Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
NASA Satellite ERBS

‘মৃত’ উপগ্রহ ধেয়ে আসছে ৪ দশক পর! সোমেই সংঘর্ষ পৃথিবীর সঙ্গে?

সোমবার অর্থাৎ ৯ জানুয়ারি ভোরে পৃথিবীর আকাশে প্রবেশ করতে পারে ইআরবিএস। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই সময় প্রাথমিক ভাবে অনুমান করে নেওয়া হয়েছে। তার হেরফের হতে পারে।

সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:১৪
Share: Save:
০১ ১৫
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ‘মৃত’ এক কৃত্রিম উপগ্রহ। যে কাজে তাকে পাঠানো হয়েছিল, তা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এ বার ফেরার পালা।

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ‘মৃত’ এক কৃত্রিম উপগ্রহ। যে কাজে তাকে পাঠানো হয়েছিল, তা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এ বার ফেরার পালা।

০২ ১৫
আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট বা সংক্ষেপে ইআরবিএস মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। দীর্ঘ ৩৯ বছর বছর পৃথিবীতে ফিরছে এই কৃত্রিম উপগ্রহ।

আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট বা সংক্ষেপে ইআরবিএস মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। দীর্ঘ ৩৯ বছর বছর পৃথিবীতে ফিরছে এই কৃত্রিম উপগ্রহ।

০৩ ১৫
সোমবার অর্থাৎ ৯ জানুয়ারি ভোরে পৃথিবীর আকাশে প্রবেশ করতে পারে ইআরবিএস। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই সময় প্রাথমিক ভাবে অনুমান করে নেওয়া হয়েছে। তার হেরফের হতে পারে।

সোমবার অর্থাৎ ৯ জানুয়ারি ভোরে পৃথিবীর আকাশে প্রবেশ করতে পারে ইআরবিএস। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই সময় প্রাথমিক ভাবে অনুমান করে নেওয়া হয়েছে। তার হেরফের হতে পারে।

০৪ ১৫
ইআরবিএস-এর পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সময়ে আনুমানিক ১৭ ঘণ্টা হেরফের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ এই উপগ্রহটির গতিবিধির উপর নজর রেখেছে।

ইআরবিএস-এর পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সময়ে আনুমানিক ১৭ ঘণ্টা হেরফের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ এই উপগ্রহটির গতিবিধির উপর নজর রেখেছে।

০৫ ১৫
১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর পৃথিবী থেকে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ইআরবিএস। নাসার একটি বিশেষ অভিযানের অংশ ছিল এই উপগ্রহ।

১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর পৃথিবী থেকে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ইআরবিএস। নাসার একটি বিশেষ অভিযানের অংশ ছিল এই উপগ্রহ।

০৬ ১৫
মূলত, পৃথিবীর শক্তি বিকিরণ ক্ষমতার পর্যালোচনা ও পরীক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালে ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট এক্সপেরিমেন্ট’ নামের একটি অভিযানে শামিল হয়েছিল নাসা। ৩টি কৃত্রিম উপগ্রহকে এই অভিযানে কাজে লাগানো হয়েছিল। ইআরবিএস তাদের মধ্যে অন্যতম।

মূলত, পৃথিবীর শক্তি বিকিরণ ক্ষমতার পর্যালোচনা ও পরীক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালে ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট এক্সপেরিমেন্ট’ নামের একটি অভিযানে শামিল হয়েছিল নাসা। ৩টি কৃত্রিম উপগ্রহকে এই অভিযানে কাজে লাগানো হয়েছিল। ইআরবিএস তাদের মধ্যে অন্যতম।

০৭ ১৫
সূর্য থেকে কী ভাবে পৃথিবী শক্তি সঞ্চয় করে, কী ভাবে সেই শক্তি বিকিরিত হয়, তা পর্যালোচনা করা ছিল ইআরবিএস-এর প্রধান কাজ। তা ছাড়া, স্ট্র্যাটোস্ফেরিক ওজোন, জলীয় বাষ্প, নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং সূক্ষ্ম গ্যাসীয় কণার পরিমাপ করে এই উপগ্রহ।

সূর্য থেকে কী ভাবে পৃথিবী শক্তি সঞ্চয় করে, কী ভাবে সেই শক্তি বিকিরিত হয়, তা পর্যালোচনা করা ছিল ইআরবিএস-এর প্রধান কাজ। তা ছাড়া, স্ট্র্যাটোস্ফেরিক ওজোন, জলীয় বাষ্প, নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং সূক্ষ্ম গ্যাসীয় কণার পরিমাপ করে এই উপগ্রহ।

০৮ ১৫
কৃত্রিম এই উপগ্রহটির মধ্যে মোট তিনটি যন্ত্র ছিল। পৃথিবীর বিকিরণ শক্তি পরিমাপের জন্য দু’টি এবং স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে গ্যাসের পরিমাণ মাপার জন্য একটি যন্ত্র ব্যবহৃত হত।

কৃত্রিম এই উপগ্রহটির মধ্যে মোট তিনটি যন্ত্র ছিল। পৃথিবীর বিকিরণ শক্তি পরিমাপের জন্য দু’টি এবং স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে গ্যাসের পরিমাণ মাপার জন্য একটি যন্ত্র ব্যবহৃত হত।

০৯ ১৫
নাসার বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা ছিল, কমপক্ষে ২ বছর মহাকাশে ক্রিয়াশীল থাকবে ইআরবিএস। প্রত্যাশা অনেক আগেই পূরণ হয়েছিল। ২০০৫ সাল পর্যন্ত ক্রিয়াশীল ছিল উপগ্রহটি।

নাসার বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা ছিল, কমপক্ষে ২ বছর মহাকাশে ক্রিয়াশীল থাকবে ইআরবিএস। প্রত্যাশা অনেক আগেই পূরণ হয়েছিল। ২০০৫ সাল পর্যন্ত ক্রিয়াশীল ছিল উপগ্রহটি।

১০ ১৫
পৃথিবীর বিকিরণের ভারসাম্যের উপর মানুষের কার্যকলাপের প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিজ্ঞানীদের সরবরাহ করেছে ইআরবিএস। তার হাত ধরেই নাসার অভিযান সফল হয়েছে।

পৃথিবীর বিকিরণের ভারসাম্যের উপর মানুষের কার্যকলাপের প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিজ্ঞানীদের সরবরাহ করেছে ইআরবিএস। তার হাত ধরেই নাসার অভিযান সফল হয়েছে।

১১ ১৫
কাজ শেষের পর মহাকাশেই ঘুরছিল ইআরবিএস। এ বার তার ফেরার পালা। সব ঠিক থাকলে সোমবার ভোরবেলা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে এই ‘মৃত’ কৃত্রিম উপগ্রহ।

কাজ শেষের পর মহাকাশেই ঘুরছিল ইআরবিএস। এ বার তার ফেরার পালা। সব ঠিক থাকলে সোমবার ভোরবেলা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে এই ‘মৃত’ কৃত্রিম উপগ্রহ।

১২ ১৫
নাসার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মহাকাশে পৃথিবীর দিকে আসার পথেই ইআরবিএস-এর অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ার কথা।

নাসার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মহাকাশে পৃথিবীর দিকে আসার পথেই ইআরবিএস-এর অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ার কথা।

১৩ ১৫
তবে তার পরেও কিছু অবশিষ্ট অংশ থেকে যাবে, যা প্রবেশ করবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের পর আকাশেই বাকি অংশটুকু ধ্বংস হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে তার পরেও কিছু অবশিষ্ট অংশ থেকে যাবে, যা প্রবেশ করবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের পর আকাশেই বাকি অংশটুকু ধ্বংস হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

১৪ ১৫
ভোরের আকাশে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে ইআরবিএস-এ আগুন ধরে যাবে। ফলে মাটিতে পড়ার আগেই তা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

ভোরের আকাশে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে ইআরবিএস-এ আগুন ধরে যাবে। ফলে মাটিতে পড়ার আগেই তা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

১৫ ১৫
ইআরবিএস-এর প্রত্যাবর্তন এবং আকাশে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার কোনও প্রভাব পৃথিবীর মানুষের উপর পড়বে না, জানিয়েছে নাসা।

ইআরবিএস-এর প্রত্যাবর্তন এবং আকাশে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার কোনও প্রভাব পৃথিবীর মানুষের উপর পড়বে না, জানিয়েছে নাসা।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE