তাদের এক জনের বয়স ১০ ও বাকি দুই যমজ ভাইবোনের বয়স আট। পুলিশ পৌঁছোতেই তাদের মা-বাবা জানান, বাড়িতে শিশুরা খুবই অসুস্থ। পুলিশ বাড়িতে ঢুকে হতবাক হয়ে যায়। খাঁচার মতো তিনটি বাক্সে বাচ্চারা শুয়ে ছিল। তাদের অবস্থা ছিল সঙ্গিন। চারিদিক অপরিচ্ছন্ন, স্যাঁতসেঁতে ভাব। আধো অন্ধকার ঘরে রাখা হত শিশুদের। চারদিকে আবর্জনা ও মাস্কের ডাঁই। দেওয়াল জুড়ে বিকৃত মুখের ছবি।
প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, পরিবারের দুই প্রধান সদস্য বাবা-মা উভয়ই ‘কোভিড সিনড্রোম’-এ ভুগছিলেন। তাঁদের এই ভীতি গোটা পরিবারকে বেশ কয়েক বছর ধরে লকডাউনের পরিবেশে থাকতে বাধ্য করেছিল। ভাইরাস সম্পর্কে অযৌক্তিক ভয় থেকে এই অদ্ভুত মানসিক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। এর ফলে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের উপর কঠোর নিয়মকানুন আরোপ করেন। বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রায় কোনও যোগাযোগ ছাড়াই বেঁচে ছিলেন পাঁচ সদস্য।
প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে পরিবারটিকে তাঁরা বাড়ির বাইরে দেখেননি। বছরের পর বছর ধরে শিশুদের স্কুলে যেতে বা বাইরে খেলতে দেখা যায়নি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করার পর উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। বাড়ির ভেতরে ঢুকে তদন্তকারীরা শিশুদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন।
মহামারির বিধিনিষেধ কেটে গিয়ে বর্তমানে সব কিছুই স্বাভাবিক। কিন্তু এখনও এই পরিবারটি সেই ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এই কারণে তারা ঘটিয়েছে ভয়ঙ্কর কাণ্ডটি। উদ্ধারের পর তিন শিশুকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর পরিবার কল্যাণ দফতরের হেফাজতে পাঠানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy