মা মারা যাওয়ার পর বেঙ্গালুরু শহর ছেড়ে শহরতলির হনুমন্থনগর বস্তিতে বসবাস করতে শুরু করেন রজনীরা। তবে পড়াশোনার মাঝে খেলাধুলোয় ফাঁকি ছিল না রজনীর। মেধাবী বলে পরিচিত রজনী ছেলেবেলায় ফুটবল-ক্রিকেটের পাশাপাশি বাস্কেটবলেও বেশ আগ্রহ ছিল। রজনীর স্কুলজীবনকে ঘিরেও একটি মিম ছড়িয়েছে নেটমাধ্যমে। এক বার রজনী স্কুলে যাননি। সেই দিনটিকেই নাকি আমরা রবিবার বলে জানি।
ছোটবেলায় অভিনয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না রজনীর। রজনীকে রামকৃষ্ণ মঠে ভর্তি করিয়ে দেন তাঁর দাদা। ওই মঠেই একটি নাটকে একলব্যের ভূমিকায় অভিনয়ের হাতেখড়ি রজনীর। ছোটবেলায় দুষ্টুমিতেও কম যেতেন না। পরে অবশ্য তাঁর নামেই বেশ ‘দুষ্টু’ মিম ছড়িয়েছিল। এক বার নাকি রজনীকান্ত একটি বাচ্চার সামনে তাঁর বান্ধবীকে চুমু খেয়েছিলেন। ওই বাচ্চাটিকেই আমরা ইমরান হাশমি বলে চিনি!
ফিল্ম ইনস্টিটিউটেই তামিল ফিল্ম পরিচালক কে বালাচন্দ্রের নজরে পড়েন রজনী। তাঁর পরামর্শেই তামিল ভাষা শেখেন। ১৯৭৫ সালে বালাচন্দ্রের ছবি ‘অপূর্ব রাগঙ্গল’-এ প্রথম অভিনয়। জাতীয় পুরস্কারজয়ী সে ছবির পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রজনীকে। দক্ষিণী সিনেমার জগতে তো বটেই, বলিউডেও কম ‘ভূমিকম্প’ ঘটাননি তিনি। তা ভূমিকম্প কেন হয় জানেন? সে সময় রজনীর মোবাইল নাকি ‘ভাইব্রেশন মোড’-এ থাকে!
নিজের কেরিয়ারে বহু সম্মান পেয়েছেন রজনী। ২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ এবং ২০১৬-তে ‘পদ্মবিভূষণ’-এ সম্মানিত। পেয়েছেন চোখ কপালে তোলার মতো পারিশ্রমিকও। ২০০৭ সালে ‘শিবাজি’ ছবিতে ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। সে বছর পারিশ্রমিকের নিরিখে গোটা বিশ্বে প্রথম ছিলেন জ্যাকি চ্যান। দ্বিতীয় স্থানে এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা ছিলেন রজনীকান্ত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy