মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ ‘অপারেশন কেল্লার’-এর ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় সেনার তরফে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘‘অপারেশন কেল্লার। ১৩ মে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শোপিয়ানের শোকাল কেল্লার এলাকায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান এবং নিকেশ অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা। অভিযান চলাকালীন জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনা। যার ফলে তিন জন কট্টর জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটক-সহ মোট ২৬ জনকে নৃশংস ভাবে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ওই ঘটনার পরই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে নয়াদিল্লি। ইসলামাবাদের বিমানের জন্য বন্ধ করা হয় আকাশপথ। পাশাপাশি, পাক নাগরিকদের ভিসা না দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
পহেলগাঁও হামলার বদলা যে অচিরেই নেওয়া হবে, তা ঘোষণা করেছিল নয়াদিল্লি। সেই মতো গত ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের (পাক অকুপায়েড জম্মু-কাশ্মীর বা পিওজেকে) মোট ন’টি জায়গায় জঙ্গিদের গুপ্তঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় নয়াদিল্লি। এই অভিযানেরই পোশাকি নাম, ‘অপারেশন সিঁদুর’। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের দাবি, এতে শতাধিক সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু, এতে ফল হয় হিতে বিপরীত। পাকিস্তানের যাবতীয় আগ্রাসন রুখে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম)। ইসলামাবাদের সমস্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশেই গুলি করে ধ্বংস করে এ দেশের বাহিনী। পাশাপাশি, চিনের তৈরি দু’টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানকেও নয়াদিল্লি ধ্বংস করেছে বলে স্বীকার করে নেয় পাকিস্তান।
এর পাশাপাশি পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিতে আগুন ঝরিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। ১০ মে এই ইস্যুতে বিবৃতি দেন ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ। তাঁরা বলেন, পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, চকলালা এবং রহিম ইয়ার খান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আকাশপথে হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া নিশানা করা হয় সুক্কুর এবং চুনিয়ায় পাক সেনাঘাঁটি, পসরুর এবং সিয়ালকোটের বিমানঘাঁটিকে।
নয়াদিল্লির তরফে এই বিবৃতি জারি করার আগেই বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে ইসলামাবাদ। পাক সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন বা আইএসপিআর) মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধরি জানান, রাওয়ালপিন্ডির নুর খান, চকওয়ালের মুরিদ এবং পঞ্জাব প্রদেশের ঝাং জেলার রফিকি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছে ভারত।
সংঘাত এ ভাবে তীব্র হওয়ায় নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করে পাকিস্তান। পাল্টা সেখানে বাহিনী ও হাতিয়ারের সংখ্যা বাড়়াতে থাকে ভারতও। পাকিস্তানের লাগাতার গোলাবর্ষণে প্রাণ হারান জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরী জেলার এক পদস্থ আধিকারিক। ভূস্বর্গের শম্ভু মন্দির এবং একটি গুরুদ্বারকে নিশানা করে ইসলামাবাদের সেনা।
তবে ছ’টি বায়ুসেনাঘাঁটিতে জোরালো প্রত্যাঘাতের পর কিছুটা দমে যায় পাকিস্তান। শেষে আমেরিকার মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করে দুই দেশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, লড়াই থামার তিন ঘণ্টার মধ্যেই ফের সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে ইসলামাবাদ। এতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ) এক জন কনস্টেবলের মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy