Rupee-Ruble trade may get new direction after Vladimir Putin-Narendra Modi meeting in December, 2025 dgtl
Putin’s India Visit
জমছে টাকার পাহাড়, স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনে হচ্ছে না লাভ! বাণিজ্যে লক্ষ্মী ফেরাতে রুপি-রুবল নিয়ে কী ভাবছে ভারত-রাশিয়া?
চলতি বছরের ৪-৫ ডিসেম্বর ভারত সফরে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে নতুন দিশা পেতে পারে রুপি-রুবল বাণিজ্য, মত বিশ্লেষকদের একাংশের।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে মরিয়া ভারত। কিন্তু ঘাটতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নয়াদিল্লির কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। অন্য দিকে এ দেশের রফতানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনে সে ভাবে লাভবান হচ্ছে না মস্কো। চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরে মিটবে সেই সমস্যা? জবাব পেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের দিকে তাকিয়ে দুই দেশের আপামর শিল্পমহল।
০২২০
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রাশিয়ার উপর ১৬ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি বিশ্ব। এর পরই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিতে বাধ্য হয় মস্কো। সেই লক্ষ্যে রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) এবং রুবলে (রুশ মুদ্রা) আমদানি-রফতানি করতে বিশেষ একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলে দুই ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র। নয়াদিল্লির তরফে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ‘রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ বা আরবিআই।
০৩২০
রুপি-রুবল বাণিজ্যকে জনপ্রিয় করতে এ দেশের ব্যাঙ্কে ‘স্পেশ্যাল রুপি ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ বা এসআরভিএ খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমদানি-রফতানির লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করছে একাধিক রুশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাঙ্ক। গত অগস্টে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মে বড় বদল আনে আরবিআই। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত ডিলার (এডি) ক্যাটেগরি ব্যাঙ্কগুলি পূর্ব অনুমোদন ছাড়াই তাদের বিদেশি করেসপন্ডেন্ট ব্যাঙ্কগুলির জন্য এসআরভিএ খুলতে পারবে।
০৪২০
কিন্তু, তার পরেও স্থানীয় মুদ্রার ব্যবসায় সে ভাবে মুনাফার মুখ দেখতে পাচ্ছে না দুই ‘বন্ধু’। গত ২৫ নভেম্বর এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খোলেন রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ‘ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল’ বা ইইপিসির কর্তাব্যক্তিরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘রুপি-রুবল বাণিজ্য একেবারেই সুষ্ঠু ভাবে কাজ করছে না। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বেশ কয়েকটি বহুজাতিক ব্যাঙ্ক রুশ অর্থ নিতে নারাজ। মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপে ব্যবসা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে তারা।’’
০৫২০
এ দেশের রফতানি ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, লেনদেনে গলদ থাকার কারণে মস্কোকে পণ্য সরবরাহের পর স্থানীয় মুদ্রায় তার দাম পেতে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। এর জেরে প্রায়ই চার শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে খরচ। শুধু তা-ই নয়, রুবলের অস্থিরতা ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির উপর চাপ বাড়িয়েছে। রুবল নিয়ে যথেষ্ট অনীহা রয়েছে তাদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসবার ব্যাঙ্ক এবং ভিটিবি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আমদানি-রফতানির লেনদেন করছে দুই ‘বন্ধু’ দেশ।
০৬২০
এ-হেন রুপি-রুবল বাণিজ্যে সমস্যার মূল কারণ হিসাবে একটি বিষয়কেই চিহ্নিত করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। সেটা হল রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক লেনদেনে বিপুল ঘাটতি। মস্কোর থেকে যে পরিমাণ পণ্য কেনা হচ্ছে, তার সিকিভাগও ক্রেমলিনকে ফিরিয়ে দিচ্ছে না নয়াদিল্লি। আর তাই দু’দেশেরই আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ীদের মধ্যে চৈনিক মুদ্রা রেনমিনবিতে (অন্য নাম ইউয়ান) দাম মিটিয়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। কেউ কেউ তো আবার এর জন্য ডলারে ফিরে যেতে চাইছেন।
০৭২০
এই সমস্যার গোড়ায় পৌঁছোতে হলে ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টে লেনদেনের বিষয়টি বুঝতে হবে। বর্তমানে রাশিয়ার থেকে আমদানি করা পণ্যের মূল্য স্থানীয় মুদ্রায়, অর্থাৎ রুপিতে ওই অ্যাকাউন্টে জমা করছেন এ দেশের ব্যবসায়ীরা। দাম মেটানোর বিষয়টি নিশ্চিত হলে রুশ ব্যাঙ্ক থেকে রুবলে পেমেন্ট পাচ্ছেন মস্কোর রফতানিকারীরা। ভারতীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টো ঘটনা। এই ব্যবস্থায় দুই দেশের মুদ্রার বিনিয়োগ মূল্য কেমন হবে, তা অবশ্য আগে থেকেই ঠিক করে নিয়েছে মোদী ও পুতিন প্রশাসন।
০৮২০
তবে, এখানে সমস্যার জায়গা একটাই। রুশ রফতানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ভারতে খোলা ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্টগুলিতে দিন দিন জমে উঠছে রুপির পাহাড়। এ দেশের পণ্য আমদানি না করলে সেই অর্থ কোনও ভাবেই কাজে লাগাতে পারবে না মস্কো। ডলার, ইউরো, পাউন্ড-স্টার্লিং বা ইউয়ানের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বীকৃতি পায়নি রুপি। এ দিকে আবার নিষেধাজ্ঞার কারণে রুবল অন্যত্র ব্যবহার করতে পারবে না নয়াদিল্লি। আর তাই এই দুই মুদ্রায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের স্বপ্ন ব্যর্থ হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
০৯২০
গত আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৪-’২৫) ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৬,৮৬৯ কোটি ডলারে পৌঁছোয়। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪৮৮ কোটি ডলারের পণ্য মস্কোকে সরবরাহ করেছিল নয়াদিল্লি। বাকি ৬,৩৮১ কোটি ডলারের সামগ্রী পূর্ব ইউরোপের দেশটির থেকে ঘরে তোলে কেন্দ্রের মোদী সরকার। অর্থাৎ, গত অর্থবর্ষে দুই ‘বন্ধু’র বাণিজ্যিক ঘাটতি ছিল ৫,৮৯৩ কোটি ডলার। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে এই অঙ্ক ছিল ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা।
১০২০
স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক দিক থেকে ভারত-রুশ সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তি পেলেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সূচক সে ভাবে বাড়েনি। একসময় মস্কোর থেকে শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং অত্যাধুনিক হাতিয়ার কিনত নয়াদিল্লি। তখনও পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে খুব কম রফতানি হত এ দেশের পণ্য। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেই ছবি বদলাতে শুরু করে।
১১২০
কিভ আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার আর্থিক অবরোধ থেকে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ভারতকে সস্তা দরে খনিজ তেল বিক্রির মেগা অফার দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সঙ্গে সঙ্গে তাতে রাজি হয়ে যায় নয়াদিল্লি। ফলে চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সূচক। ঠিক তখনই লেনদেনের সমস্যার বিষয়টি বুঝতে পারে দুই দেশ। ফলে ডলারকে এড়িয়ে রুপি-রুবল বাণিজ্যে জোর দেয় ক্রেমলিন।
১২২০
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির পর হাতিয়ার ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের পাশাপাশি নয়াদিল্লির রুশ আমদানিকৃত পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অপরিশোধিত খনিজ তেল, কয়লা, সার এবং মূল্যবান পাথর। অন্য দিকে, এ দেশ থেকে মস্কো কিনছে কৃষি পণ্য (মূলত চাল, চা ও মশলা), ওষুধ ও ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক খাবার, বিভিন্ন রাসায়নিক এবং সাংস্কৃতিক লেনদেনের রেওয়াজ রয়েছে।
১৩২০
ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার আগে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অংশীদার ছিল চিন। এ ছাড়া পশ্চিম ইউরোপের একাধিক দেশকে প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত মস্কো। আমেরিকার সঙ্গেও চলত পণ্য কেনাবেচা। কিন্তু, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নিষেধাজ্ঞার কারণে এরা প্রত্যেকেই ক্রেমলিনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সেই শূন্য স্থানে উঠে এসেছে ভারত। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বেজিঙের পর দ্বিতীয় স্থানে আছে নয়াদিল্লির নাম।
১৪২০
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে লেনদেনের জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তার নাম ‘সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাঙ্ক ফিন্যানশিয়াল টেলিকমিউনিকেশন’ বা সুইফ্ট সিস্টেম। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই ব্যবস্থা থেকে ক্রেমলিনকে বার করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক কাঠামো ঠিক রাখতে চিন ও ভারতের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন চালাচ্ছে মস্কো। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকায় এ ব্যাপারে বেজিঙের মুদ্রা তাদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
১৫২০
চিনা মুদ্রা ইউয়ানে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য করার সুযোগ পেয়ে থাকে রাশিয়া। কিন্তু ভারতের রুপিতে সেই সুবিধা নেই। সেটা কেবলমাত্র এ দেশের পণ্য কেনার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে পারবে মস্কো। আর তাই সম্প্রতি এ ব্যাপারে ক্রেমলিনের শীর্ষ আধিকারিকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। নয়াদিল্লির সামগ্রী বেশি করে কেনার দিকে তাঁদের নজর দিতে বলেছেন তিনি।
১৬২০
সূত্রের খবর, বাণিজ্যিক ঘাটতি মেটাতে ত্রিমুখী পরিকল্পনা রয়েছে ভারত ও রাশিয়ার। প্রথমত, যৌথ উদ্যোগে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং অত্যাধুনিক হাতিয়ার তৈরির দিকে নজর দিতে পারে দুই দেশ। অতীতে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র বা একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেলের ব্যাপারে এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে দিল্লি ও মস্কো। এ ছাড়া এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ও মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজ়েশন) জন্য ঘরের দরজা খুলতে পারে ক্রেমলিন।
১৭২০
গত শতাব্দীর ৯০-এর দশক থেকে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে মূলত আমেরিকায় পাড়ি জমাতে দেখা গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির উন্নতির নেপথ্যে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। যদিও সে সব কৃতজ্ঞতা মানতে নারাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাই অভিবাসীদের থাকার ব্যাপারে যথেষ্ট কড়াকড়ি শুরু করেছেন তিনি। পাশাপাশি, রাশিয়ার থেকে খনিজ তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসাবে এ দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্কও ধার্য করেছে তাঁর সরকার।
১৮২০
এই পরিস্থিতিতে ১০ লক্ষ ভারতীয়কে কর্মসংস্থান দিতে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে মস্কো। রুশ গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে নির্মাণ ও বস্ত্রশিল্পে এ দেশের শ্রমিকদের কাজে লাগাচ্ছে পুতিন প্রশাসন। আগামী দিনে অদক্ষ কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চপদে ভারতীয়দের নিয়োগ করবে পূর্ব ইউরোপের দেশটির একাধিক সংস্থা। সে ক্ষেত্রে ভাগ্য খুলতে পারে এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের। তখন এ দেশের ব্যাঙ্কে জমা থাকা রুপিতে বেতন মেটাতে পারবে ক্রেমলিন।
১৯২০
আর তাই রুপি-রুবলের পেমেন্ট ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে ভারতে কাজ করার লাইসেন্স চাইছে একাধিক রুশ ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি মস্কোর সংস্থাগুলিকে দেশের সরকারি সিকিউরিটিজ়, বন্ড, শেয়ার এবং পরিকাঠামো প্রকল্পে ভোস্ট্রোর উদ্বৃত্ত রুপি ব্যালেন্সে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে আরবিআই। আগামী দিনে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে ত্রিদেশীয় বিনিয়োগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি।
২০২০
২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-রুশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ১০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর। বর্তমানে মস্কোর মোট রফতানির প্রায় ১৭ শতাংশই নয়াদিল্লি-কেন্দ্রিক। বাণিজ্যিক ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি কোনও সমাধান সূত্র বার করতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।