বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সুবীরেশকে যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় জেলবন্দি সুবীরেশকে যুক্ত করার জন্য কমিশনকে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতির নির্দেশ, আপাতত নিজের কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ। যদিও তাঁর পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। কিন্তু কে এই সুবীরেশ? কী ভাবেই বা তিনি জড়িয়ে পড়লেন নিয়োগ দুর্নীতির জালে?
এর মধ্যেই সুবীরেশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। সুবীরেশ জমানায় অযোগ্য প্রার্থীরা সাদা খাতা জমা দিয়েও নিয়োগ পেয়েছেন বলে সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ আনা হয়। এ-ও অভিযোগ ওঠে, সুবীরেশের কথাতেই নাকি ৬৬৭ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে সুবীরেশের নির্দেশেই ওই অযোগ্য প্রার্থীদের ওএমআর শিট বদলে ফেলা হয় বলেও দাবি করে সিবিআই।
সুবীরেশের পদে থাকা নিয়ে ওই অধ্যক্ষদের দাবি ছিল, জোর করে এবং বেআইনি ভাবে অধ্যক্ষ পরিষদের প্রেসিডেন্টের পদ ধরে রেখেছেন সুবীরেশ। তাঁরা জানিয়েছেন, সুবীরেশ শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন অধ্যক্ষ পরিষদের প্রেসিডেন্ট হন। নিয়ম অনুযায়ী, দু’বছর অন্তর প্রেসিডেন্ট পদে নতুন কারও বসার কথা। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে ছ’বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ওই পদ ছাড়েননি সুবীরেশ।
অধ্যক্ষদের দাবি ছিল, ২০১৯-এ প্রেসিডেন্ট বদলের কথা উঠলেও লোকসভা নির্বাচনের জন্য তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে পুরো প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরের বছর আবার করোনা অতিমারির কারণে প্রেসিডেন্ট বদলের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার পরেও সুবীরেশ অধ্যক্ষ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়েননি বলে অভিযোগ ওঠে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, সেই সময় এসএসসি-র চেয়ারম্যান কে ছিলেন। এসএসসি-র আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কমিশন তথ্য যাচাই করে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করে, ওই সব প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)-এ কারচুপি করে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। তার পরই সুবীরেশকে ওই নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy