয়। মৎসকন্যাদের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক জল্পনা থাকলেও তাদের বাস্তব অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ কখনও পাওয়া যায়নি।

০৪ ১৭
লোককথা বা পুরাণ থেকে শুরু করে সিনেমা, বিভিন্ন জায়গায়  মৎস্যকন্যাদের বিবরণ ছড়িয়ে রয়েছে। কল্পিত এই প্রাণীর দেহের উপরিভাগ নারীর মতো হলেও দেহের নীচের অংশ মাছের মতো।  কিন্তু ভার্জিনিয়ায় যে  মৎস্যকন্যাদের দেখা মিলল, তাদের রূপসী বই অন্য কিছু বলা যাবে না।

লোককথা বা পুরাণ থেকে শুরু করে সিনেমা, বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যকন্যাদের বিবরণ ছড়িয়ে রয়েছে। কল্পিত এই প্রাণীর দেহের উপরিভাগ নারীর মতো হলেও দেহের নীচের অংশ মাছের মতো। কিন্তু ভার্জিনিয়ায় যে মৎস্যকন্যাদের দেখা মিলল, তাদের রূপসী বই অন্য কিছু বলা যাবে না।

০৫ ১৭
ভার্জিনিয়ার এই মৎস্যকন্যারা কিন্তু আদপেও সত্যিকারের নন। পুরোটাই সাজানো। পুরোটাই বিশেষ এক অনুষ্ঠান (বলা ভাল, উৎসব)-কে কেন্দ্র করে আমোদের অংশ।

ভার্জিনিয়ার এই মৎস্যকন্যারা কিন্তু আদপেও সত্যিকারের নন। পুরোটাই সাজানো। পুরোটাই বিশেষ এক অনুষ্ঠান (বলা ভাল, উৎসব)-কে কেন্দ্র করে আমোদের অংশ।

০৬ ১৭
ভার্জিনিয়ায় হওয়া এই অনুষ্ঠানের নাম ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’। ৩ থেকে ৫ মার্চ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মৎস্যকন্যার রূপে সেজেছিলেন শতাধিক মহিলা।

ভার্জিনিয়ায় হওয়া এই অনুষ্ঠানের নাম ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’। ৩ থেকে ৫ মার্চ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মৎস্যকন্যার রূপে সেজেছিলেন শতাধিক মহিলা।

০৭ ১৭
পূর্ব আমেরিকার ভার্জিনিয়ার মানসাসের একটি কৃত্রিম জলাশয়ে ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’-এর আয়োজন করা হয়েছিল।

পূর্ব আমেরিকার ভার্জিনিয়ার মানসাসের একটি কৃত্রিম জলাশয়ে ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’-এর আয়োজন করা হয়েছিল।

০৮ ১৭
শুধু ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যকন্যাদের থিম হিসাবে রেখে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে তাদের মধ্যে মানসাসের এই অনুষ্ঠানই সবচেয়ে বড়।

শুধু ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মৎস্যকন্যাদের থিম হিসাবে রেখে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে তাদের মধ্যে মানসাসের এই অনুষ্ঠানই সবচেয়ে বড়।

০৯ ১৭
‘মারম্যাজিক কনভেনশন’-এর মৎস্যকন্যাদের মধ্যে ছিলেন ৩৩ বছর বয়সি হেলেনা ম্যাকলিওড। চারকোট-মারি-টুথ নামের একটি একটি স্নায়ুরোগের কারণে তিনি ভাল ভাবে সাঁতার কাটতে অক্ষম। মাঝেমধ্যে চলাফেরা করতে হয় হুইলচেয়ারের সাহায্যে। তবুও মৎস্যকন্যা হয়ে বাঁচতে তিন দিন এই অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।

‘মারম্যাজিক কনভেনশন’-এর মৎস্যকন্যাদের মধ্যে ছিলেন ৩৩ বছর বয়সি হেলেনা ম্যাকলিওড। চারকোট-মারি-টুথ নামের একটি একটি স্নায়ুরোগের কারণে তিনি ভাল ভাবে সাঁতার কাটতে অক্ষম। মাঝেমধ্যে চলাফেরা করতে হয় হুইলচেয়ারের সাহায্যে। তবুও মৎস্যকন্যা হয়ে বাঁচতে তিন দিন এই অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।

১০ ১৭
স্বামী ড্যারেনের সাহায্যে হেলেনা বিস্তৃত ছিদ্রযুক্ত সিলিকন পাখনা লাগিয়ে জলে নেমেছিলেন। হেলেনার কথায়, ‘‘আমি ভাবতেই পারছি না যে, আমি এক দিন জলে নামব। তা-ও আবার মৎস্যকন্যা হয়ে। খুব আনন্দ পেয়েছি। নিজেকে খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল।’’

স্বামী ড্যারেনের সাহায্যে হেলেনা বিস্তৃত ছিদ্রযুক্ত সিলিকন পাখনা লাগিয়ে জলে নেমেছিলেন। হেলেনার কথায়, ‘‘আমি ভাবতেই পারছি না যে, আমি এক দিন জলে নামব। তা-ও আবার মৎস্যকন্যা হয়ে। খুব আনন্দ পেয়েছি। নিজেকে খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল।’’

১১ ১৭
হেলেনা জানান, এর আগে ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’-এ ‘প্রতিবন্ধী মৎস্যকন্যা’দের  সংখ্যা কমছিল। কিন্তু চলতি বছরে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি প্রতিবন্ধী মহিলারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

হেলেনা জানান, এর আগে ‘মারম্যাজিক কনভেনশন’-এ ‘প্রতিবন্ধী মৎস্যকন্যা’দের সংখ্যা কমছিল। কিন্তু চলতি বছরে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি প্রতিবন্ধী মহিলারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

১২ ১৭
মানসাসের এই অনুষ্ঠানে তিন দিন ধরে ঢালাও খানাপিনারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আয়োজন ছিল বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলোরও। তবে সবার চোখ কিন্তু মূলত ছিল জলকেলিরত মৎস্যকন্যাদের দিকেই।

মানসাসের এই অনুষ্ঠানে তিন দিন ধরে ঢালাও খানাপিনারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আয়োজন ছিল বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলোরও। তবে সবার চোখ কিন্তু মূলত ছিল জলকেলিরত মৎস্যকন্যাদের দিকেই।

১৩ ১৭
এই অনুষ্ঠানে আবার জল সংক্রান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু কর্মশালারও আয়োজন ছিল। মেরলট নামের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণী জানান, মৎস্যজীবীদের এই অনুষ্ঠানের ভাবনা খুবই সৃজনশীল।

এই অনুষ্ঠানে আবার জল সংক্রান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু কর্মশালারও আয়োজন ছিল। মেরলট নামের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণী জানান, মৎস্যজীবীদের এই অনুষ্ঠানের ভাবনা খুবই সৃজনশীল।

১৪ ১৭
মেরলট বলেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানে বয়স, জাতি, শারীরিক গঠন নির্বিশেষে যে কেউ মৎস্যকন্যা হিসাবে যোগ দিতে পারেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।’’

মেরলট বলেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানে বয়স, জাতি, শারীরিক গঠন নির্বিশেষে যে কেউ মৎস্যকন্যা হিসাবে যোগ দিতে পারেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।’’

১৫ ১৭
আমেরিকার ফ্লোরিডার ছোট্ট শহর উইকি ওয়াচির ওয়াটার পার্কেও আগে এ রকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হত। উইকি ওয়াচিতে বসন্তকালে হওয়া মৎস্যকন্যাদের অনুষ্ঠান দেখতে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

আমেরিকার ফ্লোরিডার ছোট্ট শহর উইকি ওয়াচির ওয়াটার পার্কেও আগে এ রকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হত। উইকি ওয়াচিতে বসন্তকালে হওয়া মৎস্যকন্যাদের অনুষ্ঠান দেখতে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

১৬ ১৭
ওয়াটার পার্কে ছিল বিশালাকার অ্যাকোয়ারিয়াম। সেখানেই চলত মৎস্যকন্যাদের অনুষ্ঠান। রোজ টিকিট কেটে সেই অনুষ্ঠান দেখতেন পর্যটকরা। ওই ওয়াটার পার্কে প্রথম অনুষ্ঠান হয় ১৯৪৭-এর ১৩ অক্টোবর। তার পর থেকেই সেখানে চলে আসছে ওই অনুষ্ঠান। বাচ্চা থেকে বুড়ো, মৎস্যকন্যাদের শো দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত।

ওয়াটার পার্কে ছিল বিশালাকার অ্যাকোয়ারিয়াম। সেখানেই চলত মৎস্যকন্যাদের অনুষ্ঠান। রোজ টিকিট কেটে সেই অনুষ্ঠান দেখতেন পর্যটকরা। ওই ওয়াটার পার্কে প্রথম অনুষ্ঠান হয় ১৯৪৭-এর ১৩ অক্টোবর। তার পর থেকেই সেখানে চলে আসছে ওই অনুষ্ঠান। বাচ্চা থেকে বুড়ো, মৎস্যকন্যাদের শো দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত।

১৭ ১৭
মৎস্যকন্যা সাজতে মডেলরা আসতেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। মৎস্যকন্যার পোশাক পরে জলে নেচে বেড়াতেন তাঁরা। জলের মধ্যে মৎস্যকন্যাদের নাচে আকৃষ্ট হতেন দর্শকরা। তবে ২০২০ সালে সেই অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

মৎস্যকন্যা সাজতে মডেলরা আসতেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। মৎস্যকন্যার পোশাক পরে জলে নেচে বেড়াতেন তাঁরা। জলের মধ্যে মৎস্যকন্যাদের নাচে আকৃষ্ট হতেন দর্শকরা। তবে ২০২০ সালে সেই অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

সব ছবি: এএফপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE