চার্লসের কাছে হানার আবেদন ছিল, মৃত্যুর পর যাতে তাঁর দেহটি জমির উপরে রাখা হয়। দেহটির নিয়মিত পরীক্ষা করার আর্জিও জানিয়েছিলেন হানা। যাতে কোনও ভাবেই তাঁকে ভুল করে জীবন্ত কবর না দেওয়া হয়। নিজের দলিলে তিনি লিখিত ভাবে এই দায়িত্ব সঁপেছিলেন চার্লসের উপর। খুবই সোজাসাপ্টা অনুরোধ হলেও অর্থের লোভেই নাকি তার ফায়দা তুলেছিলেন চার্লস।
১৭৫৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যুর বছরখানেক আগে ওই দলিলের মাধ্যমে নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খরচ হিসাবে ৪০০ পাউন্ড (বর্তমান বাজারমূল্যে প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা) রেখে গিয়েছিলেন হানা। সেই সঙ্গে চালর্সের জন্য ১০০ পাউন্ডও (বর্তমান বাজারমূল্যে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা) বরাদ্দ করেছিলেন। দলিলটি কার্যকর করার জন্য আরও ৪০০ পাউন্ড রাখা ছিল চার্লসের জন্য। অন্ত্যেষ্টির খরচ মিটিয়ে বেঁচে যাওয়া অর্থ চার্লস নিতে পারবেন বলে লিখে গিয়েছিলেন হানা।
আশ্চর্যজনক ভাবে, জীবিত অবস্থায় হানার কোনও ছবি পাওয়া যায় না। তবে ফিলিপ ওয়েন্টওয়র্থ নামে ম্যানচেস্টারের এক ইতিহাসবিদের লেখনীতে তাঁর মমির বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, ‘দেহটি বেশ ভালই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তবে গোটা মুখটি কালো হয়ে কুঁচকে গিয়েছিল। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ-সহ পা দু’টি এমন কষে কাপড় দিয়ে বাঁধা হয়েছিল যেন এটি একটি ছোটখাটো আকারের বৃদ্ধার দেহ। কাচের কফিনে তা পোরা ছিল।’
বহু বছর পর সংগ্রহালয় থেকে কবরে জায়গা পেয়েছিলেন হানা। ১৮৬৭ সালে ওই সংগ্রহালয়টি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন হয়। সে সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনে হয়েছিল, এ ভাবে মমি করে রাখাটা আসলে হানার মতো খ্রিস্টান মহিলাকে অসম্মান করার সমতুল। হানা তো কবরে যেতে ভয় পাননি। শুধুমাত্র জীবন্ত অবস্থায় কবরে যেতে চাননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy