গুড়িয়া গণধর্ষণ-কাণ্ড নামে পরিচিত শিমলার ওই ঘটনায় ১৬ বছরের এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ছ’জনের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের ৪ জুলাই স্কুল থেকে একাই বাড়ি ফিরছিল ওই মেয়েটি। স্কুল থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টার রাস্তায় একটি জঙ্গলের মধ্যে তাকে টেনে নিয়ে যায় ওই ছ’জন। সেখানেই গণধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে খুন। ঘটনার দু’দিন পর ৬ জুলাই ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
কিশোরীর গণধর্ষণ-কাণ্ডে শিমলার তৎকালীন পুলিশ সুপার জহুর এস জাইদির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছিল। পরে অবশ্য সিট-এর থেকে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। সিট-এর তদন্ত চলাকালীন ১৩ জুলাই ধরা পড়ে ছয় অভিযুক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের সময় লকআপে মৃত্যু হয় এক অভিযুক্তের। তার জেরেই বদলি করা হয় জাইদিকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন সৌম্যা।
শিমলার ওই ঘটনার মামলা গড়ায় হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্ট পর্যন্ত। ২০২১ সালের এপ্রিলে ওই কাণ্ডে নিল্লু নামে এক কাঠুরেকে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ওই মামলা চলাকালীনই বদলি করা হয়েছিল সৌম্যাকে। তবে যত দিন পর্যন্ত শিমলার দায়িত্বে ছিলেন, তার মধ্যেই নিজের কর্মদক্ষতায় আমজনতার কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy