শাকিব আল হাসান— অধিনায়ক শাকিব বুধবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট নিয়েছেন। ৫০ রান করে লোকেশ রাহুলকে যখন ভয়ানক দেখাচ্ছে, তখন শাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন গত ম্যাচগুলিতে ছন্দে না থাকা রাহুল। এ ছাড়া, ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে ৩০ রানে ফিরিয়েছেন শাকিব। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দীনেশ কার্তিককেও ফিরিয়েছেন রান আউটে। ৪ ওভার বল করে মোট ৩৩ রান দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে তাঁর অবদান ১২ বলে ১৩। দু’টি বাউন্ডারি মেরেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দশের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭।
লিটন দাস— বাংলাদেশের ইনিংসের শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে খেলেছেন লিটন। ছয় আর চারের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন অ্যাডিলেডে। বাংলাদেশ তাঁর দৌলতেই বৃষ্টির আগে ৭ ওভারে ৬৬-তে থেমেছিল। মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমাররা তাঁর সামনে দাঁত ফোটাতে পারেননি। ২৭ বলে ৬০ রান করে রান আউটে থেমেছেন লিটন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে এক মাত্র তাঁকেই ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে। বৃষ্টির পর চোট না পেলে ভারতের মুখের গ্রাস কেড়ে নিতে পারতেন একাই। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৮।
নুরুল হাসান সোহন— ৬ উইকেট পড়ে গিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস যখন নড়বড়ে, কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন নুরুল। শেষ ওভারে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে প্রাণ ফেরান তিনি। একটি চারও মারেন। তাঁর ব্যাটে ভরসা করে ভারতকে হারানোর স্বপ্ন দেখছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। কিন্তু দলের বৈতরণী শেষ পর্যন্ত পার করতে পারেননি। দশের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭।
নাজমুল হোসেন শান্ত— লিটনের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন শান্ত। বৃষ্টির আগে তাঁকে তেমন কিছু করতে হয়নি। ‘বিধ্বংসী’ লিটনের বিপরীতে তিনি যারপরনাই ‘শান্ত’ হয়ে সঙ্গ দিয়েছেন। বৃষ্টির আগে ১৬ বল খেলে মাত্র ৭ রান করেছিলেন। পরে লিটন সাজঘরে ফিরলে হাত খুলে খেলতে শুরু করেছিলেন। একটি ৪ এবং একটি ৬ মেরে ২৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭।
তাসকিন আহমেদ— বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন তাসকিন। ৪ ওভার বল করে তিনি দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। তবে উইকেট পাননি। ইকোনমি রেট ৩.৭৫। ব্যাট হাতে বাংলাদেশ সমর্থকদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটিয়েছিলেন তিনি। শেষের দিকে তাঁর উপরেই নির্ভর করেছিল দল। ১৫ নম্বর ওভারে একটি বিশাল ছক্কা হাঁকান। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। ১০-এর মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭।
শরিফুল ইসলাম— ভারতের বিরুদ্ধে শরিফুলের বোলিংয়ে একেবারেই ধার ছিল না। কখনও ব্যাটারের মাথার উপর দিয়ে বল বেরিয়ে গিয়েছে, কখনও কোমরের উচ্চতায় করেছেন নো বল। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে বুধবার সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া সত্ত্বেও শরিফুলের হাতেই শেষ ওভারে বল তুলে দিয়েছিলেন শাকিব। সেখানেও ডাহা ফেল। শেষ ওভারে একটি ৪ এবং একটি ৬-সহ শরিফুল দিয়েছেন মোট ১৪ রান। ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়েছেন শরিফুল। ১০-এর মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৩।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy