অন্য দিকে, অসংখ্য মানবজীবাশ্ম থেকে নিয়ান্ডারথালদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা গিয়েছে। সেগুলির অনেকগুলি খ্রিস্টপূর্ব ১ লক্ষ ৩০ হাজার বছর আগেকার। অনেকের দাবি, খ্রিস্টপূর্ব ১ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার বছরের মধ্যে নিয়ান্ডারথালদের অস্তিত্ব ছিল। তার পরের সময় থেকে তাঁদের অস্তিত্ব সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না বলে দাবি।
এই নতুন দাবি নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে নিজেদের মতামত দিয়েছেন গবেষণার সঙ্গে জড়িত বিবর্তন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক তথা জার্মানির ‘ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান হিস্ট্রি’র ইভোলিউশনারি জেনেসিস্ট স্টেফান পেরেঞ্জ বলেন, ‘‘আমরা হয়তো একটি অতিমাত্রায় উপবিভক্ত জনসংখ্যার যৌনজীবন নিয়ে গবেষণাপত্রে আলোচনা করেছি।’’
স্বাভাবিক ভাবেই এই গবেষণাপত্রটি নিয়ে বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়েছে। ফ্রান্সের ‘ন্যাচারাল মিউজ়িয়াম অফ হিস্ট্রি’-র জীবাশ্মবিদ আতোয়াঁ বালজ়ো সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘গবেষণাটি যে খুবই আকর্ষণীয়, তাতে সন্দেহ নেই।’’ যদিও তাঁর মতে, অন্যান্য গবেষণার সঙ্গে এর তুলনা টেনে তার পর নিয়ান্ডারথালদের নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত করা উচিত।
তবে বালজ়োর সঙ্গে সহমত নন এই গবেষণাপত্রের সহ-তত্ত্বাবধায়ক বেঞ্জামিন পিটার। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘নিয়ান্ডারথালদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে আমাদের গবেষণাপত্রটি।’’ বস্তুত, আগে মনে করা হত যে হোমোসেপিয়েন্সের থেকে বিশেষ বুদ্ধিসম্পন্ন নন নিয়ান্ডারথালরা। তবে বেঞ্জামিনের মন্তব্য, ‘‘নিয়ান্ডারথালরা যে আমাদের মতোই মানুষ, তা মনে হচ্ছে আমার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy